মাদকবিরোধী অভিযান স্থগিতের আহ্বান হিউম্যান রাইটস ওয়াচের
বাংলাদেশে
চলমান মাদকবিরোধী অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। পাশাপাশি এই অভিযানে যেসব মৃত্যুর
ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর স্বাধীন তদন্তের দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি। গতকাল এক
বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এছাড়া জাতিসংঘও একই আহ্বান
জানিয়েছে। সংগঠনটির মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনার জায়েদ রা’দ আল হোসেন বলেন,
মাদক বিক্রির অপরাধে কারো মানবাধিকার বঞ্চিত করা উচিত না। একইসঙ্গে চলমান
অভিযানে হওয়া প্রত্যেকটি মৃত্যুর তদন্ত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি
আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে বলা হয়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের সময় সংঘটিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়া উচিত বাংলাদেশ সরকারের। গত মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হওয়া এ অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সংস্থাটি মনে করে, আন্তর্জাতিক মানের আইনি প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ প্রশিক্ষণ না পাওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান স্থগিত করা উচিত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, বাংলাদেশে মাদক একটি মারাত্মক সমস্যা। কিন্তু যেকোনো পদক্ষেপ হওয়া উচিত আইনের মধ্যে থেকে। একই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় শক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মে মাসের শুরুতে এ মাদকবিরোধী অভিযানের কথা বলেছিলেন। পরে ৩০শে মে তিনি বলেন, এ অভিযানে প্রায় দশ হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অভিযানে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাতের বেলায়। এসব ঘটনার পর সরকারের তরফ থেকে কথিত বন্দুক যুদ্ধের যে বক্তব্য এসেছে, সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
বিবৃতিতে গত ১৯শে মে কর্তৃপক্ষ হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, র্যাবের সঙ্গে হওয়া ওই বন্দুকযুদ্ধে আরও দুজনকে মৃত উদ্ধারের কথা বলা হয়। তবে হাবিবুর রহমানের পরিবার জানিয়েছে, সে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা হেফাজতেই ছিলো। আারেকটি ঘটনায় ঢাকা ভিত্তিক একটি মানবাধিকার গ্রুপ দাবি করেছে, ইসলাম রনি নামে একজনকে বাড়ি থেকেই আটক করা হয়। তার পরিবার জানায় গোয়েন্দা পুলিশ পরে তার নিরাপত্তা ও মুক্তির জন্য ঘুষ দাবি করে। পরিবার থেকে পুলিশকে টাকাও দেয়া হয় কিন্তু রনি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
এরপর সমপ্রতি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহত হবার ঘটনা। তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা অডিওতে কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অডিওটি নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, অডিওর বিষয়ে তারা তদন্ত করবেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে বাংলাদেশের এনজিও, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রা্থদ আল হুসেইন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটি একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, এটি এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সরকার র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
খবরে বলা হয়, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, মাদকবিরোধী অভিযানের সময় সংঘটিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলোর স্বাধীনভাবে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়া উচিত বাংলাদেশ সরকারের। গত মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হওয়া এ অভিযানে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৩০ জনেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সংস্থাটি মনে করে, আন্তর্জাতিক মানের আইনি প্রয়োগের জন্য বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথাযথ প্রশিক্ষণ না পাওয়া পর্যন্ত এ ধরনের অভিযান স্থগিত করা উচিত। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, বাংলাদেশে মাদক একটি মারাত্মক সমস্যা। কিন্তু যেকোনো পদক্ষেপ হওয়া উচিত আইনের মধ্যে থেকে। একই সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় শক্তির ব্যবহার থেকে বিরত থাকা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মে মাসের শুরুতে এ মাদকবিরোধী অভিযানের কথা বলেছিলেন। পরে ৩০শে মে তিনি বলেন, এ অভিযানে প্রায় দশ হাজার ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, অভিযানে বেশিরভাগ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে রাতের বেলায়। এসব ঘটনার পর সরকারের তরফ থেকে কথিত বন্দুক যুদ্ধের যে বক্তব্য এসেছে, সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
বিবৃতিতে গত ১৯শে মে কর্তৃপক্ষ হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনা উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, র্যাবের সঙ্গে হওয়া ওই বন্দুকযুদ্ধে আরও দুজনকে মৃত উদ্ধারের কথা বলা হয়। তবে হাবিবুর রহমানের পরিবার জানিয়েছে, সে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা হেফাজতেই ছিলো। আারেকটি ঘটনায় ঢাকা ভিত্তিক একটি মানবাধিকার গ্রুপ দাবি করেছে, ইসলাম রনি নামে একজনকে বাড়ি থেকেই আটক করা হয়। তার পরিবার জানায় গোয়েন্দা পুলিশ পরে তার নিরাপত্তা ও মুক্তির জন্য ঘুষ দাবি করে। পরিবার থেকে পুলিশকে টাকাও দেয়া হয় কিন্তু রনি কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।
এরপর সমপ্রতি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছে টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহত হবার ঘটনা। তার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা অডিওতে কথাবার্তায় বোঝা যাচ্ছে যে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে অডিওটি নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, অডিওর বিষয়ে তারা তদন্ত করবেন। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতিতে বাংলাদেশের এনজিও, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রা্থদ আল হুসেইন ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের উদ্বেগ উৎকণ্ঠাও তুলে ধরা হয়েছে। সংস্থাটি একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বলছে, এটি এই কারণে গুরুত্বপূর্ণ যে প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও সরকার র্যাব ও অন্যান্য বাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
No comments