ক্যান্সার প্রতিরোধে শীতের এ সবজিটি খান
শীতের
দিনে তাজা সবজি খেতে সবাই পছন্দ করেন। এই সবুজ সবজিগুলোর মাঝে নজর কাড়ে
লাল-রঙা একটি সবজি। হ্যাঁ, মিষ্টি আলুর কথাই বলা হচ্ছে। এ সবজটির পুষ্টিগুণ
অনেক। এখন থেকে খাবার তালিকায় লাল-আলু রাখুন। কারণ হার্ট থেকে কিডনি প্রায়
সবগুলো অর্গানের খেয়াল রাখে এটি। গবেষণা বলছে, সপ্তাহে যদি একদিন মিষ্টি
আলু খাওয়া যায়, তাহলে শরীর নিয়ে আর চিন্তায় থাকতে হয় না। কী এমন উপকার করে
সবজিটি? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টি আলুতে এমন কিছু পুষ্টিকর উাপাদান
আছে, যা হার্ট থেকে কিডনি, শরীরের প্রতিটি ভাইটাল অর্গ্যানের খেয়াল রাখে।
শরীরকে তরতাজা রাখে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কীভাবে মিষ্টি আলু আমাদের শরীরের
খেয়াল রাখে।
অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায় : মিষ্টি আলুতে রয়েচে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা শরীরে প্রবেশ করার পর এতো মাত্রায় শ্বেত এবং লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় যে রক্ত স্বল্পতার মতো সমস্যা কমতে সময়ই লাগে না।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় : প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এ সবজিটি খেলে পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সাথে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : মিষ্টি আলুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন এ, যা ক্যান্সার প্রতেরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, এই উপাদানগুলো দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর করে : দাঁত এবং হাড়কে শক্ত করার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং একাধিক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে ভিটামিনটির কোনো বিকল্প নেই। এখানেই শেষ নয়, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ব্লাড সেলের ফর্মেশনেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভিটামিন বি৬-এ পরিপূর্ণ : এই ভিটামিন শরীরে থাকা একাধিক ক্ষতিকর কেমিকেলের প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। ফলে একাধিক ডিজেনারেটিভ ডিজিজ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সাথে হার্টেরও উন্নতি ঘটায়। এমনটা হওয়ার কারণে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং একাধিক হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করে : শরীরকে সচল রাখতে যে যে ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণই ভূমিকা পালন করে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন ডি। এ ভিটামিনটি হাড়কে শক্ত করার পাশাপাশি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এবং মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি যাতে কোনো সময় না হয় তার জন্য নিয়মিত মিষ্টি আলু খাওয়া উচিত। কারণ সবজিটিতে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে, তা দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় : আয়রন হলো এমন একটি খনিজ যা শ্বেত এবং লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে ইমিউন সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজে আসে। আর এ খনিজটি প্রচুর পরিমাণে আছে মিষ্টি আলুতে। ফলে সপ্তাহে ১-২ বার সবজিটি খাওয়ার অভ্যাস করলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সাথে সংক্রমণের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
ডায়াবেটিস দূরে রাখে : স্বাদে মিষ্টি হলেও রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সবজিটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে একেবারে নিচের দিকে রয়েছে মিষ্টি আলু। তাই সবজিটি খাওয়া মাত্র শরীরে সুগারের মাত্রা তো বাড়েই না, উল্টে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
স্ট্রেস কমায় : মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এ খনিজটি আর্টারি এবং হার্টের পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্ট্রেস কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ব্রেন পাওয়ার বাড়ায় : মস্তিস্কে থাকা নার্ভ সেলগুলো নিজেদের মধ্যে যত সুন্দরভাবে সিগনাল আদান প্রদান করবে, তত ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। সেই সাথে বাড়বে বুদ্ধি, মনোযোগ এবং মনে রাখার ক্ষমতাও। আর কীভাবে এমনটা সম্ভব হবে? এক্ষেত্রে পটাশিয়াম দারুণভাবে কাজে আসতে পারে। আর এ খনিজটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে মিষ্টি আলুতে।
হাড়ের রোগকে দূরে রাখে : মিষ্টি আলুতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান, হাড় এবং জয়েন্টকে মজবুত করে। ফলে অধিক বয়সে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, এনার্জি লেভেল বাড়ানোর পাশাপাশি হার্টের উন্নতিতে, নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সবজিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সূত্র : ইন্টারনেট
অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায় : মিষ্টি আলুতে রয়েচে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা শরীরে প্রবেশ করার পর এতো মাত্রায় শ্বেত এবং লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় যে রক্ত স্বল্পতার মতো সমস্যা কমতে সময়ই লাগে না।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় : প্রচুর মাত্রায় ফাইবার থাকার কারণে নিয়মিত এ সবজিটি খেলে পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সাথে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে : মিষ্টি আলুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যারোটিনয়েড এবং ভিটামিন এ, যা ক্যান্সার প্রতেরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, এই উপাদানগুলো দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।
ভিটামিন সি-এর ঘাটতি দূর করে : দাঁত এবং হাড়কে শক্ত করার পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং একাধিক সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে ভিটামিনটির কোনো বিকল্প নেই। এখানেই শেষ নয়, একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ব্লাড সেলের ফর্মেশনেও ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ভিটামিন বি৬-এ পরিপূর্ণ : এই ভিটামিন শরীরে থাকা একাধিক ক্ষতিকর কেমিকেলের প্রভাবকে কমিয়ে দেয়। ফলে একাধিক ডিজেনারেটিভ ডিজিজ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। সেই সাথে হার্টেরও উন্নতি ঘটায়। এমনটা হওয়ার কারণে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং একাধিক হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
ভিটামিন ডি-এর চাহিদা পূরণ করে : শরীরকে সচল রাখতে যে যে ভিটামিন গুরুত্বপূর্ণই ভূমিকা পালন করে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হলো ভিটামিন ডি। এ ভিটামিনটি হাড়কে শক্ত করার পাশাপাশি শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে এবং মানসিক অবসাদের মতো সমস্যা দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তাই ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি যাতে কোনো সময় না হয় তার জন্য নিয়মিত মিষ্টি আলু খাওয়া উচিত। কারণ সবজিটিতে যে পরিমাণ ভিটামিন ডি থাকে, তা দেহের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় : আয়রন হলো এমন একটি খনিজ যা শ্বেত এবং লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে ইমিউন সিস্টেমের ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কাজে আসে। আর এ খনিজটি প্রচুর পরিমাণে আছে মিষ্টি আলুতে। ফলে সপ্তাহে ১-২ বার সবজিটি খাওয়ার অভ্যাস করলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সাথে সংক্রমণের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।
ডায়াবেটিস দূরে রাখে : স্বাদে মিষ্টি হলেও রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সবজিটির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে একেবারে নিচের দিকে রয়েছে মিষ্টি আলু। তাই সবজিটি খাওয়া মাত্র শরীরে সুগারের মাত্রা তো বাড়েই না, উল্টে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
স্ট্রেস কমায় : মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এ খনিজটি আর্টারি এবং হার্টের পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি স্ট্রেস কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
ব্রেন পাওয়ার বাড়ায় : মস্তিস্কে থাকা নার্ভ সেলগুলো নিজেদের মধ্যে যত সুন্দরভাবে সিগনাল আদান প্রদান করবে, তত ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করবে। সেই সাথে বাড়বে বুদ্ধি, মনোযোগ এবং মনে রাখার ক্ষমতাও। আর কীভাবে এমনটা সম্ভব হবে? এক্ষেত্রে পটাশিয়াম দারুণভাবে কাজে আসতে পারে। আর এ খনিজটি প্রচুর মাত্রায় রয়েছে মিষ্টি আলুতে।
হাড়ের রোগকে দূরে রাখে : মিষ্টি আলুতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান, হাড় এবং জয়েন্টকে মজবুত করে। ফলে অধিক বয়সে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, এনার্জি লেভেল বাড়ানোর পাশাপাশি হার্টের উন্নতিতে, নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে সবজিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
সূত্র : ইন্টারনেট
No comments