গাজা ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় ২০১৪ সালের ‘যুদ্ধস্মৃতি’
২৪
ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
ইসরায়েলের একটি খালি কিন্ডারগার্টেনকে লক্ষ্য করে ৩০টি মর্টার হামলা চালায়
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। তাদের দাবি, গাজায়
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিরোধেই এই হামলা চালিয়েছে তারা।
জবাবে মঙ্গলবার হামাস ও ইসলামিক জিহাদের ৩৫টি স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা
চালায় ইসরায়েল। ২০১৪ সালের গাজা যুদ্ধের পর এমন বৃহৎ পরিসরে পারস্পরিক
হামলার ঘটনা এবারই প্রথম।
ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় তাদের তিনজন সেনা আহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকা থেকে এসব রকেট হামলা করা করা হয়। ইসলামিক জিহাদ ও হামাস এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলের অবরোধের জবাবে তারা এই হামলা চালিয়েছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনে বেশ কয়েকবার ইসরায়েলের চালানো হামলার জবাব দিয়েছে তারা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস ও ইসলামিক জিহাদের স্থাপনা লক্ষ্য করে ৫৫টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের হামলায় এখনও কোনও হতাহতের কথা জানা যায়নি।
ইসরায়েলি গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ বলেন, ‘যুদ্ধের খুব কাছাকাছি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদি গুলি চলতেই থাকে তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
ইসলামিক জিহাদের দাউদ সাহাব বলেন, মিসরের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তার দাবি, ইসলামিক জিহাদ সহিংসতা চায়নি। ইসরায়েলের দোষেই এমনটা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি ইসরায়েল চুপ থাকে এবং সবধরনের আগ্রাসন থাকে, তবেই আমরা শান্ত হবো।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথান কনরিকাস বলেন, ২০১৪ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। সেনাবাহিনীর দাবি, মঙ্গলবার ৭০টির বেশি হামলা চালিয়েছিলা হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। অনেকগুলো প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েল। বাকিগুলো খালিস্থানে আঘাত এনেছে। একটি রকেট কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে পড়লে এর দেয়াল ধসে যায়। এক ঘণ্টা পরই স্কুলটি খোলার কথা ছিল।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে। গত মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিদের ছয় সপ্তাহের মার্চ অব রিটার্ন আন্দোলন চলার সময় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১১৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনিরাও ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলের গুলি চালানোর নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে ইসরায়েলের দাবি, নিহতরা সবাই সন্ত্রাসী।
হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, এটি ইসরায়েলের আগ্রাসনের স্বাভাবিক জবাব। তিনি বলেন, ‘আমাদের রক্ত সস্তা না।’ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েলেরে আগ্রাসনই প্রমাণ করে যে তারা শান্তি চায় না।
এদিকে হামাসের রকেট হামলা নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্র চায় জাতিসংঘ যেন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি থেকে ছোড়া মরটার কিন্ডারগার্টেনসহ বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত এনেছে। নিরাপত্তা পরিষদের এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ফিলিস্তিনির নেতাদের দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
গাজার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের নিক্ষেপ করা একটি মিসাইলের অংশ স্কুলে এসে পড়ে। হামলায় চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত নিকোলায় ম্লাদেনোভ বলেন, এই পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তিনি।
মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় একটি ফিলিস্তিনিবাহী নৌকা আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সমুদ্র অবরোধের জবাবে ওই নৌকা চালাচ্ছিল ফিলিস্তিনিরা। সেনাবাহিনী জানায়, কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা ছাড়াই নৌকাটি জব্দ করে তারা। সেখানে ১৭ জন যাত্রী ছিল।
ইসরায়েলের দাবি, হামাসের হামলায় তাদের তিনজন সেনা আহত হয়েছেন। গাজা উপত্যকা থেকে এসব রকেট হামলা করা করা হয়। ইসলামিক জিহাদ ও হামাস এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ইসরায়েলের অবরোধের জবাবে তারা এই হামলা চালিয়েছে। সম্প্রতি ফিলিস্তিনে বেশ কয়েকবার ইসরায়েলের চালানো হামলার জবাব দিয়েছে তারা।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, হামাস ও ইসলামিক জিহাদের স্থাপনা লক্ষ্য করে ৫৫টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েলের হামলায় এখনও কোনও হতাহতের কথা জানা যায়নি।
ইসরায়েলি গোয়েন্দাবিষয়ক মন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ বলেন, ‘যুদ্ধের খুব কাছাকাছি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদি গুলি চলতেই থাকে তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
ইসলামিক জিহাদের দাউদ সাহাব বলেন, মিসরের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করছেন। তার দাবি, ইসলামিক জিহাদ সহিংসতা চায়নি। ইসরায়েলের দোষেই এমনটা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি ইসরায়েল চুপ থাকে এবং সবধরনের আগ্রাসন থাকে, তবেই আমরা শান্ত হবো।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র জোনাথান কনরিকাস বলেন, ২০১৪ সালের পর এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। সেনাবাহিনীর দাবি, মঙ্গলবার ৭০টির বেশি হামলা চালিয়েছিলা হামাস ও ইসলামিক জিহাদ। অনেকগুলো প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে ইসরায়েল। বাকিগুলো খালিস্থানে আঘাত এনেছে। একটি রকেট কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে পড়লে এর দেয়াল ধসে যায়। এক ঘণ্টা পরই স্কুলটি খোলার কথা ছিল।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সম্প্রতি সহিংসতার মাত্রা বেড়েছে। গত মার্চ থেকে ফিলিস্তিনিদের ছয় সপ্তাহের মার্চ অব রিটার্ন আন্দোলন চলার সময় গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১১৮ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনিরাও ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক হামলা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলের গুলি চালানোর নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। তবে ইসরায়েলের দাবি, নিহতরা সবাই সন্ত্রাসী।
হামাসের এক মুখপাত্র বলেন, এটি ইসরায়েলের আগ্রাসনের স্বাভাবিক জবাব। তিনি বলেন, ‘আমাদের রক্ত সস্তা না।’ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস বলেছেন, ইসরায়েলেরে আগ্রাসনই প্রমাণ করে যে তারা শান্তি চায় না।
এদিকে হামাসের রকেট হামলা নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্র চায় জাতিসংঘ যেন এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানায়। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালে বলেন, ‘ফিলিস্তিনি থেকে ছোড়া মরটার কিন্ডারগার্টেনসহ বেসামরিক স্থাপনায় আঘাত এনেছে। নিরাপত্তা পরিষদের এই নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। ফিলিস্তিনির নেতাদের দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
গাজার শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের নিক্ষেপ করা একটি মিসাইলের অংশ স্কুলে এসে পড়ে। হামলায় চারপাশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘের বিশেষ দূত নিকোলায় ম্লাদেনোভ বলেন, এই পরিস্থিতিতে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন তিনি।
মঙ্গলবার গাজা উপত্যকায় একটি ফিলিস্তিনিবাহী নৌকা আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সমুদ্র অবরোধের জবাবে ওই নৌকা চালাচ্ছিল ফিলিস্তিনিরা। সেনাবাহিনী জানায়, কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা ছাড়াই নৌকাটি জব্দ করে তারা। সেখানে ১৭ জন যাত্রী ছিল।
No comments