গুলিতে নিহত রেহেনা ১৭ ঘণ্টা নিখোঁজ ছিল by আতাউর রহমান জুয়েল
১৭
ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর রবিবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের
গন্ধ্রপা এলাকার রাস্তার পাশের একটি খড়ের ডিবি থেকে পুলিশের তালিকাভুক্ত
মাদক ব্যবসায়ী রেহেনা বেগম (৪৫)এর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের দাবি, সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে শনিবার (১৬ জুন) ঈদের
দিন বিকাল ৪টার দিকে সানকিপাড়া বাইলেন এলাকার বাসার সামনের সড়ক থেকে তাকে
তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ডিবি পুলিশ এ দাবি অস্বীকার করেছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, রেহেনার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ১০টি মামলা রয়েছে এবং সে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন। রেহেনাকে ‘ইয়াবা সম্রাজ্ঞী’ হিসেবেই সবাই চেনে। যদিও পরিবারের দাবি, রেহেনার বিরুদ্ধে থানায় ২টি মামলা আছে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক মামলায় ৫/৬ বছর আগে এক বছর সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছিল সে।
স্থানীয়রা জানান, সানকিপাড়া বাইলেনের মরহুম আজিজুল হকের স্ত্রী রেহেনা বেগম। এই দম্পতির একমাত্র কন্যা আজেদা বেগম। গত দুই বছর আগে রেহেনার স্বামী আজিজুল হক ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রেহেনা গত ১৫ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। একাধিকবার সে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।শুরুতে গাঁজা ও হেরোইনের ব্যবসা করলেও ইয়াবা বাজারে আসার পর ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে রেহানা।
প্রতিবেশী রেনুয়ারা বেগম জানান, দুই বছর আগে সানকিপাড়ার গন্ধ্রপা এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে সেখানে বসবাস শুরু করে রেহেনা। সানকিপাড়ার পুরনো বাসায় তার মেয়ে আজেদা বেগম স্বামীকে নিয়ে থাকেন। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ৫/৬টি মোটর সাইকেলে এসে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে রেহেনাকে অটোরিকশা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আর কিছু তারা বলতে পারেন না।
এদিকে রেহেনার মেয়ে আজেদা বেগম জানান, তার মায়ের বিরুদ্ধে থানায় ২টি মামলা আছে। ওই মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন এবং আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন। আজেদা আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক মামলায় ৫/৬ বছর আগে তার মায়ের এক বছর সাজা হয়েছিল এবং সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছেন। এরপর থেকে তার মা আর মাদক ব্যবসা করতো না বলেও দাবি করেন মেয়ে আজেদা বেগম।
আজেদা আরও বলেন, ‘শনিবার ঈদের দিন বিকাল ৪টার দিকে মোটর সাইকেলে করে এসে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে বাসার সামনের রাস্তা থেকে তার মাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে শনিবার রাত ৮টার দিকে ডিবি অফিসে মায়ের খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, রেহেনা নামে কাউকে আটক করে আনা হয়নি। মায়ের কোনও হদিস না পেয়ে আমরা বাসায় ফিরে আসি। রবিবার সকাল ৯টার সময় জানতে পারি গন্ধ্রপা এলাকায় খড়ের ডিবির পাশে মায়ের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে। পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মায়ের মরদেহ শনাক্ত করি।’
এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)এর ওসি আশিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রেহেনা বেগমকে তারা তুলে আনেননি এবং এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। ওসি আরও জানান, রেহেনা বেগম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন।
ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু জানান, রেহেনার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ৫/৬টি মামলা আছে। এর আগে একটি মামলায় এক বছর সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছে রেহেনা।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম জানান, রেহেনার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ১০টি মামলা রয়েছে এবং সে পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন। রেহেনাকে ‘ইয়াবা সম্রাজ্ঞী’ হিসেবেই সবাই চেনে। যদিও পরিবারের দাবি, রেহেনার বিরুদ্ধে থানায় ২টি মামলা আছে এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক মামলায় ৫/৬ বছর আগে এক বছর সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছিল সে।
স্থানীয়রা জানান, সানকিপাড়া বাইলেনের মরহুম আজিজুল হকের স্ত্রী রেহেনা বেগম। এই দম্পতির একমাত্র কন্যা আজেদা বেগম। গত দুই বছর আগে রেহেনার স্বামী আজিজুল হক ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রেহেনা গত ১৫ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। একাধিকবার সে পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।শুরুতে গাঁজা ও হেরোইনের ব্যবসা করলেও ইয়াবা বাজারে আসার পর ইয়াবা ব্যবসা শুরু করে রেহানা।
প্রতিবেশী রেনুয়ারা বেগম জানান, দুই বছর আগে সানকিপাড়ার গন্ধ্রপা এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে সেখানে বসবাস শুরু করে রেহেনা। সানকিপাড়ার পুরনো বাসায় তার মেয়ে আজেদা বেগম স্বামীকে নিয়ে থাকেন। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে ৫/৬টি মোটর সাইকেলে এসে ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে রেহেনাকে অটোরিকশা করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর আর কিছু তারা বলতে পারেন না।
এদিকে রেহেনার মেয়ে আজেদা বেগম জানান, তার মায়ের বিরুদ্ধে থানায় ২টি মামলা আছে। ওই মামলায় তিনি জামিনে ছিলেন এবং আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন। আজেদা আরও জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক মামলায় ৫/৬ বছর আগে তার মায়ের এক বছর সাজা হয়েছিল এবং সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছেন। এরপর থেকে তার মা আর মাদক ব্যবসা করতো না বলেও দাবি করেন মেয়ে আজেদা বেগম।
আজেদা আরও বলেন, ‘শনিবার ঈদের দিন বিকাল ৪টার দিকে মোটর সাইকেলে করে এসে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে বাসার সামনের রাস্তা থেকে তার মাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে শনিবার রাত ৮টার দিকে ডিবি অফিসে মায়ের খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, রেহেনা নামে কাউকে আটক করে আনা হয়নি। মায়ের কোনও হদিস না পেয়ে আমরা বাসায় ফিরে আসি। রবিবার সকাল ৯টার সময় জানতে পারি গন্ধ্রপা এলাকায় খড়ের ডিবির পাশে মায়ের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে। পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মায়ের মরদেহ শনাক্ত করি।’
এবিষয়ে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)এর ওসি আশিকুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রেহেনা বেগমকে তারা তুলে আনেননি এবং এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। ওসি আরও জানান, রেহেনা বেগম পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের একজন।
ময়মনসিংহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপপরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু জানান, রেহেনার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ৫/৬টি মামলা আছে। এর আগে একটি মামলায় এক বছর সাজা খেটে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছে রেহেনা।
No comments