তাহলে কি আমি অভিযান বন্ধ করে দেবো: শেখ হাসিনার প্রশ্ন
বাংলাদেশের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি।
অন্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে আছে। কে কি গডফাদার
আমরা দেখছি না। আমরা অভিযান হঠাৎ করে শুরু করিনি। অনেক দিন ধরে দেখে তারপর এ
অভিযান শুরু হয়েছে।
আজ (বুধবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনার সমালোচনাকারীদের পাল্টা সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "দেশকে মাদকমুক্ত করতে এ অভিযান শুরু হয়েছে। অনেক পত্রপত্রিকা মাদক নিয়ে অনেক খবর দিয়েছে। এখন আবার অভিযানে কিছু একটা ঘটলে সমালোচনা করছে। তাহলে কি আমি অভিযান বন্ধ করে দেবো?"
তিনি জানান, এই পর্যন্ত দশ হাজারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছে, মাদক বিরোধী অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছে এমন একটি ঘটনা ঘটেনি।
শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, মাদকের পেছনে যেই গডফাদারই থাকুক তাদের ছাড়া হচ্ছে না, হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, "যখন কোথাও পুলিশ, র্যাব কোথাও অভিযানে যায়, আর সেখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকলে, কোনো নিরীহ ব্যক্তি শিকার হলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।"
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে তিনি সাম্প্রতিক ভারত সফরে নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
গত শুক্রবার দুই দিনের সরকারি সফরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী। ওই দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি র সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করেন। এ সময় হাসিনা ও মোদির মধ্যে বাংলাদেশ ভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, "আপনি পুরস্কার আরও পেয়েছেন, আরও পাবেন, কিন্তু যে পুরস্কারের প্রাপ্য আপনি, তা এখনও পাননি, সেটা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। এজন্য এখন থেকেই প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানাই।"
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কোনো পুরস্কারের প্রতি আমার প্রবৃত্তি নেই। আমি চাই আমার দেশের মানুষ যেন দু'বেলা দু'মুঠো খেতে পারে। আর কোনো পুরস্কারের জন্য লবিস্ট নিয়োগের আর্থিক সামর্থ্যও নেই আমার। সামর্থ্য থাকলেও এসব আমি সমর্থন করি না। বরং টাকা থাকলে আমার গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই।"
সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, এতে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কথা হয়েছে কি-না, প্রশ্ন করা হলে সরকারপ্রধান বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়েছি বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনে, সেদিকেই আমাদের গুরুত্ব ছিল। আর তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আমাদের দু'দেশের যৌথ নদী কমিশন আছে, সেখানে আলোচনা চলছে।"
এই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
তার সফর নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তারা বলে, আমরা নাকি এক বালতি পানিও আনতে পারিনি। অথচ গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি আমরাই করেছি। যারা মুচলেকা দেয়, আমি সে দলে নই।
আজ (বুধবার) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাম্প্রতিক ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যুর ঘটনার সমালোচনাকারীদের পাল্টা সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, "দেশকে মাদকমুক্ত করতে এ অভিযান শুরু হয়েছে। অনেক পত্রপত্রিকা মাদক নিয়ে অনেক খবর দিয়েছে। এখন আবার অভিযানে কিছু একটা ঘটলে সমালোচনা করছে। তাহলে কি আমি অভিযান বন্ধ করে দেবো?"
তিনি জানান, এই পর্যন্ত দশ হাজারের মতো গ্রেপ্তার হয়েছে, মাদক বিরোধী অভিযানে কোনো নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছে এমন একটি ঘটনা ঘটেনি।
শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, মাদকের পেছনে যেই গডফাদারই থাকুক তাদের ছাড়া হচ্ছে না, হবে না।
শেখ হাসিনা বলেন, "যখন কোথাও পুলিশ, র্যাব কোথাও অভিযানে যায়, আর সেখানে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকলে, কোনো নিরীহ ব্যক্তি শিকার হলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।"
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে তিনি সাম্প্রতিক ভারত সফরে নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
গত শুক্রবার দুই দিনের সরকারি সফরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা যান প্রধানমন্ত্রী। ওই দিনই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি র সঙ্গে যৌথভাবে শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধন করেন। এ সময় হাসিনা ও মোদির মধ্যে বাংলাদেশ ভবনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত শনিবার পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, "আপনি পুরস্কার আরও পেয়েছেন, আরও পাবেন, কিন্তু যে পুরস্কারের প্রাপ্য আপনি, তা এখনও পাননি, সেটা শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। এজন্য এখন থেকেই প্রক্রিয়া শুরুর আহ্বান জানাই।"
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কোনো পুরস্কারের প্রতি আমার প্রবৃত্তি নেই। আমি চাই আমার দেশের মানুষ যেন দু'বেলা দু'মুঠো খেতে পারে। আর কোনো পুরস্কারের জন্য লবিস্ট নিয়োগের আর্থিক সামর্থ্যও নেই আমার। সামর্থ্য থাকলেও এসব আমি সমর্থন করি না। বরং টাকা থাকলে আমার গরিবের মাঝে বিলিয়ে দিতে চাই।"
সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, এতে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কথা হয়েছে কি-না, প্রশ্ন করা হলে সরকারপ্রধান বলেন, "পশ্চিমবঙ্গ সফরে গিয়েছি বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধনে, সেদিকেই আমাদের গুরুত্ব ছিল। আর তিস্তা চুক্তির বিষয়ে আমাদের দু'দেশের যৌথ নদী কমিশন আছে, সেখানে আলোচনা চলছে।"
এই সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরের মধ্য দিয়ে দু'দেশের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়েছে।
তার সফর নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তারা বলে, আমরা নাকি এক বালতি পানিও আনতে পারিনি। অথচ গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি আমরাই করেছি। যারা মুচলেকা দেয়, আমি সে দলে নই।
No comments