‘হেক্সা’ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে ব্রাজিলের শুরু
সবার
আগে নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপ, স্কোয়াডে তারকার হাট, সেই সঙ্গে চোখ জুড়ানো
পারফরম্যান্স- ব্রাজিলের তাই ‘হেক্সা’ জয়ের স্বপ্ন দেখাটা মোটেও বাড়াবাড়ি
নয়। ২০০২ সালের পর আবারও ফুটবল উৎসবে লাতিন দেশটিকে ভাসানোর স্বপ্ন বুকে
নিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করছে সেলেসাওরা।
রাশিয়ার ফুটবল মহাযজ্ঞের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। শক্তি ও সাফল্যের দিক থেকে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা অনেকটা এগিয়ে থাকলেও সুইসরা প্রস্তুত তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে। রোস্তভে তাই উত্তেজনাকর এক ম্যাচই মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত ১২টায়। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি, মাছরাঙা, টেন টু ও টেন থ্রি চ্যানেলে।
২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ায় স্বপ্নটা অনেক বড় ছিল ব্রাজিলিয়ানদের। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ জিতে ১৯৫০ সালের মারাকানো ট্র্যাজেডি ভুলতে চেয়েছিল তারা। যদিও জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের হারের লজ্জায় ডুবতে হয় তাদের। মিনেইরোর ওই সেমিফাইনালের দুঃখ ভুলতে রাশিয়ার আসরে নামতে যাচ্ছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
আর এই স্বপ্নটা তাদের নেইমারকে কেন্দ্র করে। এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরেই ‘হেক্সা’ জয়ের আশা সাম্বার দেশের মানুষের। বিশ্বকাপে নামার আগে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন তিনি চেনা রূপে। ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করে জানান দিয়েছেন, তিনি প্রস্তুত ফুটবলের মহাউৎসবে নামতে।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ব্রাজিল। কনবেমল অঞ্চল থেকে তো বটেই, সবার আগে রাশিয়ার টিকিট পায় সেলেসাও। তিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চলছে সাফল্যের গাড়ি। ২০১৬ সালে দায়িত্ব নিয়ে গোছানো এক দল নিয়েই বিশ্বকাপ মিশনে গেছেন তিনি। অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে দুর্দান্ত এক স্কোয়াড গড়েছেন ৫৭ বছর বয়সী এই কোচ।
স্কোয়াডে থাকা মাত্র ছয় খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা আছে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ খেলার। তবে রাশিয়ায় যারা নতুন যোগ হয়েছেন, তারাও নিজেদের পজিশনে বিশ্বমানের। মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ তাদের দুর্দান্ত। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের একাদশে মাঝমাঠে কাসেমিরো, ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও পাউলিনিয়োকে দেখার সম্ভাবনাই বেশি। তাদের উপরে আক্রমণভাগে নেইমার ও গাব্রিয়েল জেজুসের সঙ্গে হয়তো থাকবেন উইলিয়ান। সেন্টার ব্যাকে থিয়গো সিলভা ও মিরান্দার সঙ্গে লেফট ব্যাকে তিতের প্রথম পছন্দ অধিনায়ক মার্সেলো। রাইট ব্যাকে দেখা যাবে হয়তো দানিলোকে। আর গোলবারের নিচে দায়িত্বে থাকবেন আলিসন।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা ব্রাজিলিয়ানরা বোঝে খুব ভালো করে। সে কারণেই ১৯৩৪ সালে ইতালির বিশ্বকাপ থেকে গত আসর পর্যন্ত উদ্বোধনী ম্যাচে কখনও হারের মুখ দেখেনি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই প্রথম ম্যাচ থেকেই আবার অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারে সুইজারল্যান্ড। ২০১০ সালের বিশ্বকাপটা তাদের স্মৃতির মণিকোঠায় সাজানো আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই আসরে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে সুইসরা হারিয়ে দিয়েছিল স্পেনকে, যারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ করে বিশ্বকাপ।
ব্রাজিলের আসরটা খুব একটা খারাপ কাটেনি সুইজারল্যান্ডের। শেষ ষোলোতে তারা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরেছিল অতিরিক্ত সময়ে। তাছাড়া ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়েও দারুণ সময় পার করেছে ‘লা নাতি’রা। ‘বি’ গ্রুপে পর্তুগালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলে প্লে অফে নিশ্চিত করে রাশিয়ার টিকিট।
রোস্তভে তাই উত্তেজনাকর এক ম্যাচই অপেক্ষা করছে ফুটবল বিশ্বের জন্য। ফুটবলপ্রেমীরা তৈরি তো?
রাশিয়ার ফুটবল মহাযজ্ঞের প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। শক্তি ও সাফল্যের দিক থেকে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা অনেকটা এগিয়ে থাকলেও সুইসরা প্রস্তুত তাদের কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে। রোস্তভে তাই উত্তেজনাকর এক ম্যাচই মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সময় রবিবার দিবাগত রাত ১২টায়। ম্যাচটি সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি, মাছরাঙা, টেন টু ও টেন থ্রি চ্যানেলে।
২০১৪ বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ায় স্বপ্নটা অনেক বড় ছিল ব্রাজিলিয়ানদের। ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ জিতে ১৯৫০ সালের মারাকানো ট্র্যাজেডি ভুলতে চেয়েছিল তারা। যদিও জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের হারের লজ্জায় ডুবতে হয় তাদের। মিনেইরোর ওই সেমিফাইনালের দুঃখ ভুলতে রাশিয়ার আসরে নামতে যাচ্ছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
আর এই স্বপ্নটা তাদের নেইমারকে কেন্দ্র করে। এই ফরোয়ার্ডকে ঘিরেই ‘হেক্সা’ জয়ের আশা সাম্বার দেশের মানুষের। বিশ্বকাপে নামার আগে চোট কাটিয়ে ফিরেছেন তিনি চেনা রূপে। ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে লক্ষ্যভেদ করে জানান দিয়েছেন, তিনি প্রস্তুত ফুটবলের মহাউৎসবে নামতে।
লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে ব্রাজিল। কনবেমল অঞ্চল থেকে তো বটেই, সবার আগে রাশিয়ার টিকিট পায় সেলেসাও। তিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে চলছে সাফল্যের গাড়ি। ২০১৬ সালে দায়িত্ব নিয়ে গোছানো এক দল নিয়েই বিশ্বকাপ মিশনে গেছেন তিনি। অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের মিশেলে দুর্দান্ত এক স্কোয়াড গড়েছেন ৫৭ বছর বয়সী এই কোচ।
স্কোয়াডে থাকা মাত্র ছয় খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা আছে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ খেলার। তবে রাশিয়ায় যারা নতুন যোগ হয়েছেন, তারাও নিজেদের পজিশনে বিশ্বমানের। মাঝমাঠ ও আক্রমণভাগ তাদের দুর্দান্ত। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের একাদশে মাঝমাঠে কাসেমিরো, ফিলিপে কৌতিনিয়ো ও পাউলিনিয়োকে দেখার সম্ভাবনাই বেশি। তাদের উপরে আক্রমণভাগে নেইমার ও গাব্রিয়েল জেজুসের সঙ্গে হয়তো থাকবেন উইলিয়ান। সেন্টার ব্যাকে থিয়গো সিলভা ও মিরান্দার সঙ্গে লেফট ব্যাকে তিতের প্রথম পছন্দ অধিনায়ক মার্সেলো। রাইট ব্যাকে দেখা যাবে হয়তো দানিলোকে। আর গোলবারের নিচে দায়িত্বে থাকবেন আলিসন।
বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচটা সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আর সেটা ব্রাজিলিয়ানরা বোঝে খুব ভালো করে। সে কারণেই ১৯৩৪ সালে ইতালির বিশ্বকাপ থেকে গত আসর পর্যন্ত উদ্বোধনী ম্যাচে কখনও হারের মুখ দেখেনি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এই প্রথম ম্যাচ থেকেই আবার অনুপ্রেরণা খুঁজতে পারে সুইজারল্যান্ড। ২০১০ সালের বিশ্বকাপটা তাদের স্মৃতির মণিকোঠায় সাজানো আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ওই আসরে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে সুইসরা হারিয়ে দিয়েছিল স্পেনকে, যারা চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ করে বিশ্বকাপ।
ব্রাজিলের আসরটা খুব একটা খারাপ কাটেনি সুইজারল্যান্ডের। শেষ ষোলোতে তারা আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরেছিল অতিরিক্ত সময়ে। তাছাড়া ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়েও দারুণ সময় পার করেছে ‘লা নাতি’রা। ‘বি’ গ্রুপে পর্তুগালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলে প্লে অফে নিশ্চিত করে রাশিয়ার টিকিট।
রোস্তভে তাই উত্তেজনাকর এক ম্যাচই অপেক্ষা করছে ফুটবল বিশ্বের জন্য। ফুটবলপ্রেমীরা তৈরি তো?
No comments