রাজনৈতিক বাজেট বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ: অর্থনীতিবিদদের প্রতিক্রিয়া
প্রস্তাবিত
২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটকে বাস্তবায়ন অযোগ্য, চমকহীন ও ভারসাম্যমূলক বাজেট
হিসাবে অভিহিত করেছেন দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া বাজেটে
রাজস্ব আদায়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটাও অর্জন করা অসম্ভব
বলে মনে করছেন তারা। গতকাল জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর নতুন অর্থবছরের
প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অর্থনীতিবিদরা এ মন্তব্য
করেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এবি মীর্জ্জা আজিজুল
ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের যে
আকার নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। এছাড়া বাজেটে রাজস্ব আদায়ের
যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটাও অর্জন করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন,
প্রত্যেকবার বড় আকারের বাজেট দেয়া হচ্ছে। অথচ তা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারছে
না। এবারও তাই হবে বলে মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয়ত চ্যালেঞ্জ হচ্ছে
বাজেট লক্ষ্যমাত্রার জন্য প্রশাসনিক যে দক্ষতা প্রয়োজন তা আমাদের নেই।
যেখানে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার অভাব রযেছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে
চালের ওপর অসময়ে ২৮ শতাংশ আমদানি শুল্ক বসানো হয়েছে। এটা সঠিক হয়নি। তিনি
বলেন, এই বাজেটের মাধ্যমে মানুষের আয় বৈষম্য আরো বেড়ে যাবে। বাজেটে কর
মুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর দরকার ছিল। গত তিন বছর ধরে করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ
টাকা। বর্তমানেও একই রাখা হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে
করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর প্রয়োজন ছিল। মীর্জ্জা আজিজ আরো বলেন, ব্যাংকিং
খাতে যেসব সমস্যা রয়েছে তা মোকাবিলায় বাজেটে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বরং
নতুন করে ব্যাংকের আমানতের একটা স্তরের ওপর সারচার্জ বসানো হয়েছে। এতে করে
ব্যাংকের আমানতের প্রবৃদ্ধি আরো কমে যাবে এবং ব্যাংকের ঋণের সুদের হার বেড়ে
যাবে। তিনি বলেন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক খাতে আড়াই শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স
কমানোর উদ্দেশ্য কি? ব্যাংকগুলো চাইলো আর কর্পোরেট ট্যাক্স কমিয়ে দেয়া
হলো? তিনি বলেন, কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর আগে ব্যাংকগুলোকে কিছু শর্তারোপ
করা দরকার ছিল। কর্পোরেট ট্যাক্স কমানোর বিনিময়ে ব্যাংকগুলো সুদের হার
কমানোর শর্ত দেয়া যেত।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মানবজমিনকে বলেন, বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই। পুরনো কাঠামো ও পুরনো চিন্তার মধ্যেই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর কমানো হয়েছে। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষেরই বেশি লাভ হবে। কেন এ কর কমানো হয়েছে তার পেছনে যৌক্তিক ও প্রশাসনিক কোনো কারণ দেখছি না। ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্যের মধ্যে এ ধরনের করপোরেট কর ছাড় দেয়া ঠিক হয়নি। রোহিঙ্গাদের জন্য কী পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে সেরকম কোনো আর্থিক মূল্যায়ন করা হয়নি। সঞ্চয়পত্রের ওপর চাপ কমিয়ে ব্যাংকিং খাতকে চাঙ্গা করা উচিত ছিল। কিন্তু এই ঘোষিত বাজেটকে দেখে মনে হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকতে হবে। সিপিডির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চাল আমদানির ওপর শুল্ক কমানো হবে, এবার এটা বাজেটে কমানো হয়েছে। সিপিডি খুশি হয়েছে। কৃষক এটাতে লাভবান হবে, যোগ করেন এই বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, বাজেটে রাজনৈতিক কনফিগারেশন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামনে নির্বাচন তাই বড় বাজেট না দিলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই অর্থমন্ত্রী এতো বড় বাজেট দিয়েছেন।
জনকল্যাণমুখী বাজেট হয়নি। বাজেটের প্রকল্পগুলো যদি জনকল্যাণমুখী হতো, মানুষের জীবন যাত্রার মান এবং প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো তবে সেটা ভালো হতো। কিন্তু এমন কিছুই দেখছি না। সবমিলে একটা সাদামাটা বাজেট পেলাম, যা হতাশাজনক। অতীতের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, বড় বাজেট বাস্তবায়নের যে সক্ষমতা সেটা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। সরকারি সংস্থাগুলা, ব্যবসায়ী সংগঠন অথবা ব্যাংকিং খাতের কথা যদি বলি, তাদের মাধ্যমেইতো বাজেট বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু এ বাজেট বাস্তবায়ন তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট একটি ভারসাম্যমূলক বাজেট। নির্বাচনের বছরে এরকম বাজেটই কাম্য। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে শুল্কহার কমানো হয়েছে, এটি ইতিবাচক। তবে বিনোয়োগের ক্ষেত্রে আর একটু ছাড় দিলে ভালো হতো। সব মিলিয়ে এটি একটি ভারসাম্যমূলক বাজেট।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আইবিএফবি প্রেসিডেন্ট হাফিজুর রহমান খান বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতার সঙ্গে বাজেটের আকার সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে বাজেট শুধু প্রণয়ন করলেই হবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, করপোরেট ট্যাক্স কমানো একটা ভালো সিদ্ধান্ত। বাজেটে দেশীয় শিল্পকে আরো সমৃদ্ধ করতে বেশ কিছু সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে আইবিএফবি’র পক্ষ থেকে অনুন্নত জেলাগুলোকে এগিয়ে নিতে একটি জেলা বাজেটের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল সেটা হয়নি। আশা করছি ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার উদ্যোগে ঘাটতি রয়েছে। তবে যেহেতু চূড়ান্ত বাজেট প্রণয়নে এখনো সময় রয়েছে তাই এটি সামগ্রিকভাবে ব্যবসাবান্ধব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজেটে ব্যাংক রেট কমানোর প্রস্তাবকে ভালো উদ্যোগ উল্লেখ করে মহিউদ্দিন বলেন, দেশের ব্যাংকিংখাতে মানুষের আস্থা ধরে রাখতে এই উদ্যোগ ইতিবাচক। সেই সঙ্গে ব্যাংকিংখাতে কমিশন গঠনের প্রস্তাবকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এফবিসিসিআই। বিদ্যুৎখাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে জোর দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এটিকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এফবিসিসিআই। করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কর্পোরেট করের হার আরো কমানো প্রয়োজন। ঢাকা চেম্বার মনে করে, জিডিপিতে বেসরকারিখাতের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হলে কর্পোরেট সেক্টরের সকল খাতে করের হার ন্যূনতম ২.৫ শতাংশ হারে কমানো প্রয়োজন। ডিসিসিআই সভাপতি কোম্পানির লভ্যাংশের উপর দ্বৈত করের হার কামানোর প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি সেলিমা আহমেদ আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন প্রত্যাশী এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাজেট উপস্থাপন করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মানবজমিনকে বলেন, বাজেটে নতুন কোনো চমক নেই। পুরনো কাঠামো ও পুরনো চিন্তার মধ্যেই বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট কর কমানো হয়েছে। এক্ষেত্রে মালিকপক্ষেরই বেশি লাভ হবে। কেন এ কর কমানো হয়েছে তার পেছনে যৌক্তিক ও প্রশাসনিক কোনো কারণ দেখছি না। ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্যের মধ্যে এ ধরনের করপোরেট কর ছাড় দেয়া ঠিক হয়নি। রোহিঙ্গাদের জন্য কী পরিমাণ অর্থ খরচ হচ্ছে সেরকম কোনো আর্থিক মূল্যায়ন করা হয়নি। সঞ্চয়পত্রের ওপর চাপ কমিয়ে ব্যাংকিং খাতকে চাঙ্গা করা উচিত ছিল। কিন্তু এই ঘোষিত বাজেটকে দেখে মনে হচ্ছে সঞ্চয়পত্রের দিকে ঝুঁকতে হবে। সিপিডির দীর্ঘদিনের দাবি ছিল চাল আমদানির ওপর শুল্ক কমানো হবে, এবার এটা বাজেটে কমানো হয়েছে। সিপিডি খুশি হয়েছে। কৃষক এটাতে লাভবান হবে, যোগ করেন এই বিশেষজ্ঞ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, বাজেটে রাজনৈতিক কনফিগারেশন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সামনে নির্বাচন তাই বড় বাজেট না দিলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। তাই অর্থমন্ত্রী এতো বড় বাজেট দিয়েছেন।
জনকল্যাণমুখী বাজেট হয়নি। বাজেটের প্রকল্পগুলো যদি জনকল্যাণমুখী হতো, মানুষের জীবন যাত্রার মান এবং প্রবৃদ্ধি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো তবে সেটা ভালো হতো। কিন্তু এমন কিছুই দেখছি না। সবমিলে একটা সাদামাটা বাজেট পেলাম, যা হতাশাজনক। অতীতের অভিজ্ঞতায় আমরা দেখেছি, বড় বাজেট বাস্তবায়নের যে সক্ষমতা সেটা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। সরকারি সংস্থাগুলা, ব্যবসায়ী সংগঠন অথবা ব্যাংকিং খাতের কথা যদি বলি, তাদের মাধ্যমেইতো বাজেট বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু এ বাজেট বাস্তবায়ন তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ বাজেট নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট একটি ভারসাম্যমূলক বাজেট। নির্বাচনের বছরে এরকম বাজেটই কাম্য। শিল্পায়নের ক্ষেত্রে শুল্কহার কমানো হয়েছে, এটি ইতিবাচক। তবে বিনোয়োগের ক্ষেত্রে আর একটু ছাড় দিলে ভালো হতো। সব মিলিয়ে এটি একটি ভারসাম্যমূলক বাজেট।
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ আইবিএফবি প্রেসিডেন্ট হাফিজুর রহমান খান বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতার সঙ্গে বাজেটের আকার সামঞ্জস্যপূর্ণ। তবে বাজেট শুধু প্রণয়ন করলেই হবে না, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, করপোরেট ট্যাক্স কমানো একটা ভালো সিদ্ধান্ত। বাজেটে দেশীয় শিল্পকে আরো সমৃদ্ধ করতে বেশ কিছু সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে আইবিএফবি’র পক্ষ থেকে অনুন্নত জেলাগুলোকে এগিয়ে নিতে একটি জেলা বাজেটের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছিল সেটা হয়নি। আশা করছি ভবিষ্যতে বিষয়টি বিবেচনা করা হোক।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই) সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেছেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষার উদ্যোগে ঘাটতি রয়েছে। তবে যেহেতু চূড়ান্ত বাজেট প্রণয়নে এখনো সময় রয়েছে তাই এটি সামগ্রিকভাবে ব্যবসাবান্ধব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাজেটে ব্যাংক রেট কমানোর প্রস্তাবকে ভালো উদ্যোগ উল্লেখ করে মহিউদ্দিন বলেন, দেশের ব্যাংকিংখাতে মানুষের আস্থা ধরে রাখতে এই উদ্যোগ ইতিবাচক। সেই সঙ্গে ব্যাংকিংখাতে কমিশন গঠনের প্রস্তাবকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এফবিসিসিআই। বিদ্যুৎখাতের অবকাঠামোগত উন্নয়নকে জোর দেয়া হয়েছে প্রস্তাবিত বাজেটে। এটিকেও ইতিবাচক হিসেবে দেখছে এফবিসিসিআই। করমুক্ত আয়সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে কর্পোরেট করের হার আরো কমানো প্রয়োজন। ঢাকা চেম্বার মনে করে, জিডিপিতে বেসরকারিখাতের বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে হলে কর্পোরেট সেক্টরের সকল খাতে করের হার ন্যূনতম ২.৫ শতাংশ হারে কমানো প্রয়োজন। ডিসিসিআই সভাপতি কোম্পানির লভ্যাংশের উপর দ্বৈত করের হার কামানোর প্রস্তাবকে সাধুবাদ জানান।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি সেলিমা আহমেদ আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য উন্নয়ন প্রত্যাশী এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাজেট উপস্থাপন করায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
No comments