নীলফামারী ৪ আসনে নতুন মুখ বেশি
নীলফামারী-৪ আসনে বইছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। বাড়ছে নতুন মুখের আনাগোনা। ব্যানার ফেস্টুন ছাপিয়ে জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে জানান দিচ্ছেন তাদের আগমনী বার্তা। আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দিয়েছেন। নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে প্রার্থী তালিকা। সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও লবিং ছাড়াও মাঠপর্যায়ে গণসংযোগ করে চলছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ঈদুল ফিতর থেকেই নেমে পড়েছেন গণসংযোগে আর কেউ বা ডিজিটাল ব্যানার ঝুলিয়েছেন শহরজুড়ে। এ আসনে প্রবীণ, নবীন ও বহিরাগতরাও মনোনয়ন চাইছেন। আওয়ামী লীগ থেকে হ্যাভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে যুক্ত হয়েছেন নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। তিনি প্রকাশ্য জনসভায় এ আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়াও সৈয়দপুর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সিকেন্দার আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আখতার হোসেন বাদল, কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির অন্যতম সদস্য আমেনা কোহিনুর আলম, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার মোখছেদুল ইসলাম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাফিউল ইসলাম নাফা, কর আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন। বিএনপির সম্ভ্যাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার, কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক কণ্ঠ শিল্পী বেবী নাজনীন, সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল গফুর সরকার ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা বিলকিস ইসলাম। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছেন সৈয়দপুর শহর জামায়াতের আমির আবদুল মোতাকিম, উপজেলা জামায়াতের আমির গোলাম মোস্তফা ও সাবেক উপজেলা আমির মাওলানা মাহমুদুল হাসান সাঈদী। জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সক্রিয় রয়েছেন বর্তমান এমপি ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শওকত চৌধুরী ও সাবেক সংসদ সদস্য শিল্পপতি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। জাফর ইকবাল সিদ্দিকী এর আগে নীলফামারী- ১ আসনের জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন। এখন পর্যন্ত ১৪ জন প্রার্থীর আনাগোনা দেখা গেলেও এই তালিকা আরো দীর্ঘ হতে পারে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের মুখে শোনা যাচ্ছে। ভোটারদের মধ্যেও চলছে নানা আলোচনা, কে কোন দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন, কে হলে ভালো হয় তা নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষণ। তবে প্রবীণ নেতা নাকি নবীনদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে তা নিয়েও জোর আলোচনা চলছে। কিশোরগঞ্জ উপজেলার একাংশ ও সৈয়দপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে অবাঙালিদের একটি বিরাট ভোট ব্যাংক রয়েছে। নির্বাচনে এই অবাঙালি ভোটাররাই মূল ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। তাই এখন থেকেই সব সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুটছেন তাদের কাছে। নানাভাবে তাদের মনজয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ আসন থেকে ’৯১ সালে বিএনপি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও সৈয়দপুর পৌরসভার চারবারের নির্বাচিত মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনি নির্বাচিত হওয়ার শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ জানান, দলীয় মনোনয়ন পেলে এ আসনটি সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি উপহার দিতে পারবেন বলে তিনি আশা করেন।
No comments