নারায়ণগঞ্জে গা শিউরে উঠা ১০ খুন
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত পাঁচ খুনীর ১০ খুনের লোমহর্ষক ঘটনা গা শিউরে উঠার মতো। এরমধ্যে সোমবার পাঁচ খুনের একমাত্র আসামি ভাগ্নে মাহফুজকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। এছাড়া সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পাঁচটি পৃথক খুনের মধ্যে রয়েছে- সিদ্ধিরগঞ্জে বাড়িওয়ালার স্ত্রী সেলিনা বেগমকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে হত্যা, কাশীপুর ভোলাইল এলাকায় দুই বছরের শিশুকে বুড়িগঙ্গা নদীতে চুবিয়ে হত্যা, ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় রূপাইয়া হোসিয়ারী কারখানায় মার্কেটিং অফিসারকে পিটিয়ে হত্যা ও ফতুল্লার ভূইগড় এলাকায় শশুর বাড়িতে এসে ছুরিকাঘাতে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে হত্যা। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ ইউনিটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা ইয়াসমীন জানান, রাশেদ শিকদারের মালিকানাধীন ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় অবস্থিত রূপাইয়া হোসিয়ারী কারখানায় মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন ফাহিম (২৪)। সম্পর্কে ফাহিমের ভগ্নিপতি কারখানার মালিক রাশেদ শিকদার। এছাড়া ফাহিম মুন্সিগঞ্জ জেলার কাগজীপাড়া এলাকার ইলিয়াস মিয়ার ছেলে। এক নারী শ্রমিককে পছন্দ করায় গত ১৯ মার্চ কারখানার ভিতরে ফাহিমকে পিটিয়ে হত্যা করে কারখানাটির দরজায় তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় শ্রমিক সোহান ওরফে সোহাগ ও তার ভাতিজা সহকর্মী ইউসুফ। নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুডি পশ্চিমপাড়া বাজার এলাকায় বাবুল প্রধানের বাড়ির চর্তুথ তলায় সোলাইমান মিয়া তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করতেন। ২৫ এপ্রিল রাত সাড়ে ৭টায় সোলাইমান বাসায় এসে তার ফ্ল্যাটের সামনে দাড়িয়ে স্ত্রী সন্তানকে ডাকাডাকি করে। এতে তারা দরজা না খুললে সোলাইমান উত্তেজিত হয়ে দরজায় ধাক্কা ও লাথি দেয়। বিষয়টি বাড়ির সকলের কাছে বিরক্তিকর বলে মনে হলে বাড়িওয়ালা বাবুল প্রধানের স্ত্রী সেলিনা বেগম গিয়ে সোলাইমানকে ডাকেন। এসময় সোলাইমান বাড়িওয়ালার স্ত্রী সেলিনা বেগমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ভাড়াটিয়াদের সামনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা শেষে পালিয়ে যায়। পরে ১২ জুলাই সোলাইমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এ মামলায় এখনো আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়নি। ফতুল্লা মডেল থানার ওসি কামাল উদ্দিন জানান, সম্প্রতি ফতুল্লায় ঘটে যাওয়া দুইটি হত্যাকাণ্ড ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে ভুইগড় এলাকায় বোরকা পড়ে এসে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে নাছির মিয়া নামে এক যুবক। শ্যালিকা শারমিন আক্তার বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতো ও ঘুরে বেড়াতো। আর শারমিনের প্ররোচনায় তার স্ত্রী সাবিনাও বিভিন্ন ছেলের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে মোবাইলে কথা বলতো। এ কারণে স্ত্রী ও শ্যালিকাকে খুন করে নাছির মিয়া। ওসি কামাল উদ্দিন আরও জানান, ফতুল্লার কাশীপুর ভোলাইল এলাকার মহিউদ্দিন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া জাহিদ মিয়ার ছেলে শিশু সাগরকে (২) বুড়িগঙ্গা নদীতে চুবিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় একই বাড়ির পার্শ্ববর্তী রুমের ভাড়াটিয়া মাসুদ রানাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার দায় স্বীকার করে রোববার আদালতে জবানবন্দি দেয়। সাগর নিখোঁজ হওয়ার কয়েকদিন আগে মাসুদ রানার শ্যালিকাকে রান্না করা নিয়ে ঝগড়া করে শিশু সাগরের বাবা জাহিদুলসহ তার পরিবারের চারজন মিলে মারধর করে। এর জের ধরে ১ আগস্ট দুপুরে শিশু সাগরকে বুড়িগঙ্গানদীর তীরে যায় মাসুদ রানা। এরপর সন্ধ্যায় শিশুটিকে নদীতে চুবিয়ে হত্যা শেষে ফেলে রেখে বাড়ি চলে আসে মাসুদ রানা।
গা শিউরে উঠার মতো মাহফুজের সেই জবানবন্দি
এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকায় মামী লামিয়ার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে ভাগ্নে মাহফুজ একাই একে একে পাঁচজনকে শিলপুতা ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। জবানবন্দিতে মাহফুজ জানায়, ঘটনার রাতে লামিয়ার খাটের নিচে অবস্থান নেয় মাহফুজ। সেদিন ওই খাটে জা তাসলিমার ছোট ভাই মোশারফ ঘুমায়। আর লামিয়া তার জা তাসলিমার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিলপাটার শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে প্রথমে তাসলিমার ছোট ভাই মোশারফকে, পরে পর্যায়ক্রমে মাহফুজের বড় মামা শফিকুলের স্ত্রী তাছলিমা, ছোট মামা শরীফের স্ত্রী লামিয়া, তাসলিমার পাঁচ বছরের মেয়ে সুমাইয়া এবং সব শেষে তাসলিমার দশ বছরের ছেলে শান্তকে হত্যা করে মাহফুজ। শহরের বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকায় আশেক আলী ভিলার নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত থেকে ১৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। ২১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালত মাহফুজের এ জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন।
গা শিউরে উঠার মতো মাহফুজের সেই জবানবন্দি
এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বাবুরাইল এলাকায় মামী লামিয়ার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে ভাগ্নে মাহফুজ একাই একে একে পাঁচজনকে শিলপুতা ও শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। জবানবন্দিতে মাহফুজ জানায়, ঘটনার রাতে লামিয়ার খাটের নিচে অবস্থান নেয় মাহফুজ। সেদিন ওই খাটে জা তাসলিমার ছোট ভাই মোশারফ ঘুমায়। আর লামিয়া তার জা তাসলিমার সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিলপাটার শিল দিয়ে মাথায় আঘাত করে প্রথমে তাসলিমার ছোট ভাই মোশারফকে, পরে পর্যায়ক্রমে মাহফুজের বড় মামা শফিকুলের স্ত্রী তাছলিমা, ছোট মামা শরীফের স্ত্রী লামিয়া, তাসলিমার পাঁচ বছরের মেয়ে সুমাইয়া এবং সব শেষে তাসলিমার দশ বছরের ছেলে শান্তকে হত্যা করে মাহফুজ। শহরের বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকায় আশেক আলী ভিলার নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ২০১৬ সালের ১৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত থেকে ১৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। ২১ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালত মাহফুজের এ জবানবন্দি রেকর্ড করেছিলেন।
No comments