বরাদ্দ নেই, আটকে যাচ্ছে স্কুল-কলেজ জাতীয়করণ by নূর মোহাম্মদ
আসছে
২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে স্কুল-কলেজ জাতীয়করণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ
বরাদ্দ না রাখায় জাতীয়করণ প্রক্রিয়া আটকে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্য
আগামী বাজেটে ৯৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এ অর্থ চেয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সোহরাব হোসাইন
মানবজমিনকে বলেন, কত টাকা চেয়েছি সেটি দেখে বলতে হবে। তবে এ খাতে আসন্ন
বাজেটে বরাদ্দ না রাখায় অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ রাখার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে
বিশেষ অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছি।
অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সচিব বলেছেন, আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ২৫ হাজার ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দের সিলিং পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনুন্নয়ন খাতে ১৮ হাজার ৪৩০ কোটি এবং উন্নয়ন খাতে৭ হাজার ৩২ কোটি টাকা সম্ভাব্য প্রাক্কলন করা হয়েছে। তিনি জানান, আসন্ন বাজেটের মধ্যে সরকারিকরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা ৩২৯টি মাধ্যমিক স্কুল ও ২৯৯টি কলেজের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচিব লেখেন, আসন্ন বাজেটে সরকারি হওয়া ৩২৭টি স্কুলের জন্য ৩৪৯ কোটি ৪০ লাখ এবং ২৯৯ কোটি কলেজ সরকারিকরণের জন্য ৬২৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার টাকাসহ মোট ৯৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ না পেলে পুরো প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। কারণ, এটি বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। এ ছাড়াও জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলো শিক্ষকদের ক্যাডার স্ট্যাটাস দেয়া না দেয়ার বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে সরকারি স্কুল ও কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফায় ৩২৯টি স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ জাতীয়করণে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মাউশির কর্মকর্তারা সরজমিনে পরিদর্শন করে-স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্যসহ আনুষঙ্গিক সকল তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫টি স্কুল সরকারিকরণের জিও (সরকারি আদেশ) জারি হয়েছে। এর মধ্যে আটটি স্কুলে শিক্ষক-কর্মচারীর পদ সৃজন হয়েছে। তারাই শুধু সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। আর ৮০ স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ সরকারি করতে অর্থ ছাড়ের সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতি বছর এক শত কলেজ জাতীয়করণের প্রস্তাব দিয়ে গত বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছিল। তিন ধাপে জাতীয়করণ হলে অসম প্রতিযোগিতা ও ঘুষ দুর্নীতির আশঙ্কায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে জাতীয়করণ করতে চিঠি দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ে। তাতে সম্মতি দেয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী অর্থ বছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ না করলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করছে।
এদিকে আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের ননক্যাডার ঘোষণা করে বিধিমালা জারির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সমিতির মহাসচিব শাইদুল খবির ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেন। রাষ্ট্রকে বিবাদী করায় জাতীয়করণের তালিকায় থাকা শিক্ষকরা পক্ষভুক্ত হন। আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকায় সরকারিকরণের জিও জারি করতে পারছে না সরকার। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কলেজ সরকারি করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নিবে না বলে জানিয়েছেন সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। ফলে জাতীয়করণের চূড়ান্ত তালিকায় থাকা কলেজের অসংখ্য শিক্ষক-কর্মচারী সুবিধা না পেয়েই অবসরে চলে যাচ্ছেন।
অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে সচিব বলেছেন, আসন্ন ২০১৮-১৯ অর্থবছরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ২৫ হাজার ৪৬২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বরাদ্দের সিলিং পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অনুন্নয়ন খাতে ১৮ হাজার ৪৩০ কোটি এবং উন্নয়ন খাতে৭ হাজার ৩২ কোটি টাকা সম্ভাব্য প্রাক্কলন করা হয়েছে। তিনি জানান, আসন্ন বাজেটের মধ্যে সরকারিকরণের চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকা ৩২৯টি মাধ্যমিক স্কুল ও ২৯৯টি কলেজের জন্য কোনো বরাদ্দ রাখা হয়নি। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সচিব লেখেন, আসন্ন বাজেটে সরকারি হওয়া ৩২৭টি স্কুলের জন্য ৩৪৯ কোটি ৪০ লাখ এবং ২৯৯ কোটি কলেজ সরকারিকরণের জন্য ৬২৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার টাকাসহ মোট ৯৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৩ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, জাতীয়করণ হওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো আসন্ন বাজেটে বরাদ্দ না পেলে পুরো প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যাবে। কারণ, এটি বর্তমান সরকারের শেষ বাজেট। এ ছাড়াও জাতীয়করণ হওয়া কলেজগুলো শিক্ষকদের ক্যাডার স্ট্যাটাস দেয়া না দেয়ার বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে সরকারি স্কুল ও কলেজবিহীন উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ জাতীয়করণের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফায় ৩২৯টি স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ জাতীয়করণে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মাউশির কর্মকর্তারা সরজমিনে পরিদর্শন করে-স্থাবর, অস্থাবর সম্পদ, শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত তথ্যসহ আনুষঙ্গিক সকল তথ্য সংগ্রহ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩৫টি স্কুল সরকারিকরণের জিও (সরকারি আদেশ) জারি হয়েছে। এর মধ্যে আটটি স্কুলে শিক্ষক-কর্মচারীর পদ সৃজন হয়েছে। তারাই শুধু সরকারি সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। আর ৮০ স্কুল ও ২৯৯টি কলেজ সরকারি করতে অর্থ ছাড়ের সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতি বছর এক শত কলেজ জাতীয়করণের প্রস্তাব দিয়ে গত বছরের ১৪ই ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছিল। তিন ধাপে জাতীয়করণ হলে অসম প্রতিযোগিতা ও ঘুষ দুর্নীতির আশঙ্কায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক সঙ্গে জাতীয়করণ করতে চিঠি দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়ে। তাতে সম্মতি দেয়নি অর্থ মন্ত্রণালয়। আগামী অর্থ বছরের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ না করলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থ মন্ত্রণালয়কে দোষারোপ করছে।
এদিকে আত্তীকৃত কলেজ শিক্ষকদের ননক্যাডার ঘোষণা করে বিধিমালা জারির দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষক সমিতি। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সচিব ও সমিতির মহাসচিব শাইদুল খবির ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেন। রাষ্ট্রকে বিবাদী করায় জাতীয়করণের তালিকায় থাকা শিক্ষকরা পক্ষভুক্ত হন। আদালতে মামলাটি বিচারাধীন থাকায় সরকারিকরণের জিও জারি করতে পারছে না সরকার। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কলেজ সরকারি করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত নিবে না বলে জানিয়েছেন সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। ফলে জাতীয়করণের চূড়ান্ত তালিকায় থাকা কলেজের অসংখ্য শিক্ষক-কর্মচারী সুবিধা না পেয়েই অবসরে চলে যাচ্ছেন।
No comments