পোড়া গ্রামে রোহিঙ্গাদের পোড়া জীবন দেখলেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আমার
সারা জীবনে এমন ভয়াবহ দৃশ্য দেখিনি। আমি জানি না আর কেউ দেখছেন কিনা- কোনো
মানুষ অন্য কোনো মানুষকে এমনভাবে পুড়িয়ে মারতে পারে! শত শত গ্রাম জ্বালিয়ে
দেয়া হয়েছে- নিজের চোখে রোহিঙ্গাদের পোড়া গ্রাম দেখে ঠিক এ কথাগুলোই
বেরিয়ে এসেছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখ থেকে। চারদিনের
এশিয়া সফরের তিন দিনের মাথায় মিয়ানমারে গিয়ে মংডুর পেন দাউ পিন গ্রাম
পরিদর্শন করেন জনসন। ঘৃণার আগুনে পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া গ্রাম ঘুরে ঘুরে
রোহিঙ্গাদের ‘পোড়া জীবন’ দেখলেন জনসন। কথা বললেন ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা
সর্বহারাদের সঙ্গেও।
১ নিরপরাধ রোহিঙ্গা শিশুটির পুড়ে যাওয়া সাইকেলটি হাতে তুলে অপলক তাকিয়ে আছেন বরিস। হয়তো কিছু সময়ের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কিংবা ছোট সাইকেলের দাম্ভিক ক্ষুদে মালিকের পরিণতি ভাবছিলেন- সাইকেলের গায়ে দেখছিলেন বালকের ঝলসানো স্বপ্ন! বেঁচে থাকার আস্ফালন
২ পোড়া ভিটেবাড়িতে সুখের আলামত খুঁজছেন বরিস। হাতের কাছে যা পাচ্ছিলেন তাই নেড়েচেড়ে দেখছিলেন। কখনও পুড়ে যাওয়া টেবিল ক্লথ, কখনও ভাঙা গ্লাস। ছড়ানো ছিটানো আসবাবপত্র, অস্তিত্বহীন হেঁশেলের ভাঙা বাসন-কোসন। যেন পোড়া সংসার ঘেঁটে পরিবারের সোনালি দিনগুলোর মাঝে হারিয়ে যেতে চাইছেন তিনি।
৩ প্রত্যক্ষদর্শী এক রোহিঙ্গাকে ডেকে সেদিনের কথা শুনছিলেন বরিস জনসন। ভয়ংকর সে বর্ণনা বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারেননি। খানিক পরেই ডুঁকরে কেঁদে ওঠেন সদানন্দ এই ব্রিটিশ মন্ত্রী। পুলিশের ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত জাত-পরিচয়হীন ‘অজাতের’ সামনেই বারবার চোখ মোছেন বরিস।
১ নিরপরাধ রোহিঙ্গা শিশুটির পুড়ে যাওয়া সাইকেলটি হাতে তুলে অপলক তাকিয়ে আছেন বরিস। হয়তো কিছু সময়ের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কিংবা ছোট সাইকেলের দাম্ভিক ক্ষুদে মালিকের পরিণতি ভাবছিলেন- সাইকেলের গায়ে দেখছিলেন বালকের ঝলসানো স্বপ্ন! বেঁচে থাকার আস্ফালন
২ পোড়া ভিটেবাড়িতে সুখের আলামত খুঁজছেন বরিস। হাতের কাছে যা পাচ্ছিলেন তাই নেড়েচেড়ে দেখছিলেন। কখনও পুড়ে যাওয়া টেবিল ক্লথ, কখনও ভাঙা গ্লাস। ছড়ানো ছিটানো আসবাবপত্র, অস্তিত্বহীন হেঁশেলের ভাঙা বাসন-কোসন। যেন পোড়া সংসার ঘেঁটে পরিবারের সোনালি দিনগুলোর মাঝে হারিয়ে যেতে চাইছেন তিনি।
৩ প্রত্যক্ষদর্শী এক রোহিঙ্গাকে ডেকে সেদিনের কথা শুনছিলেন বরিস জনসন। ভয়ংকর সে বর্ণনা বেশিক্ষণ সহ্য করতে পারেননি। খানিক পরেই ডুঁকরে কেঁদে ওঠেন সদানন্দ এই ব্রিটিশ মন্ত্রী। পুলিশের ভয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা শত শত জাত-পরিচয়হীন ‘অজাতের’ সামনেই বারবার চোখ মোছেন বরিস।
No comments