তুফানের চার্জার রিকশা এখনো চলছে তুফান গতিতেই
জাতীয় শ্রমিকলীগ নেতা (সদ্যবহিষ্কৃত) তুফান সরকারের দেয়া লাইসেন্সে বগুড়া শহরে ব্যাটারিচালিত প্রায় ১০ হাজার চার্জার রিকশা এখনো তুফান গতিতেই চলছে। এসব রিকশা শহরে ভয়াবহ যানজট সৃষ্টি করছে। তুফান সরকার ২০১৪ সালে জেলা চার্জার রিকশা ও ভ্যান মালিক সমিতি গঠন করে। এরপর সংগঠনের সভাপতি হয়ে এসব রিকশা ও ভ্যান রাস্তায় নামাতে তার স্বাক্ষরিত পরিচয়পত্র গাড়ির সাথে লাগানো বাধ্যতামূলক করা হয়। এ সময় ভর্তি ফি নেয়া হয় মোটা অঙ্কের। এ ছাড়া দৈনিক ২০ টাকা চাঁদা নেয়া হতো। তবে পুলিশ এটা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তবে খুশির বিষয়, এখন কোনো চাঁদা দিতে হয় না চালকদের। এতে গরিব রিকশা চালকরা খুশি। তারা চান আর যেন আগের মতো কোনো চাঁদা দিতে না হয়। এসব রিকশা চালক অদক্ষ হওয়ায় শহরের মধ্যে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ট্রাফিক পুলিশ শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা এলাকায় চার্জার রিকশা নিষিদ্ধ করেছে। তবুও কিছু রিকশা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সাতমাথায় চলাচল করছে। ফলে প্রায়ই যানজট লেগে থাকে।
কিশোরী সেফহোমে ও মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ
বগুড়ায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার সেই ছাত্রীকে রাজশাহীর সেফ হোমে এবং তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- ১ (নারী ও শিশু) আদালতে পুলিশ তাদের হাজির করে। শুনানি শেষে বিকেলে আদালতের বিচারক এমদাদুল হক ছাত্রীকে রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি সেফহোম ও ওই ছাত্রীর মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার ওসি অপারেশ আবুল কালাম আজাদ জানান, ১১ দিন চিকিৎসা শেষে মা ও মেয়েকে কোথায় রাখা হবে এ জন্য আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্যাতিত ছাত্রীকে রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি সেফহোমে রাখা হবে এবং তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হবে। নির্দেশমতে তাদের সেখানে নেয়ায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) উপপরিচালক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ধর্ষিতা ও নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী ও তার মা এখন সুস্থ। সোমবার দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিশ তাদের আদালতে নিয়ে যায়।
তদন্ত কমিটি
বগুড়া জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি জনসাধারণের জবানবন্দী গ্রহণ করছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে জবানবন্দী নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত সাতজন জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, রিমান্ড শেষে ছাত্রী নির্যাতনের প্রধান নায়ক তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশার বোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজিয়া হাসান রুমকি ও তুফানের সহযোগীরা জেল হাজতে রয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মুখ খোলেনি তুফান ও তার সহযোগীরা।
বিবৃতি
বগুড়া জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, বগুড়ার আহ্বায়ক আল মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু, আশরাফুন নাহার স্বপ্না ও সদস্য সচিব মো: জলিলুর রহমান এক বিবৃতিতে বগুড়ায় ধর্ষণ এবং পরবর্তী সময়ে মা ও মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় ধর্ষক তুফান সরকার এবং এ কাজের সহিত জড়িত অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। গত ১৭ জুলাই কলেজে ভর্তি করার কথা বলে কিশোরীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে গ্রেফতারকৃত তুফান সরকার। এ ঘটনার পর ২৮ জুলাই দুপুরে ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর রুমকি ও তার সহযোগীরা বিচারের নামে ওই মেয়ে ও তার মাকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে তুফান সরকার ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে। এসব ঘটনায় ওই কিশোরীর মা মুন্নি বেগম বাদি হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ এনে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি, মাথা মুণ্ডনকারী নাপিত জীবন রবিদাসসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে তুফানের সহযোগী আতিক ও মুন্না আদালতে ১৬৪ ধারায় কিশোরীর সাথে তার মার মাথা মুণ্ডন করে দেয়ার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। মা-মেয়ের মাথা মুণ্ডনকারী নাপিত জীবন রবিদাসও মাথা মুণ্ডন করে দেয়ার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
কিশোরী সেফহোমে ও মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখার নির্দেশ
বগুড়ায় ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার সেই ছাত্রীকে রাজশাহীর সেফ হোমে এবং তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- ১ (নারী ও শিশু) আদালতে পুলিশ তাদের হাজির করে। শুনানি শেষে বিকেলে আদালতের বিচারক এমদাদুল হক ছাত্রীকে রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি সেফহোম ও ওই ছাত্রীর মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার ওসি অপারেশ আবুল কালাম আজাদ জানান, ১১ দিন চিকিৎসা শেষে মা ও মেয়েকে কোথায় রাখা হবে এ জন্য আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী নির্যাতিত ছাত্রীকে রাজশাহী বিভাগীয় সরকারি সেফহোমে রাখা হবে এবং তার মাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেয়া হবে। নির্দেশমতে তাদের সেখানে নেয়ায় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (শজিমেক) উপপরিচালক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ধর্ষিতা ও নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী ও তার মা এখন সুস্থ। সোমবার দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর পুলিশ তাদের আদালতে নিয়ে যায়।
তদন্ত কমিটি
বগুড়া জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি জনসাধারণের জবানবন্দী গ্রহণ করছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আব্দুস সামাদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে জবানবন্দী নিচ্ছেন। এ পর্যন্ত সাতজন জবানবন্দী দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী জানান, রিমান্ড শেষে ছাত্রী নির্যাতনের প্রধান নায়ক তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশার বোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাজিয়া হাসান রুমকি ও তুফানের সহযোগীরা জেল হাজতে রয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মুখ খোলেনি তুফান ও তার সহযোগীরা।
বিবৃতি
বগুড়া জেলা যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক, বগুড়ার আহ্বায়ক আল মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ফিজু, আশরাফুন নাহার স্বপ্না ও সদস্য সচিব মো: জলিলুর রহমান এক বিবৃতিতে বগুড়ায় ধর্ষণ এবং পরবর্তী সময়ে মা ও মেয়েকে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় ধর্ষক তুফান সরকার এবং এ কাজের সহিত জড়িত অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। গত ১৭ জুলাই কলেজে ভর্তি করার কথা বলে কিশোরীকে কৌশলে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে গ্রেফতারকৃত তুফান সরকার। এ ঘটনার পর ২৮ জুলাই দুপুরে ওই এলাকার পৌর কাউন্সিলর রুমকি ও তার সহযোগীরা বিচারের নামে ওই মেয়ে ও তার মাকে ধরে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। এ খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে তুফান সরকার ও তার তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করে। এসব ঘটনায় ওই কিশোরীর মা মুন্নি বেগম বাদি হয়ে অপহরণ, ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগ এনে সদর থানায় মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তুফান সরকারের স্ত্রী আশা সরকার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুমকি ও তার মা রুমি, মাথা মুণ্ডনকারী নাপিত জীবন রবিদাসসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এর মধ্যে তুফানের সহযোগী আতিক ও মুন্না আদালতে ১৬৪ ধারায় কিশোরীর সাথে তার মার মাথা মুণ্ডন করে দেয়ার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। মা-মেয়ের মাথা মুণ্ডনকারী নাপিত জীবন রবিদাসও মাথা মুণ্ডন করে দেয়ার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
No comments