সাজা ভোগের ২ যুগের বেশি সময় পর নির্দোষ ঘোষণা by উৎপল রায়
গরু
চোরাচালানের মামলায় যশোরের শার্শা উপজেলার আবদুল কাদের ও মফিজুর রহমানকে
১৯৮৭ সালের মার্চ মাসে ৫ বছরের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছিল যশোরের একটি বিচারিক
আদালত। এর আগে ১৯৮৬ সালের আগস্টে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন দুজন। রায় অনুযায়ী
সাজাও ভোগ করেন তারা। রায়ের বিরুদ্ধে নিয়মমতো দুজন আপিলও করেছিলেন। ওই
দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করার ৩১ বছর পর এবং সাজা ভোগের দুই যুগেরও বেশি সময়
পর গতকাল হাইকোর্টে আপিলের রায়ে আবদুল কাদের ও মফিজুর রহমান নির্দোষ
প্রমাণিত হয়ে বেকসুর খালাস পেলেন। হাইকোর্টের রায়ে নির্দোষ প্রমাণিত হলেও
ইতিমধ্যে মফিজুর রহমান মারা যাওয়ায় তিনি তা জেনে যেতে পারেননি। এ সংক্রান্ত
আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের একক বেঞ্চ গতকাল এ রায়
ঘোষণা করেন। আদালত দুজনের আপিল গ্রহণ করে রায়ে উল্লেখ করেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়নি। আদালতে
দুজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড’র প্যানেল আইনজীবী
কুমার দেবুল দে।
গতকাল রায়ের পর কুমার দেবুল দে এই মামলার নথির বরাত দিয়ে মানবজমিনকে জানান, যশোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ৬টি গরু আমদানির অভিযোগে ১৯৮৬ সালের ২৭শে আগস্ট তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমান বিজিবি) একজন ল্যান্স নায়েক যশোর জেলার শার্শা থানায় আবদুল কাদের ও মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১৯৮৭ সালের ৩০শে মার্চ যশোরের একটি বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই দুজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। পরে ওই বছরই তারা সাজার বিরুদ্ধে যশোরে তৎকালীন বিভাগীয় হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল করেন। কিন্তু পরবর্তীতে যশোর হাইকোর্ট বেঞ্চ অবলুপ্ত হলে আপিলটি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আসে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে আইনি জটিলতায় এর শুনানি শেষ হয়নি। মামলাটিও চলে যায় হিমাগারে। এরই মধ্যে ১৯৮৯ সালে সাজার মেয়াদ শেষ হলে আবদুল কাদের ও মফিজুর রহমান কারাগার থেকে মুক্তি পান। মফিজুর রহমান ইতিমধ্যে মারা যান। কুমার দেবুল দে জানান, আসামিদের তৎপরতা না থাকা, আইনিসহ বিভিন্ন জটিলতায় এই মামলার আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি তখন হয়নি। তিনি আরো জানান, সুপ্রিম কোর্টের পুরনো মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের শুরুতে এই মামলাটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে পাঠানো হয়। ওই বেঞ্চ মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানতে পারেন যে, আসামিপক্ষের আইনজীবী ইতিমধ্যে মারা গেছেন। তখন আইনজীবী নিয়োগের জন্য আসামিপক্ষকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাঠানোর পর আবদুল কাদের সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে যোগাযোগ করেন। এরপরই মামলার শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়। কুমার দেবুল দে বলেন, মঙ্গলবার শুনানি শেষে আজ (গতকাল) রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আপিল গ্রহণ করে দুজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কুমার দেবুল দে বলেন, আপিল করার ৩১ বছর পর হাইকোর্টের রায়ে দুজনই বেকসুর খালাস পেলেন। এত দীর্ঘ সময়ে এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনিসহ বিভিন্ন জটিলতা তো ছিলই, আসামিরাও আপিল নিষ্পত্তির ব্যাপারে তৎপর ও উদ্যোগী ছিলেন না। যে কারণে বিচারে এই বিলম্ব হয়েছে। আবদুল কাদেরের বয়স বর্তমানে ৬৫ বছর। থাকেন যশোরের শার্শা উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামে। সেখানে কৃষিকাজ করেন তিনি। গতকাল তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘আইজ দুপুরে শুনছি খালাস পাইছি। খুব ভালো লাগতাছে। আমার জীবনে, কপালে যা লেখা আছিলো সেইটিই হইছে। আমি আর কারে দুষবো। আমি বইল্লে তো হবে না, আমি কিছু করতেও পারবো না। কোর্ট যেইটা ভালো মনে করে করবে। তিনি জানান, মামলার অপর আসামী তিন বছর আগেই মারা গেছেন।
গতকাল রায়ের পর কুমার দেবুল দে এই মামলার নথির বরাত দিয়ে মানবজমিনকে জানান, যশোর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ৬টি গরু আমদানির অভিযোগে ১৯৮৬ সালের ২৭শে আগস্ট তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমান বিজিবি) একজন ল্যান্স নায়েক যশোর জেলার শার্শা থানায় আবদুল কাদের ও মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ১৯৮৭ সালের ৩০শে মার্চ যশোরের একটি বিচারিক আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই দুজনকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি তাদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। পরে ওই বছরই তারা সাজার বিরুদ্ধে যশোরে তৎকালীন বিভাগীয় হাইকোর্ট বেঞ্চে আপিল করেন। কিন্তু পরবর্তীতে যশোর হাইকোর্ট বেঞ্চ অবলুপ্ত হলে আপিলটি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আসে। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে আইনি জটিলতায় এর শুনানি শেষ হয়নি। মামলাটিও চলে যায় হিমাগারে। এরই মধ্যে ১৯৮৯ সালে সাজার মেয়াদ শেষ হলে আবদুল কাদের ও মফিজুর রহমান কারাগার থেকে মুক্তি পান। মফিজুর রহমান ইতিমধ্যে মারা যান। কুমার দেবুল দে জানান, আসামিদের তৎপরতা না থাকা, আইনিসহ বিভিন্ন জটিলতায় এই মামলার আপিলের শুনানি ও নিষ্পত্তি তখন হয়নি। তিনি আরো জানান, সুপ্রিম কোর্টের পুরনো মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের শুরুতে এই মামলাটি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে পাঠানো হয়। ওই বেঞ্চ মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানতে পারেন যে, আসামিপক্ষের আইনজীবী ইতিমধ্যে মারা গেছেন। তখন আইনজীবী নিয়োগের জন্য আসামিপক্ষকে নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশ পাঠানোর পর আবদুল কাদের সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসে যোগাযোগ করেন। এরপরই মামলার শুনানির উদ্যোগ নেয়া হয়। কুমার দেবুল দে বলেন, মঙ্গলবার শুনানি শেষে আজ (গতকাল) রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। আপিল গ্রহণ করে দুজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আদালত বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। কুমার দেবুল দে বলেন, আপিল করার ৩১ বছর পর হাইকোর্টের রায়ে দুজনই বেকসুর খালাস পেলেন। এত দীর্ঘ সময়ে এই মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আইনিসহ বিভিন্ন জটিলতা তো ছিলই, আসামিরাও আপিল নিষ্পত্তির ব্যাপারে তৎপর ও উদ্যোগী ছিলেন না। যে কারণে বিচারে এই বিলম্ব হয়েছে। আবদুল কাদেরের বয়স বর্তমানে ৬৫ বছর। থাকেন যশোরের শার্শা উপজেলার হরিশচন্দ্রপুর গ্রামে। সেখানে কৃষিকাজ করেন তিনি। গতকাল তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মানবজমিনকে তিনি বলেন, ‘আইজ দুপুরে শুনছি খালাস পাইছি। খুব ভালো লাগতাছে। আমার জীবনে, কপালে যা লেখা আছিলো সেইটিই হইছে। আমি আর কারে দুষবো। আমি বইল্লে তো হবে না, আমি কিছু করতেও পারবো না। কোর্ট যেইটা ভালো মনে করে করবে। তিনি জানান, মামলার অপর আসামী তিন বছর আগেই মারা গেছেন।
No comments