লিরার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও আজানের সমালোচনা একই বিষয়: এরদোয়ান
সোমবার
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, লিরার বিরুদ্ধে চলা
ষড়যন্ত্র দেশটির সার্বভৌমত্ব বা আজানের বিরুদ্ধচারনের চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়!
লিরা সংকটের মূল উদ্দেশ্য ‘তুরস্ক ও তুর্কি জনগণকে পদানত করা, পরাজিত করা।’
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দুইটি আন্তর্জাতিক আর্থিক রেটিং সংখ্যা
তুরস্কের রেটিং নিচে নামিয়ে দিয়েছে, যার অর্থ দেশটিতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়
অনিবার্য।
দীর্ঘ সময় ধরে ডলারে ঋণ নেওয়ার পর এখন সেসব ঋণ ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য নেই তুরস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর। দেশটির মুদ্রা লিরা দ্রুত মূল্য হারাচ্ছে। ফলে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। অবস্থা সামাল দিতে এরদোয়ান দেশবাসীকে ডলার বিক্রি করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পণ্য বয়কটেরও। এদিকে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তুরস্ক সন্ত্রাসের অভিযোগে যে খ্রিস্টান ধর্মযাজককে গ্রেফতার করেছে তার মুক্তি দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ধর্মযাজককে গ্রেফতার করায় তুর্কি স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তার ওপর তুর্কি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর বর্ধিত হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছিল, আগে থেকেই ঝুঁকিতে থাকা তুর্কি অর্থনীতি ঝাঁকুনি খেয়েছে মার্কিন সিদ্ধান্তে।
ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে এরদোয়ান বলেছেন, ‘লিরার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আমাদের পতাকা বা আজানের বিরুদ্ধে হওয়া হামলার চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়। এর উদ্দেশ্য একই। লিরা সংকটের মূল লক্ষ্য, তুরস্ক ও তুর্কি জনগণকে পদানত করা, পরাজিত করা। কিন্তু যারা মনে করে লিরার বিনিময় হার নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তারা সফল হবে, খুব তাড়াতাড়িই তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে।’ এ সময় এরদোয়ান সরাসরি কোনও দেশ বা সংস্থার নাম উচ্চারণ করেননি। কিন্তু রয়টার্স লিখেছে, আগে তিনি লিরা সংকটের জন্য পশ্চিমা রেটিং সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছিলেন।
ডলারের বিপরীতে লিরার মান আজ বেড়েছে। কিন্তু এখনও ডলারের সঙ্গে লিরার বিনিময় হার ৬.১। অথচ ২০১১ সালে ডলারের বিপরীতে লিরার বিনিময় হার ছিল ১.৯! লিরার দরপতনের কারণে রেটিং এজেন্সি মুডিস এবং স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর তুরস্কের রেটিং কমিয়ে দিয়েছে। নেদারল্যান্ডের রাবোব্যাংকে কর্মরত বাজার বিশেষজ্ঞ পিওটর মাতিস মন্তব্য করেছেন, রেটিং সংস্থাগুলোর এই রেটিং কমিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, তাদের বিবেচনায় তুরস্কের অর্থনীতির গতি হারাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং লিরার দরপতন দেশটির আর্থিক স্থিতিশীলতার পক্ষে উদ্বেগজনক।
দীর্ঘ সময় ধরে ডলারে ঋণ নেওয়ার পর এখন সেসব ঋণ ফেরত দেওয়ার সামর্থ্য নেই তুরস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোর। দেশটির মুদ্রা লিরা দ্রুত মূল্য হারাচ্ছে। ফলে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। অবস্থা সামাল দিতে এরদোয়ান দেশবাসীকে ডলার বিক্রি করে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন পণ্য বয়কটেরও। এদিকে দেশটির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। তুরস্ক সন্ত্রাসের অভিযোগে যে খ্রিস্টান ধর্মযাজককে গ্রেফতার করেছে তার মুক্তি দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই ধর্মযাজককে গ্রেফতার করায় তুর্কি স্বরাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তার ওপর তুর্কি ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম পণ্যের ওপর বর্ধিত হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আল জাজিরা তাদের এক প্রতিবেদনে লিখেছিল, আগে থেকেই ঝুঁকিতে থাকা তুর্কি অর্থনীতি ঝাঁকুনি খেয়েছে মার্কিন সিদ্ধান্তে।
ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশনে প্রচারিত ভাষণে এরদোয়ান বলেছেন, ‘লিরার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে তা আমাদের পতাকা বা আজানের বিরুদ্ধে হওয়া হামলার চেয়ে ভিন্ন কিছু নয়। এর উদ্দেশ্য একই। লিরা সংকটের মূল লক্ষ্য, তুরস্ক ও তুর্কি জনগণকে পদানত করা, পরাজিত করা। কিন্তু যারা মনে করে লিরার বিনিময় হার নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তারা সফল হবে, খুব তাড়াতাড়িই তারা তাদের ভুল বুঝতে পারবে।’ এ সময় এরদোয়ান সরাসরি কোনও দেশ বা সংস্থার নাম উচ্চারণ করেননি। কিন্তু রয়টার্স লিখেছে, আগে তিনি লিরা সংকটের জন্য পশ্চিমা রেটিং সংস্থা এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছিলেন।
ডলারের বিপরীতে লিরার মান আজ বেড়েছে। কিন্তু এখনও ডলারের সঙ্গে লিরার বিনিময় হার ৬.১। অথচ ২০১১ সালে ডলারের বিপরীতে লিরার বিনিময় হার ছিল ১.৯! লিরার দরপতনের কারণে রেটিং এজেন্সি মুডিস এবং স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর তুরস্কের রেটিং কমিয়ে দিয়েছে। নেদারল্যান্ডের রাবোব্যাংকে কর্মরত বাজার বিশেষজ্ঞ পিওটর মাতিস মন্তব্য করেছেন, রেটিং সংস্থাগুলোর এই রেটিং কমিয়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, তাদের বিবেচনায় তুরস্কের অর্থনীতির গতি হারাবার সম্ভাবনা অনেক বেশি এবং লিরার দরপতন দেশটির আর্থিক স্থিতিশীলতার পক্ষে উদ্বেগজনক।
No comments