অজানাই রইলো চট্টগ্রামে সেই চার হত্যার রহস্য by ইব্রাহিম খলিল
তদন্তের
পর তদন্ত চলছে। তবুও অজানা রয়ে গেল চট্টগ্রাম মহানগরীর চার যুবতী ও কিশোরী
হত্যার রহস্য। এরমধ্যে কোনোটার মাস পার, কোনোটার বছর পার হলেও পুলিশের
কাছে তেমন কোনো ক্লু নেই চার খুনের। চারজনের মধ্যে একজনকে কুপিয়ে, একজনকে
জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। বাকি দু’জনকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে তাও বের
করতে পারেনি পুলিশ। তবে তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন মামলাগুলো তদন্তাধীন
রয়েছে।
মামলাগুলোর বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ই জানুয়ারি নগরীর পাঁচলাইশ তেলিপট্টি এলাকায় নিজ বাসার গলির মুখে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের শিক্ষক অঞ্জলী রানী দেবীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্র্বৃত্তরা। নার্সিং কলেজে যাবার সময় সেদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে। কিন্তু ঘটনার কোনো রহস্য বা ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। প্রায় দু’মাস পর মামলাটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সেই থেকে আড়াই বছর ধরে শুধু তদন্তই করছে গোয়েন্দা পুলিশ। জানাতে পারেনি হত্যার কারণ বা রহস্য। ঘটনা তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় একপর্যায়ে হতাশ হয়ে পড়েন অঞ্জলীর স্বামী ও মামলার বাদী চিকিৎসক রাজেন্দ্র লাল চৌধুরী।
রাজেন্দ্র লাল চৌধুরী বলেন, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর মামলা তুলে নিতে দুর্বৃত্তরা মুঠোফোনে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। ওই মুঠোফোন নাম্বারটি পুলিশকে দিলেও কারা তাকে হুমকি দিয়েছে তাও বের করতে পারেনি পুলিশ।
দুর্বৃত্তদের হুমকির মুখে ভয়ে-আতঙ্কে তিনি নগরীর বাসা ছেড়ে এখন হাটহাজারীর গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছেন বলে জানান রাজেন্দ্র লাল চৌধুরী।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. কামরুজ্জামানের সাফ কথা অঞ্জলী রানী দেবী খুনের ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে। বলার মতো নতুন কিছু নেই।
এদিকে গত ২৭শে জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় বাড়ির ভেতরে জবাই করে হত্যা করা হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইলহাম বিনতে নাসিরকে। সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে বাকলিয়ার ল্যান্ডমার্ক আবাসিক এলাকার লায়লা ভবনের ৫ তলার বাসায় পৈশাচিক এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
মা নাসরিন আক্তার খুশবু সকাল সাড়ে সাতটায় মেজ মেয়েকে স্কুলে দিতে বেরিয়েছিলেন। আটটার দিকে বাসায় এসে দেখেন বড় মেয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে খাটের ওপর। সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ইলহামের মরদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পরের দিন সৌদি আরব থেকে আসেন ইলহামের বাবা নাসির উদ্দিন। দুদিন পর এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তিনি। এরপর রিজুয়ান কবির রাজু নামে তাদের এক নিকটাত্মীয় আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাকে রিমান্ডে এনে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ইলহাম হত্যার বিষয়ে তিনি নিজেকে বরাবরই নির্দোষ দাবি করেছেন। তার স্বজনরাও এ ঘটনার সঙ্গে তাকে জড়ানোর জন্য জোর স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী নাসির উদ্দিন জানান, ঘরের ভেতরে আমার মেয়েটিকে জবাই করে হত্যা করা হলো। হত্যাকাণ্ডের এক মাস পার হলেও জানতেই পারলাম না কারা কি কারণে আমার শিশুকন্যাকে জবাই করে হত্যা করলো। বরং পুলিশ আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে টানাটানি করছে। তাতেও যদি কোনো রহস্য জানতে পারতাম তাহলে শান্তি পেতাম।
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী জানান, ইলহাম হত্যা মামলার তদন্তে পুলিশের তেমন অগ্রগতি নেই। ফলে মামলার তদন্তভার চেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চিঠি পাঠিয়েছে। মামলাটি এখন সিআইডিতে যাচ্ছে।
চলতি বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি বাকলিয়া ইছাহাকের পুলের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশু নুদরাত। এক সপ্তাহ পর ৮ই ফেব্রুয়ারি নুদরাতের গলিত লাশ পাওয়া যায় সার্সন রোডের ঝোপের ভেতরে। এ ঘটনায় নুদরাতের বড় বোন রোজি আক্তার বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পাঁচমাস পার হলেও শিশু নুদরাত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, নুদরাত হত্যার বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ মামলাটিও সিআইডিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে গত ৩রা মে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজের পর পতেঙ্গা থানার কর্ণফুলীর নেভাল এলাকায় স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার আগের দিন বিকালে নগরীর গোলাপাহাড় মোড়ে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে সিএনজি অটোরিকশায় উঠেছিল তাসফিয়া। রেস্টুরেন্টের ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেছে বন্ধু আদনান মির্জা তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাসফিয়ার মৃত্যুরহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার তদারকি কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আবু বক্কর জানান, তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্তের পর তদন্ত হয়েছে। কিন্তু সে কেন বা কীভাবে নেভালে গেল সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।
এ ঘটনায় আটক তার বন্ধু আদনান মির্জাকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত রোববার দুইঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আদনান জানিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরে আদনান ও তাসফিয়া ঘুরতে বের হয়। তারা প্রথমে নগরীর সার্সন রোডে ওয়ার সিমেট্রিতে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর নগরীর গোলপাহাড় মোড়ে চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে যায়।
এ সময় আদনানের বন্ধু আসিফ মিজান ফোন দিয়ে জানান, তাসফিয়াকে খুঁজছেন তার মা। এরপর আদনান তাসফিয়াকে রেস্টুরেন্টের নিচ থেকে বাসায় যাবার জন্য একটি অটোরিকশা ঠিক করে দেয়। নিজে আরেকটি অটোরিকশায় করে বাসায় চলে যায়। এরপর তাসফিয়া কেন এবং কীভাবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় গেছে, সে বিষয়ে কিছুই জানে না। তবে সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। আদনানকে গাজীপুরে কিশোর সংশোধনাগারে নেয়া হয়েছে বলে জানান আবু বক্কর।
মামলাগুলোর বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ১০ই জানুয়ারি নগরীর পাঁচলাইশ তেলিপট্টি এলাকায় নিজ বাসার গলির মুখে চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের শিক্ষক অঞ্জলী রানী দেবীকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্র্বৃত্তরা। নার্সিং কলেজে যাবার সময় সেদিন সকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় যুবকদের আসামি করে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপর পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত শুরু করে। কিন্তু ঘটনার কোনো রহস্য বা ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। প্রায় দু’মাস পর মামলাটি পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে নগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
সেই থেকে আড়াই বছর ধরে শুধু তদন্তই করছে গোয়েন্দা পুলিশ। জানাতে পারেনি হত্যার কারণ বা রহস্য। ঘটনা তদন্তে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় একপর্যায়ে হতাশ হয়ে পড়েন অঞ্জলীর স্বামী ও মামলার বাদী চিকিৎসক রাজেন্দ্র লাল চৌধুরী।
রাজেন্দ্র লাল চৌধুরী বলেন, হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন পর মামলা তুলে নিতে দুর্বৃত্তরা মুঠোফোনে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। ওই মুঠোফোন নাম্বারটি পুলিশকে দিলেও কারা তাকে হুমকি দিয়েছে তাও বের করতে পারেনি পুলিশ।
দুর্বৃত্তদের হুমকির মুখে ভয়ে-আতঙ্কে তিনি নগরীর বাসা ছেড়ে এখন হাটহাজারীর গ্রামের বাড়িতে বসবাস করছেন বলে জানান রাজেন্দ্র লাল চৌধুরী।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. কামরুজ্জামানের সাফ কথা অঞ্জলী রানী দেবী খুনের ঘটনা তদন্তাধীন রয়েছে। বলার মতো নতুন কিছু নেই।
এদিকে গত ২৭শে জুন চট্টগ্রাম মহানগরীর বাকলিয়া এলাকায় বাড়ির ভেতরে জবাই করে হত্যা করা হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইলহাম বিনতে নাসিরকে। সকাল সাতটা থেকে আটটার মধ্যে বাকলিয়ার ল্যান্ডমার্ক আবাসিক এলাকার লায়লা ভবনের ৫ তলার বাসায় পৈশাচিক এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
মা নাসরিন আক্তার খুশবু সকাল সাড়ে সাতটায় মেজ মেয়েকে স্কুলে দিতে বেরিয়েছিলেন। আটটার দিকে বাসায় এসে দেখেন বড় মেয়ের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে খাটের ওপর। সকাল ১১টার দিকে পুলিশ ইলহামের মরদেহ উদ্ধার করে।
খবর পেয়ে পরের দিন সৌদি আরব থেকে আসেন ইলহামের বাবা নাসির উদ্দিন। দুদিন পর এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন তিনি। এরপর রিজুয়ান কবির রাজু নামে তাদের এক নিকটাত্মীয় আইনজীবীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
তাকে রিমান্ডে এনে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও ইলহাম হত্যার বিষয়ে তিনি নিজেকে বরাবরই নির্দোষ দাবি করেছেন। তার স্বজনরাও এ ঘটনার সঙ্গে তাকে জড়ানোর জন্য জোর স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন পুলিশের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী নাসির উদ্দিন জানান, ঘরের ভেতরে আমার মেয়েটিকে জবাই করে হত্যা করা হলো। হত্যাকাণ্ডের এক মাস পার হলেও জানতেই পারলাম না কারা কি কারণে আমার শিশুকন্যাকে জবাই করে হত্যা করলো। বরং পুলিশ আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে টানাটানি করছে। তাতেও যদি কোনো রহস্য জানতে পারতাম তাহলে শান্তি পেতাম।
এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (ওসি) প্রণব কুমার চৌধুরী জানান, ইলহাম হত্যা মামলার তদন্তে পুলিশের তেমন অগ্রগতি নেই। ফলে মামলার তদন্তভার চেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) চিঠি পাঠিয়েছে। মামলাটি এখন সিআইডিতে যাচ্ছে।
চলতি বছরের ৩রা ফেব্রুয়ারি বাকলিয়া ইছাহাকের পুলের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শিশু নুদরাত। এক সপ্তাহ পর ৮ই ফেব্রুয়ারি নুদরাতের গলিত লাশ পাওয়া যায় সার্সন রোডের ঝোপের ভেতরে। এ ঘটনায় নুদরাতের বড় বোন রোজি আক্তার বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পাঁচমাস পার হলেও শিশু নুদরাত হত্যার বিষয়ে কোনো তথ্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, নুদরাত হত্যার বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এ মামলাটিও সিআইডিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে গত ৩রা মে চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজের পর পতেঙ্গা থানার কর্ণফুলীর নেভাল এলাকায় স্কুলছাত্রী তাসফিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার আগের দিন বিকালে নগরীর গোলাপাহাড় মোড়ে একটি রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে সিএনজি অটোরিকশায় উঠেছিল তাসফিয়া। রেস্টুরেন্টের ক্লোজ-সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেছে বন্ধু আদনান মির্জা তাকে একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় তাসফিয়ার বাবা মোহাম্মদ আমিন বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাসফিয়ার বন্ধু আদনান মির্জাসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তাসফিয়ার মৃত্যুরহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার তদারকি কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) আবু বক্কর জানান, তাসফিয়া হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্তের পর তদন্ত হয়েছে। কিন্তু সে কেন বা কীভাবে নেভালে গেল সে বিষয়টি এখনো জানা যায়নি।
এ ঘটনায় আটক তার বন্ধু আদনান মির্জাকে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী গত রোববার দুইঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। আদনান জানিয়েছে, ঘটনার দিন দুপুরে আদনান ও তাসফিয়া ঘুরতে বের হয়। তারা প্রথমে নগরীর সার্সন রোডে ওয়ার সিমেট্রিতে যায়। সেখানে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরির পর নগরীর গোলপাহাড় মোড়ে চায়না গ্রিল রেস্টুরেন্টে যায়।
এ সময় আদনানের বন্ধু আসিফ মিজান ফোন দিয়ে জানান, তাসফিয়াকে খুঁজছেন তার মা। এরপর আদনান তাসফিয়াকে রেস্টুরেন্টের নিচ থেকে বাসায় যাবার জন্য একটি অটোরিকশা ঠিক করে দেয়। নিজে আরেকটি অটোরিকশায় করে বাসায় চলে যায়। এরপর তাসফিয়া কেন এবং কীভাবে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় গেছে, সে বিষয়ে কিছুই জানে না। তবে সে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। আদনানকে গাজীপুরে কিশোর সংশোধনাগারে নেয়া হয়েছে বলে জানান আবু বক্কর।
No comments