নোয়াখালী ৫ : যেমন প্রস্তুতি দুই ভিআইপি প্রার্থীর
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ) আসন। এ আসনে দুই ভিআইপি প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হবে। একজন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং অন্যজন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এই দুই ভিআইপি প্রার্থীর মনোনয়নের বিষয় দলীয় কোনো বড় ধরনের ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত না হলে অনেকটা নিশ্চিত। জাতীয় পার্টির আ ন ম শাহজাহানও মনোনয়নপ্রার্থী। এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর বিশাল একটি ভোটব্যাংক রয়েছে। জোটগতভাবে নির্বাচন হলে জামায়াতের ভোটগুলো ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমে প্রশাসন বাধা দিচ্ছে বলে দলীয় নেতাদের অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বসুরহাট পৌর হলে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের। প্রথমে এ অনুষ্ঠানে পুলিশ প্রশাসন অনুমতি দিলেও সমাবেশের আগের দিন অনুমতি বাতিল করে জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি নেয়ার জন্য বলা হয়। পরে ব্যারিস্টার মওদুদ তার নিজ বাড়িতে নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে করেন। একইভাবে সুন্দলপুর ও নরোত্তপুর দু’টি স্পটে সদস্য সংগ্রহ অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান হয়নি। তবুও বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে যেকোনোভাবে বিজয়ী করতে হবে এ চিন্তা নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা সক্রিয়ভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে আওয়ামী লীগও থেমে নেই। দলটির নেতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত নির্বাচনী পূর্বপ্রস্তুতি নিচ্ছেন। ওবায়দুল কাদের মন্ত্রী ছাড়াও দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় আওয়ামী লীগ এ আসনে ওবায়দুল কাদেরকে বিজয়ী করার জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। অপর দিকে জামায়াতে ইসলামীর ভোটব্যাংক আছে এ আসনে। জোটগতভাবে নির্বাচন হলে এসব ভোট ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পাবেন। জামায়াতের কারণে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ভোটের হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন বলে সচেতন মহলের অভিমত। এ দিকে জাতীয় পার্টির কোনো তৎপরতা নেই এ আসনে। তবে পার্টির নেতা আ ন ম শাহজাহান মনোনয়নের জন্য প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
No comments