স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিলো পাষণ্ড স্বামী
রায়গঞ্জে
যৌতুক দিতে না পারায় এক গৃহবধূর মাথার চুল ন্যাড়া করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে
তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির স্বজনদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা গৃহবধূর অভিযোগ,
গত বৃহস্পতিবার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ননদ মিলে তার মাথা ন্যাড়া করে
কয়েকদিন ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। পুলিশের সহযোগিতায় উদ্ধার হয়ে মঙ্গলবার
নির্যাতিতা গৃহবধূ নিজে বাদী হয়ে মামলা করলেও পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার
করতে পারেনি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে রায়গঞ্জ উপজেলার সড়াই হাজিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাদুলি গ্রামের আবু তাহের খানের মেয়ে ইসরাত জাহান বিথির (২২) বিয়ে হয়। মেয়ের সুখের জন্য বিয়ের সময় একটি মোটরসাইকেল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও কিছু ফার্নিচার দেয় বিথির পরিবার। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় নতুন নতুন চাহিদা। আর সেই দাবি পরিশোধ করতে না পারায় বিথির ওপর শুরু হয় নির্যাতন। সবশেষ গত কয়েক দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা কেনার জন্য বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বিথির ওপর চাপ দেয় জাহাঙ্গীরসহ পুরো পরিবার। কিন্তু টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সকলে মিলে বৃহস্পতিবার সকালে বিথির মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। আর বিষয়টি যেন কেউ যেন জানতে না পারে সেজন্য বিথিকে ঘরের ভেতর তালাবন্ধ করে আটকে রাখা হয়। চার দিন পর সোমবার দুপুরে কৌশলে মা ও ভাইকে মোবাইলে বিষয়টি জানায় বিথি। পরে বিথির পরিবার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় বিথির ভাই জুয়েল খান অভিযুক্ত বোন জামাই জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। রায়গঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বুধবার দুপুরে জানান, নির্যাতিতা গৃহবধূ বিথি নিজে বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্বামীসহ চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ভিকটিম তার বাবার বাড়িতে চলে গেছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে রায়গঞ্জ উপজেলার সড়াই হাজিপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে বগুড়ার ধুনট উপজেলার খাদুলি গ্রামের আবু তাহের খানের মেয়ে ইসরাত জাহান বিথির (২২) বিয়ে হয়। মেয়ের সুখের জন্য বিয়ের সময় একটি মোটরসাইকেল, নগদ ৫০ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও কিছু ফার্নিচার দেয় বিথির পরিবার। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় নতুন নতুন চাহিদা। আর সেই দাবি পরিশোধ করতে না পারায় বিথির ওপর শুরু হয় নির্যাতন। সবশেষ গত কয়েক দিন ধরে সিএনজি অটোরিকশা কেনার জন্য বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য বিথির ওপর চাপ দেয় জাহাঙ্গীরসহ পুরো পরিবার। কিন্তু টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে পরিবারের সকলে মিলে বৃহস্পতিবার সকালে বিথির মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে দেয়। আর বিষয়টি যেন কেউ যেন জানতে না পারে সেজন্য বিথিকে ঘরের ভেতর তালাবন্ধ করে আটকে রাখা হয়। চার দিন পর সোমবার দুপুরে কৌশলে মা ও ভাইকে মোবাইলে বিষয়টি জানায় বিথি। পরে বিথির পরিবার পুলিশের সহযোগিতায় তাকে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় বিথির ভাই জুয়েল খান অভিযুক্ত বোন জামাই জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার পূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। রায়গঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বুধবার দুপুরে জানান, নির্যাতিতা গৃহবধূ বিথি নিজে বাদী হয়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্বামীসহ চারজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ভিকটিম তার বাবার বাড়িতে চলে গেছে।
No comments