বাজেট শিল্প-ব্যবসাকে চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলবে
ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স
অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) মনে করছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত
বাজেট শিল্প ও ব্যবসা খাতকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। গতকাল রাজধানীর
ফেডারেশন ভবনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট পর্যালোচনা ও
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া এ মন্তব্য করেন সংগঠনটির সভাপতি শফিউল ইসলাম
মহিউদ্দিন। এদিকে ব্যবসায়ীদের অপর সংগঠন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড
ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) বলছে, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে করপোরেট
করের হার আরো কমানোর প্রয়োজন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেটে এক লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কেটি টাকার ঘাটতি দেখানো হয়েছে। ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাত থেকে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা নেয়া হবে। সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। এতে ব্যাংক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংক নির্ভর বাজেট উৎপাদন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সম্পতি ব্যাংক খাতে সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেটে ব্যাংক লোন নেয়ার ক্ষেত্রে সুদহার বাড়বে না এটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকে অস্থিরতার জন্য নিবিড় পর্যালোচনা দরকার। শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা বাজেটে ইনকাম ট্যাক্স সম্পন্ন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজেটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। যেন তড়িঘড়ি না করে শেষ তিন মাসে সব প্রকল্পে হাত দেয়া না হয়। সতিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো দিক আছে। বিদ্যুৎ, পরিবহন, অবকাঠামো খাতে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। বিধবা ভাতা, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, মুনতাকিম আশরাফ প্রমুখ।
এদিকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি আবুল কাসেম খান-এর সভাপতিত্বে ডিসিসিআই বোর্ড রুমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আবুল কাসেম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করের হার ৪০ শতাংশ থেকে ৩৭.৫ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করের হার ৪২.৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হলেও, পাবলিকলি ও নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি এবং মার্চেন্ট ব্যাংক খাতে বিদ্যমান করের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যার কারণে পুনঃবিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়তে পারে। জিডিপিতে বেসরকারিখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বিদ্যমান ২৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ২৫.১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হলেও কর্পোরেট করের হার কমানো না হলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। অথচ জিডিপিতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ শতাংশ বাড়াতে হলে প্রায় ২৪-২৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ অবস্থায় ঢাকা চেম্বার মনে করে, জিডিপিতে বেসরকারিখাতের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হলে কর্পোরেট সেক্টরের সকল খাতে করের হার ন্যূনতম ২.৫ শতাংশ হারে কমানো প্রয়োজন। ডিসিসিআই সভাপতি কোম্পানির লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত করের হার কামানোর প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান।
বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১,৭৩,০০০ কোটি টাকা, যা কিনা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৬.৫৯ শতাংশ বেশি এবং এডিপি খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব কে ডিসিসিআই সাধুবাদ জানায়। প্রস্তাবিত বাজেট মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়োছে ৩,৩৯,২৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআর’র উৎস হতে ২,৯৬,২০১ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য করের আওতা বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি বলে ডিসিসিআই মনে করে। প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি অবকাঠামো খাতে ২৪,১৭৩ কোটি টাকা এবং যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৪৫,৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে ঢাকা চেম্বার মনে করে, আমাদের অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা প্রয়োজন এবং এ বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করা আবশ্যক। ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, রেলখাতের উন্নয়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১১,১৫৫ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে, যা ৩ শতাংশ। এটাকে ৭ শতাংশে উন্নীত করার প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন। বলেন, রেলপথ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহন করা সম্ভব, যা ব্যবসার ব্যয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।
মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দকে সাধুবাদ জানিয়ে ডিসিসিআই’র সভাপতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা পরিচালনায় বিনিয়োগ করলে তা ৫ শতাংশ হারে করমুক্ত সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানান। দেশীয় উৎপাদিত মোটরসাইকেল, টায়ার-টিউব এবং মোবাইল ফোনোর আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির উপর শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান তিনি। আবুল কাসেম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু কিছু পণ্যের উপর ভ্যাটের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে, যার ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সকল পণ্যের উপর বিদ্যমান ভ্যাট হার বজায়ে রাখার আহ্বান জানান তিনি। সভায় ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাজেটে এক লাখ ১২ হাজার ২৭৬ কেটি টাকার ঘাটতি দেখানো হয়েছে। ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক খাত থেকে ৪২ হাজার ২৯ কোটি টাকা নেয়া হবে। সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা। এতে ব্যাংক খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংক নির্ভর বাজেট উৎপাদন খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সম্পতি ব্যাংক খাতে সুদহার বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজেটে ব্যাংক লোন নেয়ার ক্ষেত্রে সুদহার বাড়বে না এটা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংকে অস্থিরতার জন্য নিবিড় পর্যালোচনা দরকার। শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, আমরা বাজেটে ইনকাম ট্যাক্স সম্পন্ন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাজেটের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। যেন তড়িঘড়ি না করে শেষ তিন মাসে সব প্রকল্পে হাত দেয়া না হয়। সতিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু ভালো দিক আছে। বিদ্যুৎ, পরিবহন, অবকাঠামো খাতে বিশেষ নজর দেয়া হয়েছে। বিধবা ভাতা, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই-এর সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, মুনতাকিম আশরাফ প্রমুখ।
এদিকে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি আবুল কাসেম খান-এর সভাপতিত্বে ডিসিসিআই বোর্ড রুমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আবুল কাসেম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করের হার ৪০ শতাংশ থেকে ৩৭.৫ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানির করের হার ৪২.৫ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হলেও, পাবলিকলি ও নন-পাবলিকলি ট্রেডেড কোম্পানি এবং মার্চেন্ট ব্যাংক খাতে বিদ্যমান করের হার অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যার কারণে পুনঃবিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ কঠিন হয়ে পড়তে পারে। জিডিপিতে বেসরকারিখাতে বিনিয়োগের পরিমাণ বিদ্যমান ২৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে ২৫.১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হলেও কর্পোরেট করের হার কমানো না হলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে। অথচ জিডিপিতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ শতাংশ বাড়াতে হলে প্রায় ২৪-২৫ হাজার কোটি টাকার অতিরিক্ত বিনিয়োগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, এ অবস্থায় ঢাকা চেম্বার মনে করে, জিডিপিতে বেসরকারিখাতের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হলে কর্পোরেট সেক্টরের সকল খাতে করের হার ন্যূনতম ২.৫ শতাংশ হারে কমানো প্রয়োজন। ডিসিসিআই সভাপতি কোম্পানির লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত করের হার কামানোর প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান।
বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১,৭৩,০০০ কোটি টাকা, যা কিনা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ১৬.৫৯ শতাংশ বেশি এবং এডিপি খাতে বরাদ্দের প্রস্তাব কে ডিসিসিআই সাধুবাদ জানায়। প্রস্তাবিত বাজেট মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়োছে ৩,৩৯,২৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে এনবিআর’র উৎস হতে ২,৯৬,২০১ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য করের আওতা বাড়াতে কার্যকর উদ্যোগ ও পরিকল্পনা প্রণয়ন জরুরি বলে ডিসিসিআই মনে করে। প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি অবকাঠামো খাতে ২৪,১৭৩ কোটি টাকা এবং যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে ৪৫,৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে ঢাকা চেম্বার মনে করে, আমাদের অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজ যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা প্রয়োজন এবং এ বিষয়ে সরকারের নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি উন্নয়ন প্রকল্প সমূহের কাজের গুণগতমান নিশ্চিত করা আবশ্যক। ডিসিসিআই’র সভাপতি বলেন, রেলখাতের উন্নয়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১১,১৫৫ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে, যা ৩ শতাংশ। এটাকে ৭ শতাংশে উন্নীত করার প্রয়োজন বলেও তিনি মনে করেন। বলেন, রেলপথ ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ পণ্য পরিবহন করা সম্ভব, যা ব্যবসার ব্যয় হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে।
মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দকে সাধুবাদ জানিয়ে ডিসিসিআই’র সভাপতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণা পরিচালনায় বিনিয়োগ করলে তা ৫ শতাংশ হারে করমুক্ত সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানান। দেশীয় উৎপাদিত মোটরসাইকেল, টায়ার-টিউব এবং মোবাইল ফোনোর আমদানিকৃত যন্ত্রপাতির উপর শুল্ক হ্রাসের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান তিনি। আবুল কাসেম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু কিছু পণ্যের উপর ভ্যাটের হার বৃদ্ধি করা হয়েছে, যার ফলে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সকল পণ্যের উপর বিদ্যমান ভ্যাট হার বজায়ে রাখার আহ্বান জানান তিনি। সভায় ডিসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
No comments