‘আজ ওদের কথা ভীষণ মনে পড়ছে’
শনিবার
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের কাঠমুড়া পাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে
ছোট্ট ঝুপড়ির ঘরের ভেতর থেকে সশব্দে কান্নার শব্দ হচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর
আরেকটু পশ্চিম পাশে পাহাড়ের তীরে খোলা আকাশের নিচে ঈদের নামাজ শুরু হয়। তখন
নামাজের মধ্যেও অনেকের কান্নার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এ নামাজে প্রায় দুই
শতাধিকের বেশি রোহিঙ্গা অংশ নেন। নামাজ শেষে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ওই ঝুপড়ি
ঘরের ভেতরে সশব্দে কাঁদছেন ফেরুজ খাতুন নামে এক রোহিঙ্গা নারী।
কাছে গিয়ে কান্নার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘গত বছর মিয়ানমারে ঈদের স্বামী ও সন্তানদের সাজিয়ে গুজিয়ে ঈদের নামাজের জন্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আজ ওরা নেই। ৮ মাস আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আমার স্বামী নূর আলম ও তিন বছরের ছেলে নূর খালেদকে গুলি করে হত্যা করে। আজ এই ঈদের দিনে ওদের কথা ভীষণ মনে পড়ছে।’
ফেরুজ খাতুনের বাড়ি মিয়ানমারের কাওয়ারবিল গ্রামে।
শনিবার টেকনাফ-উখিয়ার লেদা, মৌচনি, কাঠমুড়া, বালুখালী, মধুরছড়া, কুতুপালংসহ আরও কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরে ঘুরে ও খবর নিয়ে জানা গেছে, খোলা আকাশে নিচে রোহিঙ্গারা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এসব জামাতে আনন্দের সঙ্গে অংশ নেওয়াদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। বেশিরভাগই জামাতে গেছেন বুক ভরা কষ্ট নিয়ে। দেশ হারানো, ভিটে হারানো, বাড়ি-ব্যবসা-সম্পত্তি হারানোর কষ্টের চেয়েও বেশি তাদের স্বজন হারানোর কষ্ট। একবছর আগেও যারা ছিলেন ঈদ জামাতের সাথী, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞে এবার অনেকেই সঙ্গে নেই তাদের। তবে ঈদ উপলক্ষে অনেক রোহিঙ্গাকে নতুন জামা পরে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে।
কাছে গিয়ে কান্নার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন,‘গত বছর মিয়ানমারে ঈদের স্বামী ও সন্তানদের সাজিয়ে গুজিয়ে ঈদের নামাজের জন্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু আজ ওরা নেই। ৮ মাস আগে মিয়ানমার সেনাবাহিনী আমার স্বামী নূর আলম ও তিন বছরের ছেলে নূর খালেদকে গুলি করে হত্যা করে। আজ এই ঈদের দিনে ওদের কথা ভীষণ মনে পড়ছে।’
ফেরুজ খাতুনের বাড়ি মিয়ানমারের কাওয়ারবিল গ্রামে।
শনিবার টেকনাফ-উখিয়ার লেদা, মৌচনি, কাঠমুড়া, বালুখালী, মধুরছড়া, কুতুপালংসহ আরও কয়েকটি রোহিঙ্গা শিবিরে ঘুরে ও খবর নিয়ে জানা গেছে, খোলা আকাশে নিচে রোহিঙ্গারা ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। এসব জামাতে আনন্দের সঙ্গে অংশ নেওয়াদের সংখ্যা ছিল খুবই কম। বেশিরভাগই জামাতে গেছেন বুক ভরা কষ্ট নিয়ে। দেশ হারানো, ভিটে হারানো, বাড়ি-ব্যবসা-সম্পত্তি হারানোর কষ্টের চেয়েও বেশি তাদের স্বজন হারানোর কষ্ট। একবছর আগেও যারা ছিলেন ঈদ জামাতের সাথী, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম হত্যাযজ্ঞে এবার অনেকেই সঙ্গে নেই তাদের। তবে ঈদ উপলক্ষে অনেক রোহিঙ্গাকে নতুন জামা পরে ঘুরে বেড়াতেও দেখা গেছে।
অন্যদিকে,টেকনাফের কাঠমুড়া পাহাড়ের তীরে রোহিঙ্গা শিবিরে নামাজের শেষে প্রতিবাদ মিছিল করে রোহিঙ্গারা।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, সব রোহিঙ্গা শিবিরে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় হয়েছে। কোথাও মিছিল বের হয়েছে কিনা তা জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঈদের জামাত শেষে অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দ আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা খুব বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। এ জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনারা। যদি আমরা এ দেশে পালিয়ে না আসতাম তাহলে আমাদের নিশ্চিত মৃত্যু হতো। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমরা সামনে আমার বড় ভাই দিল আলমকে গুলি করে হত্যা করছে মিয়ানমার সেনারা। অথচ আমি কিছু করতে পারেনি। এ যন্ত্রণা এখনও মনের ভেতর বয়ে চলছে। গত বছর আমরা সবাই ঈদের খুশির আনন্দ ভাগ করেছিলাম। কিন্তু আজ সেই আনন্দ দুঃখের স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই।’
তবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়াসহ জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি।
উখিয়া শিবিরের রোহিঙ্গা নারী ফেরুজা খাতুন (৩৫) বলেন, এবারের ঈদ কান্নার মধ্যে যাচ্ছে। কেননা ৮ মাস আগে স্বামী নূর আলম ও ছেলে তিন বছরের ছেলে নূর সাদেকে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনারা। তাদের কথা খুব বেশি মনে পড়েছে। আমার আরও পাঁচ সন্তান রয়েছে তাদেরকে মাংস ও রুটি খাওয়াতে পারিনি।কাউকে কোনও নতুন জামা কিনে দিতে পারিনি।
টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের মেম্বার মো. রশিদ আহমেদ বলেন, তার শিবিরে প্রায় তিনশ’’ ঘর রয়েছে। ঈদে অধিকাংশ ঘরে টাকার অভাবে মাংস কিনতে পারেনি। যে কিনতে পেরেছে সে তাদের পাশের ঘরের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তা ভাগ করে খাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, সব রোহিঙ্গা শিবিরে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের নামাজ আদায় হয়েছে। কোথাও মিছিল বের হয়েছে কিনা তা জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঈদের জামাত শেষে অসহায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান রোহিঙ্গা নেতা সৈয়দ আলম। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গারা খুব বেশি নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। এ জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনারা। যদি আমরা এ দেশে পালিয়ে না আসতাম তাহলে আমাদের নিশ্চিত মৃত্যু হতো। আমরা আন্তর্জাতিক আদালতে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। আমরা সামনে আমার বড় ভাই দিল আলমকে গুলি করে হত্যা করছে মিয়ানমার সেনারা। অথচ আমি কিছু করতে পারেনি। এ যন্ত্রণা এখনও মনের ভেতর বয়ে চলছে। গত বছর আমরা সবাই ঈদের খুশির আনন্দ ভাগ করেছিলাম। কিন্তু আজ সেই আনন্দ দুঃখের স্মৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবুও আমরা নিজ দেশে ফিরে যেতে চাই।’
তবে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়াসহ জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে হবে বলেও দাবি জানান তিনি।
উখিয়া শিবিরের রোহিঙ্গা নারী ফেরুজা খাতুন (৩৫) বলেন, এবারের ঈদ কান্নার মধ্যে যাচ্ছে। কেননা ৮ মাস আগে স্বামী নূর আলম ও ছেলে তিন বছরের ছেলে নূর সাদেকে গুলি করে হত্যা করেছে মিয়ানমার সেনারা। তাদের কথা খুব বেশি মনে পড়েছে। আমার আরও পাঁচ সন্তান রয়েছে তাদেরকে মাংস ও রুটি খাওয়াতে পারিনি।কাউকে কোনও নতুন জামা কিনে দিতে পারিনি।
টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের মেম্বার মো. রশিদ আহমেদ বলেন, তার শিবিরে প্রায় তিনশ’’ ঘর রয়েছে। ঈদে অধিকাংশ ঘরে টাকার অভাবে মাংস কিনতে পারেনি। যে কিনতে পেরেছে সে তাদের পাশের ঘরের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে তা ভাগ করে খাচ্ছে।
No comments