গাড়িতে তুলে চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়
গাড়িতে
তুলে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বাঁধা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের
মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। গতকাল ডিআরইউতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন
তিনি। গ্রেপ্তার ও ছেড়ে দেয়ার ঘটনা নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি
বলেছেন, গাড়িতে তুলে আমার চোখ কালো কাপড় দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। হাতকড়া পরানো
হয়। কোথায় তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো তা তিনি বুঝতে পারেননি। রাতে ছেড়ে দেয়ার
পর বুঝতে পেরেছেন তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর মাদকবিরোধী অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝাতে চেষ্টা করেছেন র্যাব কর্মকর্তারা। ইমরান বলেন, আমিও তাদের বলেছি- আমরা মাদকের বিরুদ্ধে। আমি এটাও বলেছি- কেন আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে। অভিযানের প্রতি আমাদের শতভাগ সমর্থন আছে। কিন্তু অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিচার করতে চাইলে সরকার আলাদা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করেও করতে পারে। সেখানে আমাকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে সেসব প্রশ্ন শাহবাগে দাঁড়িয়েও করা যেত জানিয়ে ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, গতকাল (গত বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, যে প্রক্রিয়ায় আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়া সিনেমাটিক স্টাইলে নিয়ে যাওয়াও কাম্য নয়।
ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল কিনা- প্রশ্ন রেখে ইমরান এইচ সরকার বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে র্যাবের অংশ আছে। বেশির ভাগই র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। এখন ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তারা আমাকে তুলে নিয়ে গেছে কিনা- এটাও একটা প্রশ্ন। অযথা হামলা করে আহত করে সমাবেশ করতে না দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমি দেখি না। আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রনেতাদের যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যেভাবে পেটানো হয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। প্রতিবাদ করা নাগরিকের সমাবেশে যদি বাধা দেয়া হয় সেটা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, কোনো মামলা নেই। তারপরও আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে ইমরান এইচ সরকার বলেন, শাহবাগে সমাবেশের অনুমতি আমাদের আগে থেকেই নেয়া ছিল। পুলিশ কমিশনার এবং শাহবাগ থানায়ও অবহিত করা হয়েছিল। সমাবেশের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন করা র্যাবের এখতিয়ারে নেই। পুলিশ চাইলে অনুমতির ব্যাপার খতিয়ে দেখতে পারে। আমি এসে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাকে গাড়িতে তোলা হয়। সেখানে সমাবেশের লোকজন পর্যন্ত জড়ো হয়নি, এমন সময় আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জি এম জিলানী শুভ। তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের ঘোষিত সমাবেশের আগেই মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছয় ঘণ্টা আইনবহির্ভূতভাবে তাকে আটক রেখে রাত ১১টায় ছেড়ে দেয়। যথাযথ অনুমতি থাকা সত্ত্বেও গণজাগরণ মঞ্চের বিকালের সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ ধারা অনুযায়ী সমাবেশ করার অধিকার সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ‘মৌলিক অধিকার’ অংশ দ্বারা রক্ষা করা হয়েছে। গতকাল শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের পূর্বঘোষিত সমাবেশের সুনির্দিষ্ট অনুমতি ছিল। তারপরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অস্ত্রের জোরে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা নজিরবিহীন।
মাদকবিরোধী অভিযানকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র কখনই আইনবহির্ভূতভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে না। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে না যাওয়ার কারণে বড় বড় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট আইন থাকার পরেও বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এসব প্রশ্ন করা আমাদের অধিকার। মাদক ব্যবসায়ীদের যেসব সিন্ডিকেটের কথা আমরা গণমাধ্যমে জানতে পারি তাতে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, রাঘববোয়ালদের নাম যেন প্রকাশিত না হয় সে কারণেই কি বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড? বলে প্রশ্ন রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জি এম জিলানী শুভ।
সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করা যাবে না। অপারেশন সার্চ লাইটের সময় থেকে আমরা বলছি, বিচারিক আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের কি বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা নেই? প্রশ্ন রেখে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, গতকাল (বুধবার) নাটকীয়ভাবে হ্যান্ডশেক করার বাহানায় ইমরান এইচ সরকারকে ধরে নিয়ে গেছে। পত্রিকায় র?্যাবের বক্তব্য দেখলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। র্যাবের এখতিয়ারে নেই সমাবেশের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার। সেটা পুলিশের কাজ। আমরা মাদকবিরোধী অভিযানের পক্ষে, কিন্তু বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড আমাদের সংবিধান পরিপন্থি। তিনি বলেন, এভাবে বাধা দিয়ে, ধরে নিয়ে গেলেও আমরা ভীত হচ্ছি না, আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে।
পরবর্তীতে বিকাল ৪টায় গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীর নেতৃত্বে মিছিলযোগে সমাবেশে যোগ দেন গণজাগরণ মঞ্চ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। তারা বিচারবহির্ভূত গুম, খুন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।
আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর মাদকবিরোধী অভিযানের যৌক্তিকতা বোঝাতে চেষ্টা করেছেন র্যাব কর্মকর্তারা। ইমরান বলেন, আমিও তাদের বলেছি- আমরা মাদকের বিরুদ্ধে। আমি এটাও বলেছি- কেন আমরা বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে। অভিযানের প্রতি আমাদের শতভাগ সমর্থন আছে। কিন্তু অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিচার করতে চাইলে সরকার আলাদা বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করেও করতে পারে। সেখানে আমাকে যেসব প্রশ্ন করা হয়েছে সেসব প্রশ্ন শাহবাগে দাঁড়িয়েও করা যেত জানিয়ে ডা. ইমরান এইচ সরকার বলেন, গতকাল (গত বুধবার) যে ঘটনা ঘটেছে, যে প্রক্রিয়ায় আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়া সিনেমাটিক স্টাইলে নিয়ে যাওয়াও কাম্য নয়।
ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তাকে আটক করা হয়েছিল কিনা- প্রশ্ন রেখে ইমরান এইচ সরকার বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মধ্যে র্যাবের অংশ আছে। বেশির ভাগই র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে। এখন ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তারা আমাকে তুলে নিয়ে গেছে কিনা- এটাও একটা প্রশ্ন। অযথা হামলা করে আহত করে সমাবেশ করতে না দেয়ার কোনো যৌক্তিকতা আমি দেখি না। আমাকে নিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রনেতাদের যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যেভাবে পেটানো হয়েছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা প্রতিটি নাগরিকের দায়িত্ব। প্রতিবাদ করা নাগরিকের সমাবেশে যদি বাধা দেয়া হয় সেটা খুবই দুঃখজনক। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, কোনো মামলা নেই। তারপরও আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে ইমরান এইচ সরকার বলেন, শাহবাগে সমাবেশের অনুমতি আমাদের আগে থেকেই নেয়া ছিল। পুলিশ কমিশনার এবং শাহবাগ থানায়ও অবহিত করা হয়েছিল। সমাবেশের অনুমতি নিয়ে প্রশ্ন করা র্যাবের এখতিয়ারে নেই। পুলিশ চাইলে অনুমতির ব্যাপার খতিয়ে দেখতে পারে। আমি এসে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমাকে গাড়িতে তোলা হয়। সেখানে সমাবেশের লোকজন পর্যন্ত জড়ো হয়নি, এমন সময় আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জি এম জিলানী শুভ। তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের ঘোষিত সমাবেশের আগেই মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আটক করে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছয় ঘণ্টা আইনবহির্ভূতভাবে তাকে আটক রেখে রাত ১১টায় ছেড়ে দেয়। যথাযথ অনুমতি থাকা সত্ত্বেও গণজাগরণ মঞ্চের বিকালের সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ ধারা অনুযায়ী সমাবেশ করার অধিকার সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ‘মৌলিক অধিকার’ অংশ দ্বারা রক্ষা করা হয়েছে। গতকাল শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের পূর্বঘোষিত সমাবেশের সুনির্দিষ্ট অনুমতি ছিল। তারপরও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অস্ত্রের জোরে যে তাণ্ডব চালিয়েছে তা নজিরবিহীন।
মাদকবিরোধী অভিযানকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত রাষ্ট্র কখনই আইনবহির্ভূতভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে না। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে না যাওয়ার কারণে বড় বড় অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট আইন থাকার পরেও বিনা বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এসব প্রশ্ন করা আমাদের অধিকার। মাদক ব্যবসায়ীদের যেসব সিন্ডিকেটের কথা আমরা গণমাধ্যমে জানতে পারি তাতে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, রাঘববোয়ালদের নাম যেন প্রকাশিত না হয় সে কারণেই কি বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড? বলে প্রশ্ন রাখেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জি এম জিলানী শুভ।
সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কর্মী খুশি কবির বলেন, মাদকবিরোধী অভিযান নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড করা যাবে না। অপারেশন সার্চ লাইটের সময় থেকে আমরা বলছি, বিচারিক আদালতের মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সরকারের কি বিচার ব্যবস্থার ওপর আস্থা নেই? প্রশ্ন রেখে এই মানবাধিকারকর্মী বলেন, গতকাল (বুধবার) নাটকীয়ভাবে হ্যান্ডশেক করার বাহানায় ইমরান এইচ সরকারকে ধরে নিয়ে গেছে। পত্রিকায় র?্যাবের বক্তব্য দেখলাম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। র্যাবের এখতিয়ারে নেই সমাবেশের অনুমতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার। সেটা পুলিশের কাজ। আমরা মাদকবিরোধী অভিযানের পক্ষে, কিন্তু বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড আমাদের সংবিধান পরিপন্থি। তিনি বলেন, এভাবে বাধা দিয়ে, ধরে নিয়ে গেলেও আমরা ভীত হচ্ছি না, আমাদের সংগ্রাম চলমান থাকবে।
পরবর্তীতে বিকাল ৪টায় গণজাগরণ মঞ্চের উদ্যোগে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দীর নেতৃত্বে মিছিলযোগে সমাবেশে যোগ দেন গণজাগরণ মঞ্চ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা। তারা বিচারবহির্ভূত গুম, খুন ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।
No comments