সিসিটিভি ফুটেজে চার সন্দেহভাজন
গুলশানের
কালাচাঁদপুরে গারো সম্প্রদায়ের মা ও মেয়েকে হত্যার ঘটনাটি পারিবারিক বিরোধ
ও আর্থিক কারণে হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। বাড়ির গেটের নিচ থেকে সিসি
ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছে পুলিশ। ফুটেজে পুলিশ সুজাতার বোনের ছেলে
সঞ্জিবসহ ৪ জনকে চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়াও তার সঙ্গে আরো তিন যুবককে বাসায়
ঢুকতে দেখা গেছে। ঘটনার পর থেকে সঞ্জিব পলাতক। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জিবকে ধরতে পারলেই এ হত্যাকাণ্ডের ক্লু জানা যাবে।
তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সঞ্জিবকে গ্রেপ্তারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান
চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা। প্রধান সন্দেহভাজন সঞ্জিব
নিহত সুজাতার বড় বোন নির্ঝলার ছেলে। এদিকে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক
জানিয়েছেন, নিহত সুজাতার বুকসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে মোট ১৪টি ধারলো
অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। তবে সুজাতার মা বেশেথ চিরানের শরীরে কোনো ধারালো
অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গুলশান কালাচাঁদপুরের মাঞ্চল স্কুল গলির ৫৮/২ সাততলা বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে গারো সম্প্রদায়ের দুই নারী বেশেথ চিরান (৬৫) ও তার মেয়ে সুজাতা চিরান (৪৩) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সুজাতার স্বামী আশীষ মানকিন বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর-২৫। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মোশারফ হোসেন জানান, বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকাল ৪টার দিকে সুজাতের বোনের ছেলে সঞ্জিব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জানাজানি হয়। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে মা-মেয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহত সুজাতার বোনের ছেলে সঞ্জিবকে ধরতে পারলেই এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য জানা যাবে। তিনি জানান, এ ঘটনায় পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের কয়েকটি ক্লু পাওয়া গেছে।
নিহত সুজাতার মেয়ে মায়াবী চিরান মানবজমিনকে জানান, বছর খানিক আগে শহরে কাজের সন্ধানে এসে খালা সুজাতার বাসায় থাকতেন সঞ্জিব। মাস কয়েক আগে তার চাকরি চলে গেলে শ্বশুর বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার দেফলাইএ থাকতেন। মাঝখানে দীর্ঘদিন খালার সঙ্গে সঞ্জিবের তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না।
তিনি জানান, তারা তিন বোন ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। সুজাতের স্বামী আশিষ মানকিনও সেসময় নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানান মায়াবী। সুজাতের একমাত্র ছেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ গ্রামে থাকেন। গুলশানের একটি কসমেটিকের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন মায়াবী। মায়াবীর স্বামী প্যালেস্তার দারিং কাজের সুবাদে মালিকের বাসায় থাকেন। ঘটনার দিন বিকাল ৬টা ৩০ মিনিটে মেয়েকে নিতে এসে বাসায় প্রবেশ করে শাশুড়ির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে একই সঙ্গে মায়াবীর মেয়েকে পাশের একটি খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় দেখেন। এ সময় বাসার আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো এবং আলমিরা ও ওয়ারড্রপের তালা ভেঙ্গে তার ভেতর থাকা টাকা পয়সা নিয়ে সন্দেহভাজনরা পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত সুজাতা বাসাবাড়ির কাজ করতেন। গৃহকর্তার আচরণ খারাপ হওয়ায় ৪-৫ দিন আগে হঠাৎ করে বাসার কাজ ছেড়ে দেয়। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে মেজো সুজাতা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুরে আনুমানিক ২টা ৭ মিনিটে সুজাতার বোনের ছেলে সঞ্জিব তার এক বন্ধুকে নিয়ে সুজাতার বাসায় প্রবেশ করে। ঠিক তার ৩০ মিনিট পর তার আরো দুই বন্ধুকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। বাসার সিসি টিভির ফুটেজ অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় তারা।
সূত্র জানায়, সঞ্জিব যখন বাসায় আসে তখন সুজাতের দুই মেয়ে বাসায় ছিল। দুপুরের পর তারা কাজে যাওয়ার সময় সঞ্জিত ও তার বন্ধুরা বাসায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তারাই দুজনকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। ওই বাসার নিচে যে সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ দেখা গেছে সেই ফুটেজে তাদের ছবি স্পষ্ট দেখা গেছে। ঘটনার পরই নিহতের পরিবারের সদস্যরা সঞ্জিবকে ফোন দিলে সঞ্জিব তাদের জানায়, সে তার বন্ধুদের সঙ্গে শেরপুর আছে। এরপর থেকে সঞ্জিবের মুঠোফোন আর খোলা পাওয়া যায় নি। কিছুদিন আগে সঞ্জিব তার নানী বেশেথ চিরানের কাছে টাকা চেয়েছিল কিন্তু বেশেথ তাকে টাকা দেয়নি। ওই ঘটনায় সঞ্জিবের ক্ষোভ থাকতে পারে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিয়ে নিহতের শেষকৃত্য হবে।
নিহতদের লাশের ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানান, নিহত সুজাতার শরীরে মোট ১৪টি ধারলো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গলার আঘাত ছিল গুরুতর। তিনি আরো জানান, বেশেথ চিরানের শরীরে কোনো ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে তার শরীরে অক্সিজেনের অভাব পাওয়া গেছে। প্রথমিক পর্যায়ে নিতহদের ভিসারা, এইচভিএস ও রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো দিয়ে মাইক্রোবায়োলজিকাল ও ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে গুলশান কালাচাঁদপুরের মাঞ্চল স্কুল গলির ৫৮/২ সাততলা বাড়ির চতুর্থ তলা থেকে গারো সম্প্রদায়ের দুই নারী বেশেথ চিরান (৬৫) ও তার মেয়ে সুজাতা চিরান (৪৩) এর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সুজাতার স্বামী আশীষ মানকিন বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা নম্বর-২৫। মামলাটি থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই মোশারফ হোসেন জানান, বাড়ির নিচতলায় থাকা ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, বিকাল ৪টার দিকে সুজাতের বোনের ছেলে সঞ্জিব চার ব্যক্তিসহ বাসায় এসেছিলেন। তারা বেরিয়ে যাওয়ার পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জানাজানি হয়। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে মা-মেয়ের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। নিহত সুজাতার বোনের ছেলে সঞ্জিবকে ধরতে পারলেই এ হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য জানা যাবে। তিনি জানান, এ ঘটনায় পরিবারের অন্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছে হত্যাকাণ্ডের কয়েকটি ক্লু পাওয়া গেছে।
নিহত সুজাতার মেয়ে মায়াবী চিরান মানবজমিনকে জানান, বছর খানিক আগে শহরে কাজের সন্ধানে এসে খালা সুজাতার বাসায় থাকতেন সঞ্জিব। মাস কয়েক আগে তার চাকরি চলে গেলে শ্বশুর বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি থানার দেফলাইএ থাকতেন। মাঝখানে দীর্ঘদিন খালার সঙ্গে সঞ্জিবের তেমন কোনো যোগাযোগ ছিল না।
তিনি জানান, তারা তিন বোন ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। ঘটনার সময় তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছিলেন। সুজাতের স্বামী আশিষ মানকিনও সেসময় নিজ কর্মস্থলে ছিলেন বলে জানান মায়াবী। সুজাতের একমাত্র ছেলে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিজ গ্রামে থাকেন। গুলশানের একটি কসমেটিকের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করেন মায়াবী। মায়াবীর স্বামী প্যালেস্তার দারিং কাজের সুবাদে মালিকের বাসায় থাকেন। ঘটনার দিন বিকাল ৬টা ৩০ মিনিটে মেয়েকে নিতে এসে বাসায় প্রবেশ করে শাশুড়ির মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে একই সঙ্গে মায়াবীর মেয়েকে পাশের একটি খাটের ওপর শোয়া অবস্থায় দেখেন। এ সময় বাসার আসবাবপত্র ছড়ানো ছিটানো এবং আলমিরা ও ওয়ারড্রপের তালা ভেঙ্গে তার ভেতর থাকা টাকা পয়সা নিয়ে সন্দেহভাজনরা পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত সুজাতা বাসাবাড়ির কাজ করতেন। গৃহকর্তার আচরণ খারাপ হওয়ায় ৪-৫ দিন আগে হঠাৎ করে বাসার কাজ ছেড়ে দেয়। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে মেজো সুজাতা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুরে আনুমানিক ২টা ৭ মিনিটে সুজাতার বোনের ছেলে সঞ্জিব তার এক বন্ধুকে নিয়ে সুজাতার বাসায় প্রবেশ করে। ঠিক তার ৩০ মিনিট পর তার আরো দুই বন্ধুকে নিয়ে বাসায় প্রবেশ করে। বাসার সিসি টিভির ফুটেজ অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে বাসা থেকে বেরিয়ে যায় তারা।
সূত্র জানায়, সঞ্জিব যখন বাসায় আসে তখন সুজাতের দুই মেয়ে বাসায় ছিল। দুপুরের পর তারা কাজে যাওয়ার সময় সঞ্জিত ও তার বন্ধুরা বাসায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তারাই দুজনকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। ওই বাসার নিচে যে সিসি ক্যামেরায় ফুটেজ দেখা গেছে সেই ফুটেজে তাদের ছবি স্পষ্ট দেখা গেছে। ঘটনার পরই নিহতের পরিবারের সদস্যরা সঞ্জিবকে ফোন দিলে সঞ্জিব তাদের জানায়, সে তার বন্ধুদের সঙ্গে শেরপুর আছে। এরপর থেকে সঞ্জিবের মুঠোফোন আর খোলা পাওয়া যায় নি। কিছুদিন আগে সঞ্জিব তার নানী বেশেথ চিরানের কাছে টাকা চেয়েছিল কিন্তু বেশেথ তাকে টাকা দেয়নি। ওই ঘটনায় সঞ্জিবের ক্ষোভ থাকতে পারে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে নিয়ে নিহতের শেষকৃত্য হবে।
নিহতদের লাশের ময়নাতদন্তকারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. প্রদীপ বিশ্বাস জানান, নিহত সুজাতার শরীরে মোট ১৪টি ধারলো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গলার আঘাত ছিল গুরুতর। তিনি আরো জানান, বেশেথ চিরানের শরীরে কোনো ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে তার শরীরে অক্সিজেনের অভাব পাওয়া গেছে। প্রথমিক পর্যায়ে নিতহদের ভিসারা, এইচভিএস ও রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলো দিয়ে মাইক্রোবায়োলজিকাল ও ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে।
No comments