নির্বাচন নিয়েই যত গণ্ডগোল -টকশো থেকে
তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার রায়
নিয়ে উৎসাহ দেখানোর কিছু নেই। পৃথিবীর অনেক দেশেই শীর্ষ নেতাকে আদালত সাজা
দিয়েছেন। কিন্তু ওইসব দেশে রাজনীতিবিদরা হাসিতামাশা করেননি বা উৎসাহ
দেখাননি। রোববার বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টুয়েন্টিফোরের বিশেষ আলোচনা
‘গণতন্ত্র জনতন্ত্র’ শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। টকশোতে আরো
অংশ নেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, জাতীয়
সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ
রশীদ। টকশো সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা
বিভাগের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌস।
রায়ের পরে রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আইন যদি নিজস্ব ধারায় চলতে থাকে তবে বিচার হয়েছে। এর সঙ্গে তো রাজনীতির কোনো অংশ থাকার কথা না। আইন মতো বিচার হয়েছে শাস্তি হয়েছে। আপিল করবে। দুইটা আপিল এখনও হবে। রাজনীতিটা আমার মনে হয় আনা হয়েছে এইটা মনে হয় বলতে পারি কাউকে অফেন্স না দিয়ে। এটা মনে হয় সরকারের পক্ষে বোকামি হয়েছে। মামলায় ঠকছে এটা মনে হয় আইনের ব্যাপার। এটা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বা মন্ত্রী হিসেবে কারো এখানে কোনো উৎসাহ দেখানো উচিত না। শাস্তি হয়েছে এটা ‘আই অ্যাম নট কনসার্নড উইথ, ল হ্যাজ টেকেন ইটস রোল’। এই যে আমাদের আশেপাশে অনেক দৃষ্টান্ত দেয়া হয়। সাউথ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্টকে কনভিকশন দিয়েছে এটা নিয়ে কোনো দলে হাসাহাসি হয়নি, মিষ্টি খাওয়া হয়নি। ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনো দলীয় আলোচনা হয়নি। অতএব, প্রধানমন্ত্রীর এটা ডিফেন্ড করারও দরকার নাই আর বিএনপিরও রাস্তায় আন্দোলন করারও কিছু নাই। এটা আমার কথা। যেহেতু বাংলাদেশে এই জিনিসটা চলছে না সেহেতু রাজনীতি এতটা ঘোলাটে হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, কষ্টের সঙ্গে বলতে হয়, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর আমরা এত সংগ্রাম করেছি তারপরও নির্বাচনটাকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে পারছি না। এই নির্বাচন নিয়ে যত রকম গণ্ডগোল বাজছে। এই যে কাজটা হলো আমি জানি না নির্বাচন সামনে থাকলে পলিটিক্যালকে প্রভিকশন দিয়ে শুধু আইন আর কনভিকশন দিয়ে চিন্তা করলে হবে না পলিটিক্যাল লিডারসদের। তাদের চিন্তা করতে হয় সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রাখতে হবে। এটা নির্বাচনের বছর। বেগম খালেদা জিয়াকে এখনই যদি সাজা দেয়া না হতো তবে কিছু যেত বা আসতো না। কিন্তু এখন যেহেতু নির্বাচন নিয়ে একটা গণ্ডগোল অলরেডি আছে তার ওপর একটা কনভিকশন আমার ব্যক্তিগত ধারণা নির্বাচনে সংশয় ছিলই এটা আরো আরো এগ্রোভেট করা হলো। আপনি এমনিতেই আমাকে বিশ্বাস করেন না। আরো অবিশ্বাসের কাজ করলাম আমি। আমি আরো অসুবিধায় পড়লাম। এইটার মনে হয় দরকার ছিল না। আমি সবসময় বলে আসছি রাজনীতিটা বিশেষ করে জনগণভিত্তিক, রাজনীতিটা যত খোলামেলা হয় তত ভালো। মানুষকে কথা বলতে দেন, তর্ক করতে দেন। তাহলে তিক্ততাটা চলে যায়। আলোচনার পরে তিক্ততা থাকে না। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রের সবচাইতে সুন্দর দিক হলো স্বচ্ছ একটা নির্বাচন জনগণের ভোটে হয়েছে। আমি ঠকেছি ঠকেছি। আমি জিতছি, আমি জিতছি। দুর্ভাগ্য হলো ইলেকশনকে নিয়ে যত খেলা। রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া ঠিক করতে পারলাম না। যে কারণে প্রতিটি নির্বাচনের আগে ঝামেলাগুলো হচ্ছে। এ সময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগে সোহরাওয়ার্দীর মতো লোক, মানিক মিয়ার মতো লোক যে সমস্ত কথা বলে গেছেন, যে সমস্ত দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সেগুলো আওয়ামী লীগ ভুলে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কথা বলা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সততা, শালীনতা এগুলো অনুসরণ করা হয় না। শুধু বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করলে তো হবে না। বঙ্গবন্ধু উদার ছিলেন। রাজনীতিতে উদার মন নিয়ে চলতে হয়। ভিন্ন মত নিয়ে চলতে হয়। অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, রায়ের পর রাজনীতি নতুন মোড় নিয়েছে। চলমান রাজনীতি আমরা দেখছি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন জনগণের ভোটে হয়নি। ১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা ওই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলি না। সরকারের যে নৈতিক ভিত্তি অবৈধ বলে থাকি। পঞ্চদশ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচন পার্লামেন্ট বহাল থেকে হবে। এটা আমরা মানিনি। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলেছে। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার ৩৬টি মামলা অত্যন্ত অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে বিচারকাজ পরিচালনা করা হয়েছে। আমার মনে হয় এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, আগামী নির্বাচনে বেগম জিয়া যাতে অংশ নিতে না পারেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং সর্বোপরি রাজনীতির বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, আজকের ঘটনা আওয়ামী লীগের সৃষ্ট কোনো ঘটনা নয়। এটা তত্ত্বাবধায়কের সময় দেয়া মামলা। দশ বছর পেরিয়ে গেছে। ২৮০টি মামলার তারিখ পড়েছে। ৪০ থেকে ৪৫ দিন খালেদা জিয়া হাজিরা দিয়েছেন। তড়িঘড়ি করে রায় দেয়া হয়েছে সঠিক না। উনি যদি ঠিকমতো হাজিরা দিতেন তাহলে রায় এত বিলম্ব হতো না। ইলেকশনের আগে যে রায় আসবে সেটা উনি জানতেন। রায়টা যদি নির্বাচনের আগে আসে তাহলে কিছুটা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন ভেবে হয়তো উনি বিলম্ব করেই নিয়েছেন। এটা পলিটিক্যাল কেইস না। এটা দুর্নীতির মামলা। এটা যে কারো বিরুদ্ধে হতে পারে। আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। আমরা দুর্নীতি করলে এর বিচার হবে। এটা একটা দৃষ্টান্ত হবে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, দুই দলের কেউ ক্ষমতায় থাকার সময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেনি। আজ খালেদা যতটুকু সুবিধা পাচ্ছেন বিচার বিভাগের কারণে। দলীয়করণের রাজনীতি চলছে। সব পেশায় দলীয়করণ করেছে দুই দল। আইনের শাসনে নিরপেক্ষতা দুই দলের কেউ বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে নাই। যারা রাজনীতি করে তাদের জানতে হয় কেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়। বিচার বিভাগের দলীয়করণ করেছে আইনজীবীরা। এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নাই। শুধু এটর্নি জেনারেল দলীয় হয়। কাল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দশ হাজার আইনজীবী চাকরি পাবে। এটর্নি সিস্টেমটা ভেঙ্গে দেয়া দরকার। বেগম খালেদা জিয়া আজ অসহায়। কোর্টে শাস্তি পেয়েছেন, ডিভিশন পাবেন কিনা। সঙ্গে কেউ থাকবে কিনা এজন্য কোর্টে যেতে হয়। রাজনীতিবিদদের শেষ ভরসা আদালত। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে তারা বিশ্বাস করেন না। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এখন রাজনীতি করে ক্ষমতার জন্য। মানুষের জন্য কেউ করে না। ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে আমাদের দুঃখ লাগে। আইন আদালতের মুখোমুখি হতে হয় কোর্ট কাচারির শরণাপন্ন হতে হয়। যখন ক্ষমতায় থাকি তখন কোর্টকে যা বলি তাই শুনতে হয়। আইন আদালত নিজেদের মনে করে। গণতন্ত্রের নাগরদোলায় উঠেছি। এটা কবে শেষ হবে জানি না। তিনি আরো বলেন, জীবনে মামলা হয়নি এমন রাজনীতিবিদ কে আছে? জেল খাটেনি এমন কে আছে? মামলা হয়নি কিন্তু রাজনীতিতে প্রসিদ্ধ লাভ করেছে এমন দশজন লোক নেই। বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচবছর জেল হয়েছে বিশেষ বিবেচনায়।
রায়ের পরে রাজনীতি কোন পথে যাচ্ছে- এমন প্রশ্নে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আইন যদি নিজস্ব ধারায় চলতে থাকে তবে বিচার হয়েছে। এর সঙ্গে তো রাজনীতির কোনো অংশ থাকার কথা না। আইন মতো বিচার হয়েছে শাস্তি হয়েছে। আপিল করবে। দুইটা আপিল এখনও হবে। রাজনীতিটা আমার মনে হয় আনা হয়েছে এইটা মনে হয় বলতে পারি কাউকে অফেন্স না দিয়ে। এটা মনে হয় সরকারের পক্ষে বোকামি হয়েছে। মামলায় ঠকছে এটা মনে হয় আইনের ব্যাপার। এটা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বা মন্ত্রী হিসেবে কারো এখানে কোনো উৎসাহ দেখানো উচিত না। শাস্তি হয়েছে এটা ‘আই অ্যাম নট কনসার্নড উইথ, ল হ্যাজ টেকেন ইটস রোল’। এই যে আমাদের আশেপাশে অনেক দৃষ্টান্ত দেয়া হয়। সাউথ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্টকে কনভিকশন দিয়েছে এটা নিয়ে কোনো দলে হাসাহাসি হয়নি, মিষ্টি খাওয়া হয়নি। ইসরাইলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন। কিন্তু এ নিয়ে কোনো দলীয় আলোচনা হয়নি। অতএব, প্রধানমন্ত্রীর এটা ডিফেন্ড করারও দরকার নাই আর বিএনপিরও রাস্তায় আন্দোলন করারও কিছু নাই। এটা আমার কথা। যেহেতু বাংলাদেশে এই জিনিসটা চলছে না সেহেতু রাজনীতি এতটা ঘোলাটে হয়ে গেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, কষ্টের সঙ্গে বলতে হয়, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পর আমরা এত সংগ্রাম করেছি তারপরও নির্বাচনটাকে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে পারছি না। এই নির্বাচন নিয়ে যত রকম গণ্ডগোল বাজছে। এই যে কাজটা হলো আমি জানি না নির্বাচন সামনে থাকলে পলিটিক্যালকে প্রভিকশন দিয়ে শুধু আইন আর কনভিকশন দিয়ে চিন্তা করলে হবে না পলিটিক্যাল লিডারসদের। তাদের চিন্তা করতে হয় সমাজে শান্তি শৃঙ্খলা রাখতে হবে। এটা নির্বাচনের বছর। বেগম খালেদা জিয়াকে এখনই যদি সাজা দেয়া না হতো তবে কিছু যেত বা আসতো না। কিন্তু এখন যেহেতু নির্বাচন নিয়ে একটা গণ্ডগোল অলরেডি আছে তার ওপর একটা কনভিকশন আমার ব্যক্তিগত ধারণা নির্বাচনে সংশয় ছিলই এটা আরো আরো এগ্রোভেট করা হলো। আপনি এমনিতেই আমাকে বিশ্বাস করেন না। আরো অবিশ্বাসের কাজ করলাম আমি। আমি আরো অসুবিধায় পড়লাম। এইটার মনে হয় দরকার ছিল না। আমি সবসময় বলে আসছি রাজনীতিটা বিশেষ করে জনগণভিত্তিক, রাজনীতিটা যত খোলামেলা হয় তত ভালো। মানুষকে কথা বলতে দেন, তর্ক করতে দেন। তাহলে তিক্ততাটা চলে যায়। আলোচনার পরে তিক্ততা থাকে না। তিনি আরো বলেন, গণতন্ত্রের সবচাইতে সুন্দর দিক হলো স্বচ্ছ একটা নির্বাচন জনগণের ভোটে হয়েছে। আমি ঠকেছি ঠকেছি। আমি জিতছি, আমি জিতছি। দুর্ভাগ্য হলো ইলেকশনকে নিয়ে যত খেলা। রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া ঠিক করতে পারলাম না। যে কারণে প্রতিটি নির্বাচনের আগে ঝামেলাগুলো হচ্ছে। এ সময় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগে সোহরাওয়ার্দীর মতো লোক, মানিক মিয়ার মতো লোক যে সমস্ত কথা বলে গেছেন, যে সমস্ত দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সেগুলো আওয়ামী লীগ ভুলে গেছে। বঙ্গবন্ধুর কথা বলা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সততা, শালীনতা এগুলো অনুসরণ করা হয় না। শুধু বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু করলে তো হবে না। বঙ্গবন্ধু উদার ছিলেন। রাজনীতিতে উদার মন নিয়ে চলতে হয়। ভিন্ন মত নিয়ে চলতে হয়। অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, রায়ের পর রাজনীতি নতুন মোড় নিয়েছে। চলমান রাজনীতি আমরা দেখছি ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন জনগণের ভোটে হয়নি। ১৫৩ জন বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা ওই নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক বলি না। সরকারের যে নৈতিক ভিত্তি অবৈধ বলে থাকি। পঞ্চদশ সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সংসদ নির্বাচন পার্লামেন্ট বহাল থেকে হবে। এটা আমরা মানিনি। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলেছে। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার ৩৬টি মামলা অত্যন্ত অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে বিচারকাজ পরিচালনা করা হয়েছে। আমার মনে হয় এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। সরকারের উদ্দেশ্য হলো, আগামী নির্বাচনে বেগম জিয়া যাতে অংশ নিতে না পারেন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা এবং সর্বোপরি রাজনীতির বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে সরকার। জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ বলেন, আজকের ঘটনা আওয়ামী লীগের সৃষ্ট কোনো ঘটনা নয়। এটা তত্ত্বাবধায়কের সময় দেয়া মামলা। দশ বছর পেরিয়ে গেছে। ২৮০টি মামলার তারিখ পড়েছে। ৪০ থেকে ৪৫ দিন খালেদা জিয়া হাজিরা দিয়েছেন। তড়িঘড়ি করে রায় দেয়া হয়েছে সঠিক না। উনি যদি ঠিকমতো হাজিরা দিতেন তাহলে রায় এত বিলম্ব হতো না। ইলেকশনের আগে যে রায় আসবে সেটা উনি জানতেন। রায়টা যদি নির্বাচনের আগে আসে তাহলে কিছুটা ফসল ঘরে তুলতে পারবেন ভেবে হয়তো উনি বিলম্ব করেই নিয়েছেন। এটা পলিটিক্যাল কেইস না। এটা দুর্নীতির মামলা। এটা যে কারো বিরুদ্ধে হতে পারে। আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। আমরা দুর্নীতি করলে এর বিচার হবে। এটা একটা দৃষ্টান্ত হবে। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, দুই দলের কেউ ক্ষমতায় থাকার সময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করেনি। আজ খালেদা যতটুকু সুবিধা পাচ্ছেন বিচার বিভাগের কারণে। দলীয়করণের রাজনীতি চলছে। সব পেশায় দলীয়করণ করেছে দুই দল। আইনের শাসনে নিরপেক্ষতা দুই দলের কেউ বিচার বিভাগকে স্বাধীন করে নাই। যারা রাজনীতি করে তাদের জানতে হয় কেন বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হয়। বিচার বিভাগের দলীয়করণ করেছে আইনজীবীরা। এটা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নাই। শুধু এটর্নি জেনারেল দলীয় হয়। কাল বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দশ হাজার আইনজীবী চাকরি পাবে। এটর্নি সিস্টেমটা ভেঙ্গে দেয়া দরকার। বেগম খালেদা জিয়া আজ অসহায়। কোর্টে শাস্তি পেয়েছেন, ডিভিশন পাবেন কিনা। সঙ্গে কেউ থাকবে কিনা এজন্য কোর্টে যেতে হয়। রাজনীতিবিদদের শেষ ভরসা আদালত। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে তারা বিশ্বাস করেন না। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, এখন রাজনীতি করে ক্ষমতার জন্য। মানুষের জন্য কেউ করে না। ক্ষমতার বাইরে চলে গেলে আমাদের দুঃখ লাগে। আইন আদালতের মুখোমুখি হতে হয় কোর্ট কাচারির শরণাপন্ন হতে হয়। যখন ক্ষমতায় থাকি তখন কোর্টকে যা বলি তাই শুনতে হয়। আইন আদালত নিজেদের মনে করে। গণতন্ত্রের নাগরদোলায় উঠেছি। এটা কবে শেষ হবে জানি না। তিনি আরো বলেন, জীবনে মামলা হয়নি এমন রাজনীতিবিদ কে আছে? জেল খাটেনি এমন কে আছে? মামলা হয়নি কিন্তু রাজনীতিতে প্রসিদ্ধ লাভ করেছে এমন দশজন লোক নেই। বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচবছর জেল হয়েছে বিশেষ বিবেচনায়।
No comments