দিনমজুর তৈয়ব যেভাবে ইয়াবা ব্যবসায়ী
আবু
তৈয়ব (৫৫) দিনমজুর, কৃষক। গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বারশত
ইউনিয়নের গোবাদিয়ায়। গত ১৩ই মার্চ রাত দশটায় তৈয়বকে চট্টগ্রাম মহানগরীর
অলংকার মোড়ে আল্লার দান ভাত ঘরের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, তৈয়ব ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার কাছে আট হাজার ইয়াবা পাওয়া গেছে। কিন্তু তৈয়বের দাবি সে ইয়াবা ব্যবসায়ী নয়। আর তাকে অলংকার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অলংকার তিনি চিনেন না, সেখানে তিনি কখনো যাননি।
অথচ অলংকার মোড় থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মাদক মামলায় তাকে আদালতে তুলে পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
তৈয়বের ছেলে সাজ্জাদ খানের দাবি, তার বাবাকে আনোয়ারার কাফকো এলাকা থেকে ধরে নিয়ে ইয়াবা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যার কাছে ইয়াবা পেয়েছে মূলত তাকে ছেড়ে দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। আর ইয়াবা আট হাজার নয়; প্রায় এক লাখ।
অভিনব এই কারসাজি করে তৈয়বকে যারা ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়েছে তারা হচ্ছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবুল ফজল, সাইদ তালুকদার, এসআই আনোয়ার হোসেন ও এএসআই মনির হোসেন।
আলাপকালে স্থানীয়রা জানান, গত ১৩ই মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আনোয়ারা কাফকো এলাকা থেকে আবু তাহের নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পরে বাড়ি থেকে ডেকে এনে দিনমজুর তৈয়বকে একটি রেস্তরাঁর সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরের দিন তৈয়বকে আদালতে পাঠায়।
আবু তাহের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোমপানির (কাফকো) একজন কর্মচারী। তার পদবি ফিল্ড মেনটেনেন্স কন্ট্রোলার। তিনি কাফকো সিবিএ’র সাবেক সহ-সভাপতি। দুইবছর আগে সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যান বলে নিশ্চিত করেন কাফকো সিবিএ’র বর্তমান সভাপতি ও আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সমপাদক ওসমান গণি রাসেল।
রাসেল বলেন, আবু তাহেরের প্রতিবেশী তৈয়ব। গ্রামে তিনি সাধারণত চাষাবাদ করেন। ১৩ই মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওশান তাজ নামক একটি রেস্তরাঁর সামনে থেকে তৈয়বকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানান রেস্তরাঁর মালিক আবদুল বাসেক। তবে কি কারণে তৈয়বকে ধরে নিয়ে গেছে সেটা তিনি জানেন না বলে জানান।
অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের লেনদেনের কারণে পুলিশ আবু তাহেরকে রাতে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করার অপরাধ দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। আর আদালত মাত্র ১০০ টাকার জিম্মায় আবু তাহেরের জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ প্রথমে কাফকো সেন্টার এলাকার রিমিক্স রেস্তরাঁ থেকে আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে।
আর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তৈয়বকে তার বাড়ি গোবাদিয়া গ্রাম থেকে ডেকে ওশান তাজ রেস্তরাঁয় আনেন। সেখান থেকে তৈয়বকে গ্রেপ্তার করেন। রাতে দুজনকেই নগরীর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়। তৈয়বকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে রেখে তাহেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে বা কারা প্রকাশ করলে তাহেরকে ডেকে এনে লোক দেখানো আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেনের বাড়িও আনোয়ারা উপজেলার শিলাইগড়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আবু তাহের বলেন, আমাকে কাফকো এলাকার একটি রেস্তরাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু আমার কাছে কিছু না পাওয়ায় সাধারণ আইনে আমাকে চালান করে। পরে আদালত আমাকে জামিন দেয়। আমার কাছে ইয়াবা পায়নি পুলিশ।
ইয়াবা না পেলে কেন আপনাকে গ্রেপ্তার করা হলো প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাই আমি ডিবির লোক। প্রায় সময় ডিবিকে আমি সহযোগিতা করি। ডিবি না বুঝে আমাকে ধরে নিয়ে এসেছিল। রাতে ছেড়েও দিয়েছে। এর মধ্যে কে বা কারা ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করে। তাই আবার আমাকে ডেকে এনে লোকজনকে দেখাতে আদালতে পাঠায়।
তৈয়বকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তাহের বলেন, তৈয়ব গ্রামে চাষাবাদ করে। তবে সে ইয়াবা ব্যবসা করে কিনা জানি না। লোক হিসেবে সে খারাপ নয়।
তবে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আবু তাহের ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী। আবু তাহেরের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার পর পুলিশ তৈয়বকে ৮ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখায়। আর আবু তাহেরকে পুরোপুরি বাদ দেয়া হয় ওই ঘটনা থেকে।
তৈয়বের ছেলে সাজ্জাদ খান বলেন, আবু তাহেরই বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘর থেকে ওশান তাজ রেস্তরাঁয় ডেকে আনেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। আমরা সকালে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসে বাবার সঙ্গে দেখা করি। বাবা আমাকে বলেন, তাকে অলংকার মোড় থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশ মামলা বানাচ্ছে। অথচ বাবা অলংকার মোড় কোথায় তা চেনেনও না।
ডিবি পুলিশ প্রথমে বলেছে, আমার বাবার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অলংকার এলাকা থেকে ইয়াবা পেয়েছে। পরে বলেছে, আমার বাবার কাছে ইয়াবা পেয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল ফজলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। আপনি এডিসি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তৈয়বের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাহেরকে সন্দেহজনক হিসেবে আনা হয়েছিল। কাফকোতে তার প্রতিপক্ষ রয়েছে। তারাই মূলত এ বিষয়ে ভুল তথ্য সরবরাহ করেছে। তাহেরের কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি। তাহেরের ডিবির লোক পরিচয় দেয়া প্রসঙ্গে এডিসি আবু বকর বলেন, তাহের ডিবির লোক হতে যাবে কেন? সে যদি বলে থাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
গোয়েন্দা পুলিশের দাবি, তৈয়ব ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার কাছে আট হাজার ইয়াবা পাওয়া গেছে। কিন্তু তৈয়বের দাবি সে ইয়াবা ব্যবসায়ী নয়। আর তাকে অলংকার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। অলংকার তিনি চিনেন না, সেখানে তিনি কখনো যাননি।
অথচ অলংকার মোড় থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে মাদক মামলায় তাকে আদালতে তুলে পুলিশ। আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
তৈয়বের ছেলে সাজ্জাদ খানের দাবি, তার বাবাকে আনোয়ারার কাফকো এলাকা থেকে ধরে নিয়ে ইয়াবা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। যার কাছে ইয়াবা পেয়েছে মূলত তাকে ছেড়ে দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। আর ইয়াবা আট হাজার নয়; প্রায় এক লাখ।
অভিনব এই কারসাজি করে তৈয়বকে যারা ইয়াবা ব্যবসায়ী বানিয়েছে তারা হচ্ছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আবুল ফজল, সাইদ তালুকদার, এসআই আনোয়ার হোসেন ও এএসআই মনির হোসেন।
আলাপকালে স্থানীয়রা জানান, গত ১৩ই মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় আনোয়ারা কাফকো এলাকা থেকে আবু তাহের নামে এক ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ। পরে বাড়ি থেকে ডেকে এনে দিনমজুর তৈয়বকে একটি রেস্তরাঁর সামনে থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরের দিন তৈয়বকে আদালতে পাঠায়।
আবু তাহের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোমপানির (কাফকো) একজন কর্মচারী। তার পদবি ফিল্ড মেনটেনেন্স কন্ট্রোলার। তিনি কাফকো সিবিএ’র সাবেক সহ-সভাপতি। দুইবছর আগে সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে যান বলে নিশ্চিত করেন কাফকো সিবিএ’র বর্তমান সভাপতি ও আনোয়ারা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সমপাদক ওসমান গণি রাসেল।
রাসেল বলেন, আবু তাহেরের প্রতিবেশী তৈয়ব। গ্রামে তিনি সাধারণত চাষাবাদ করেন। ১৩ই মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ওশান তাজ নামক একটি রেস্তরাঁর সামনে থেকে তৈয়বকে ধরে নিয়ে যায় বলে জানান রেস্তরাঁর মালিক আবদুল বাসেক। তবে কি কারণে তৈয়বকে ধরে নিয়ে গেছে সেটা তিনি জানেন না বলে জানান।
অভিযোগ উঠেছে, মোটা অঙ্কের লেনদেনের কারণে পুলিশ আবু তাহেরকে রাতে সন্দেহজনক ঘোরাফেরা করার অপরাধ দেখিয়ে আদালতে পাঠায়। আর আদালত মাত্র ১০০ টাকার জিম্মায় আবু তাহেরের জামিন মঞ্জুর করেন। পুলিশ প্রথমে কাফকো সেন্টার এলাকার রিমিক্স রেস্তরাঁ থেকে আবু তাহেরকে গ্রেপ্তার করে।
আর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তৈয়বকে তার বাড়ি গোবাদিয়া গ্রাম থেকে ডেকে ওশান তাজ রেস্তরাঁয় আনেন। সেখান থেকে তৈয়বকে গ্রেপ্তার করেন। রাতে দুজনকেই নগরীর গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়। তৈয়বকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে রেখে তাহেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কে বা কারা প্রকাশ করলে তাহেরকে ডেকে এনে লোক দেখানো আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আনোয়ার হোসেনের বাড়িও আনোয়ারা উপজেলার শিলাইগড়া গ্রামে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে আবু তাহের বলেন, আমাকে কাফকো এলাকার একটি রেস্তরাঁ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু আমার কাছে কিছু না পাওয়ায় সাধারণ আইনে আমাকে চালান করে। পরে আদালত আমাকে জামিন দেয়। আমার কাছে ইয়াবা পায়নি পুলিশ।
ইয়াবা না পেলে কেন আপনাকে গ্রেপ্তার করা হলো প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাই আমি ডিবির লোক। প্রায় সময় ডিবিকে আমি সহযোগিতা করি। ডিবি না বুঝে আমাকে ধরে নিয়ে এসেছিল। রাতে ছেড়েও দিয়েছে। এর মধ্যে কে বা কারা ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করে। তাই আবার আমাকে ডেকে এনে লোকজনকে দেখাতে আদালতে পাঠায়।
তৈয়বকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে তাহের বলেন, তৈয়ব গ্রামে চাষাবাদ করে। তবে সে ইয়াবা ব্যবসা করে কিনা জানি না। লোক হিসেবে সে খারাপ নয়।
তবে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আবু তাহের ইয়াবা ব্যবসার সহযোগী। আবু তাহেরের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার পর পুলিশ তৈয়বকে ৮ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দেখায়। আর আবু তাহেরকে পুরোপুরি বাদ দেয়া হয় ওই ঘটনা থেকে।
তৈয়বের ছেলে সাজ্জাদ খান বলেন, আবু তাহেরই বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘর থেকে ওশান তাজ রেস্তরাঁয় ডেকে আনেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে। আমরা সকালে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এসে বাবার সঙ্গে দেখা করি। বাবা আমাকে বলেন, তাকে অলংকার মোড় থেকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে বলে পুলিশ মামলা বানাচ্ছে। অথচ বাবা অলংকার মোড় কোথায় তা চেনেনও না।
ডিবি পুলিশ প্রথমে বলেছে, আমার বাবার দেয়া তথ্য অনুযায়ী অলংকার এলাকা থেকে ইয়াবা পেয়েছে। পরে বলেছে, আমার বাবার কাছে ইয়াবা পেয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল ফজলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। আপনি এডিসি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জানতে চাইলে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিক বলেন, তৈয়বের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। তাহেরকে সন্দেহজনক হিসেবে আনা হয়েছিল। কাফকোতে তার প্রতিপক্ষ রয়েছে। তারাই মূলত এ বিষয়ে ভুল তথ্য সরবরাহ করেছে। তাহেরের কাছে কিছুই পাওয়া যায়নি। তাহেরের ডিবির লোক পরিচয় দেয়া প্রসঙ্গে এডিসি আবু বকর বলেন, তাহের ডিবির লোক হতে যাবে কেন? সে যদি বলে থাকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
No comments