মমতাজের ঠিকানা এখন মানসিক হাসপাতাল by রোকনুজ্জামান পিয়াস
সাতক্ষীরার
প্রত্যন্ত এক গ্রামের মমতাজ খাতুন। স্বামী পরিত্যক্তা। পিতা-মাতার সংসারেও
নিত্য অভাব-অনটন। সেই সংসারেই ঠাঁই হয়েছে তার। সঙ্গে একমাত্র ছেলে। ওই
ছেলেই তার বেঁচে থাকার অবলম্বন। সে এখন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ভাগ্যবিড়ম্বিত
এই নারী স্বপ্ন দেখতেন, ছেলে একদিন বড় হবে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। ভালো
চাকরি করবে। ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ে দিতে তাই সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু ভাগ্য প্রতারণা করেছে তার সঙ্গে। প্রথম ৬ মাস নিয়মিত বেতনের টাকা
পাঠালেও গত তিন মাস ধরে খোঁজ ছিল না মমতাজের। পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন
দুশ্চিন্তায়। অবশেষে খোঁজ মিলেছে তার। ফিরে এসেছেন সৌদি আরব থেকে। তবে এ এক
অন্য মমতাজ। এখন তিনি মৃত্যু ভয়ে ভীত।
সারাক্ষণ বিড়বিড় করেন। এই অবস্থায় তার ঠিকানা হয়েছে রাজধানীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। হাসপাতালের ৩০৮ নং কক্ষের ১ নং বেডে ভর্তি করিয়ে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটায় দেশে ফেরার পর ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৌদি আরবে গৃহকর্মে যাওয়া নারীদের অধিকাংশই শারীরিক, মানসিক ও যৌনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিনই একাধিক নারী দেশে ফিরে আসছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সংখ্যক দেশে ফিরছেন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে। মমতাজ ছাড়াও বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকজন নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফিরেছেন। গত রোববার নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফেরা ৪০ নারীর মধ্যে মনোয়ারা নামে এক নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। ফিরে আসা নারীরা জানিয়েছেন, দেশটিতে গৃহকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারানো আরো বেশ কয়েকজন নারী দূতাবাসের সেফ হোমে অবস্থান করছেন।
জাতীয় মানসিক হাসপাতালে কথা হয় সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া গ্রামের রুদ্রপুর গ্রামের মমতাজের ভাই আফজালের সঙ্গে। তিনি জানান, তার বোন স্বামী পরিত্যক্তা। একমাত্র ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের কথা চিন্তা করেই নয় মাস আগে পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি সৌদি গিয়েছিলেন। প্রথম ৬ মাস নিয়মিত বেতন পাঠাতেন। ওই সময় প্রতিমাসে একবার করে কথা হতো। গত তিনমাস ধরে তার বোন ফোন করেনি। বেতনও পাঠাননি। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে গত শুক্রবার সকালে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তা আল আমিন নয়ন তাকে ফোন করে জানান, তার বোন দেশে এসেছে। তাকে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) অফিসে রাখা হয়েছে। আফজাল বলেন, ওই অফিসে গিয়ে বোনকে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ি। তিনি এক কাপড়ে সৌদি থেকে এসেছে। আফজাল বলেন, ওই সময় তার বোন বলছিলো, ‘আমার মা-বাবা, ভাই-বোনকে মেরে ফেলেছে। তাদের কেটে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছে।’ এছাড়া সবসময় সে বিড়বিড় করে কথা বলে। কার সঙ্গে সে কথা বলছে জানতে চাইলে বলে, ‘তোরা বুঝবি না। আমি যার সঙ্গে কথা বলছি সে ঠিকই বুঝছে।’ মাঝে মাঝে বলে, ‘ওরা আসছে, মেরে ফেলবে।’ তিনি বলেন, পরে নয়ন তার বোনকে মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যান। তার সহযোগিতায় এখানে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, ৩২ বছর বয়সী মমতাজ খাতুন গত বছরের ২৯শে সেপ্টেম্বর রিক্রুটিং এজেন্সি বিএস ইন্টারন্যাশনাল-এর মাধ্যমে সৌদি আরব যান। শুক্রবার দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে তাকে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায়।
এ সময় বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা এক নারী পুলিশকে মারধর করেন তিনি। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বিমানবন্দরের কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা তাকে জরুরিভিত্তিতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মানসিক হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অভিভাবক না থাকার কারণে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতে ওকাপ-এর শেল্টারে পাঠানো হয়। রাতে মমতাজের মা ও ভাই পৌঁছার পর রোববার সকালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গত তিন মাসে মমতাজের সঙ্গে কি ঘটনা ঘটেছিলো সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। কীভাবে তিনি দূতাবাসের সেফ হোমে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাও অজানা রয়ে গেছে। মমতাজ সুস্থ না হলে হয়তো প্রকৃত ঘটনা রহস্যাবৃতই থেকে যাবে।
নরসিংদী জেলার শিবপুরের ঝর্ণা বেগম। গত ৮ মাস আগে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। পরিবারের অমতেই তিনি দেশটিতে যান। সেখানে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অবশেষে দেশে ফিরে আসলেই খোঁজ মেলে তার। গত ২২শে মার্চ বিমানবন্দরে পরিবারের সদস্যরা তাকে পায় মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায়। এরপর চলে চিকিৎসা। কিন্তু এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। তার ভাই লোকমান জানান, তার ওপর নানান ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রায় ৬ মাস দেশটিতে অবস্থান করলেও কোনো বেতনাদি পাননি। তিনি বলেন, পুরোপুরি সুস্থ হতে এখনো সময় লাগবে। টাকা পয়সার অভাবে নিয়মিত চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না বলেও জানান তিনি। ঝর্ণার সঙ্গে একই দিন দেশে ফেরেন আরেক মানসিক ভারসাম্যহীন ফরিদপুরের আকলিমা। জানা গেছে, বিভিন্ন সময় দেশে ফিরে আসা মানসিক ভারসাম্যহীন এসব নারীদের কাউন্সেলিং করছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
এ ব্যাপারে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, এ পর্যন্ত কতজন সৌদি ফেরত নারী পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে যেসব নারীরা ফেরত আসছেন তারা সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি বলেন, ফেরত আসা প্রত্যেক কর্মীই নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেককে ফ্যামিলি গ্রহণ করছে না, কেউ সমাজে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারছে না। কেউ একঘরে হয়ে পড়েছেন। এতে করে তারা ভয়ঙ্করভাবে ট্রমাটাইজ হয়ে পড়ছে। সেই অর্থে প্রত্যেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি আরো বলেন, এসব মানসিক বিপর্যস্ত মানুষের জন্য প্রথম দরকার কাউন্সেলিং। তাদের সংস্থায় কাউন্সেলিং ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমান ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম এ ধরনের ৬টি কেস তত্ত্বাবধান করছে। সংস্থা তাদের নিয়মিত কাউন্সেলিং দিয়ে আসছে।
সারাক্ষণ বিড়বিড় করেন। এই অবস্থায় তার ঠিকানা হয়েছে রাজধানীর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। হাসপাতালের ৩০৮ নং কক্ষের ১ নং বেডে ভর্তি করিয়ে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গত শুক্রবার ভোর সাড়ে চারটায় দেশে ফেরার পর ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগিতায় তাকে হাসপাতালটিতে ভর্তি করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সৌদি আরবে গৃহকর্মে যাওয়া নারীদের অধিকাংশই শারীরিক, মানসিক ও যৌনসহ নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রতিদিনই একাধিক নারী দেশে ফিরে আসছেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সংখ্যক দেশে ফিরছেন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে। মমতাজ ছাড়াও বিভিন্ন সময় বেশ কয়েকজন নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে দেশে ফিরেছেন। গত রোববার নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফেরা ৪০ নারীর মধ্যে মনোয়ারা নামে এক নারী মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন। ফিরে আসা নারীরা জানিয়েছেন, দেশটিতে গৃহকর্তার নির্যাতনের শিকার হয়ে মানসিক ভারসাম্য হারানো আরো বেশ কয়েকজন নারী দূতাবাসের সেফ হোমে অবস্থান করছেন।
জাতীয় মানসিক হাসপাতালে কথা হয় সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া গ্রামের রুদ্রপুর গ্রামের মমতাজের ভাই আফজালের সঙ্গে। তিনি জানান, তার বোন স্বামী পরিত্যক্তা। একমাত্র ছেলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ছেলের কথা চিন্তা করেই নয় মাস আগে পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির মাধ্যমে তিনি সৌদি গিয়েছিলেন। প্রথম ৬ মাস নিয়মিত বেতন পাঠাতেন। ওই সময় প্রতিমাসে একবার করে কথা হতো। গত তিনমাস ধরে তার বোন ফোন করেনি। বেতনও পাঠাননি। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। পরে গত শুক্রবার সকালে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তা আল আমিন নয়ন তাকে ফোন করে জানান, তার বোন দেশে এসেছে। তাকে অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন প্রোগ্রামের (ওকাপ) অফিসে রাখা হয়েছে। আফজাল বলেন, ওই অফিসে গিয়ে বোনকে দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ি। তিনি এক কাপড়ে সৌদি থেকে এসেছে। আফজাল বলেন, ওই সময় তার বোন বলছিলো, ‘আমার মা-বাবা, ভাই-বোনকে মেরে ফেলেছে। তাদের কেটে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছে।’ এছাড়া সবসময় সে বিড়বিড় করে কথা বলে। কার সঙ্গে সে কথা বলছে জানতে চাইলে বলে, ‘তোরা বুঝবি না। আমি যার সঙ্গে কথা বলছি সে ঠিকই বুঝছে।’ মাঝে মাঝে বলে, ‘ওরা আসছে, মেরে ফেলবে।’ তিনি বলেন, পরে নয়ন তার বোনকে মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যান। তার সহযোগিতায় এখানে ভর্তি করা হয়। জানা যায়, ৩২ বছর বয়সী মমতাজ খাতুন গত বছরের ২৯শে সেপ্টেম্বর রিক্রুটিং এজেন্সি বিএস ইন্টারন্যাশনাল-এর মাধ্যমে সৌদি আরব যান। শুক্রবার দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে তাকে উত্তেজিত অবস্থায় দেখা যায়।
এ সময় বিমানবন্দরের দায়িত্বে থাকা এক নারী পুলিশকে মারধর করেন তিনি। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়েন। তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বিমানবন্দরের কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের কর্মকর্তারা তাকে জরুরিভিত্তিতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে নেন। হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাকে মানসিক হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অভিভাবক না থাকার কারণে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাতে ওকাপ-এর শেল্টারে পাঠানো হয়। রাতে মমতাজের মা ও ভাই পৌঁছার পর রোববার সকালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে গত তিন মাসে মমতাজের সঙ্গে কি ঘটনা ঘটেছিলো সে ব্যাপারে কিছুই জানা যায়নি। কীভাবে তিনি দূতাবাসের সেফ হোমে আশ্রয় নিয়েছিলেন তাও অজানা রয়ে গেছে। মমতাজ সুস্থ না হলে হয়তো প্রকৃত ঘটনা রহস্যাবৃতই থেকে যাবে।
নরসিংদী জেলার শিবপুরের ঝর্ণা বেগম। গত ৮ মাস আগে তিনি সৌদি আরব গিয়েছিলেন। পরিবারের অমতেই তিনি দেশটিতে যান। সেখানে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অবশেষে দেশে ফিরে আসলেই খোঁজ মেলে তার। গত ২২শে মার্চ বিমানবন্দরে পরিবারের সদস্যরা তাকে পায় মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায়। এরপর চলে চিকিৎসা। কিন্তু এখনো পুরোপুরি সুস্থ নন তিনি। তার ভাই লোকমান জানান, তার ওপর নানান ধরনের নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রায় ৬ মাস দেশটিতে অবস্থান করলেও কোনো বেতনাদি পাননি। তিনি বলেন, পুরোপুরি সুস্থ হতে এখনো সময় লাগবে। টাকা পয়সার অভাবে নিয়মিত চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না বলেও জানান তিনি। ঝর্ণার সঙ্গে একই দিন দেশে ফেরেন আরেক মানসিক ভারসাম্যহীন ফরিদপুরের আকলিমা। জানা গেছে, বিভিন্ন সময় দেশে ফিরে আসা মানসিক ভারসাম্যহীন এসব নারীদের কাউন্সেলিং করছে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
এ ব্যাপারে ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, এ পর্যন্ত কতজন সৌদি ফেরত নারী পুরোপুরি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে যেসব নারীরা ফেরত আসছেন তারা সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি বলেন, ফেরত আসা প্রত্যেক কর্মীই নানা ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। অনেককে ফ্যামিলি গ্রহণ করছে না, কেউ সমাজে স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে পারছে না। কেউ একঘরে হয়ে পড়েছেন। এতে করে তারা ভয়ঙ্করভাবে ট্রমাটাইজ হয়ে পড়ছে। সেই অর্থে প্রত্যেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তিনি আরো বলেন, এসব মানসিক বিপর্যস্ত মানুষের জন্য প্রথম দরকার কাউন্সেলিং। তাদের সংস্থায় কাউন্সেলিং ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমান ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম এ ধরনের ৬টি কেস তত্ত্বাবধান করছে। সংস্থা তাদের নিয়মিত কাউন্সেলিং দিয়ে আসছে।
No comments