স্কুলছাত্র, ছাত্রীসহ বাবা ও দুই কলেজ শিক্ষককে মারধর
রংপুরের বদরগঞ্জে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মাদ্রাসাছাত্রী ও তার বাবাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাতে স্থানীয় বখাটেরা এ ঘটনা ঘটায়। এদিন টাঙ্গাইলের মধুপুরে একইভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় এক স্কুলছাত্রকে। এ শিক্ষার্থীও তার স্কুলের কয়েক মেয়ে শিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করেছিল। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের নেতৃত্বে এ হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। মঙ্গলবার কক্ষে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস বর্জন করে তারা ধনবাড়ী-গোপালপুর সড়ক তিন ঘণ্টা অবরোধ করে। এদিন ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বরিশালের মুলাদী কলেজের দুই শিক্ষকের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। বিস্তারিত যুগান্তর প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে-
মধুপুর (টাঙ্গাইল) : উত্ত্যক্তের শিকার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর অনেকেই জানান, উপজেলার গেলাবাড়ী ইউনিয়নের বেলুটিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের তিন ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। বিষয়টি সহপাঠীদের নজরে এলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিউল সোমবার বিদ্যালয় চলাকালীন মাঠে মোটরসাইকেল চালাতে থাকে। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাধা দিতে গেলে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউল ফিরে গিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ওরফে আয়নাল নেতার ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে আনে। এরপর মেহেদীর নেতৃত্বে বেলুটিয়ার জুলহাস উদ্দিনের ছেলে সোহেল ওরফে চয়ন ও নূরুল ইসলামের ছেলে আল আমিনসহ তারা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বিদ্যালয়ে টিফিন চলছিল। তাদের পিটুনিতে বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হয়। এর মধ্যে দশম শ্রেণীর শাহাদৎ হোসেন শান্তকে বেশি মারধর করে বখাটেরা। আহত অন্যদের মধ্যে রয়েছে মনির, রিফাত, সোলায়মান ও মামুন। বখাটেদের বাধা দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক এরশাদ আলী, সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল, রায়হানা আক্তারসহ কয়েক শিক্ষক লাঞ্ছিত হন বলে জানান প্রধান শিক্ষক। আহত ছাত্র শান্তকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জুলহাস উদ্দিন জানান, বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান করে হামলার প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। বিক্ষোভকারীরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেয়। তবে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মেহেদী হাসান হামলায় তার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম অবরোধ-বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বদরগঞ্জ (রংপুর) : গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মাদ্রাসাছাত্রী ও তার বাবাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। সোমবার রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের জামুবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মেঝেতে ব্যথায় ছটফট করছে ছাত্রী। সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। ছাত্রীর পাশে বসে আছেন তার মা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে বাড়ির পাশে একটি দাখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে বিয়ের প্রস্তাব দেয় গণেশ চন্দ্রের ছেলে মাদকাসক্ত সুমন মিয়া। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় সে। নিরাপত্তার ভয়ে এক মাস ধরে মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দেই মেয়ের। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমার মেয়ে বাড়ির বাইরে বের হলে সুমন উত্ত্যক্ত করে। পরে তাকে আটক করে তার পরিবারকে খবর দেই। কিন্তু সুমনের পরিবারের লোকজন ও চার-পাঁচজন বন্ধু রাত ৯টায় হাতে লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদের মারধর করে সুমনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সফিউল আলম বলেন, মেয়েটি মাথায়, হাতে ও পায়ে মারাত্মক আঘাত পেয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তার বাবার বাঁ চোখে, মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। সুমনের বাবা গণেশ চন্দ্র হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ওই মেয়ের মা-বাবার কাছে আমার ছেলে ৫৫ হাজার টাকা পাবে। কিন্তু তারা টাকা দেন না। সোমবার টাকা চাইতে গেলে উল্টো তারা আমার ছেলেকে আটক করে মারধর করেন। আমার ছেলেও হাসপাতালে রয়েছে। তবে মেয়েটির বাবা বলেন, সুমন আমার কাছে কোনো টাকা পাবে না। মামলা থেকে বাঁচতে তারা মিথ্যা বলার চেষ্টা করছেন। আমরা তাকে মারধর করিনি। থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মুলাদী (বরিশাল) : পৌর সদরের তেরচর গ্রামের দেলোয়ার ফকিরের ছেলে বখাটে শাওন ফকির দীর্ঘদিন ধরে মুলাদী কলেজের ছাত্রীদের পথে-ঘাটে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। জনৈক এক ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় শাওন মঙ্গলবার ক্লাস শুরুর আগে কলেজের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেয়েদের ক্লাস রুমের সামনে গিয়ে উত্ত্যক্ত শুরু করে। এ সময় কলেজের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. হাফিজ আহমেদ ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আ. আলীম প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাওন শিক্ষকদের ধাক্কা দিলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে শিক্ষক মিলনায়তনে নিয়ে যায়। তখন শাওন মুচলেকা দিয়ে মুক্ত হন। পরে দেশীয় অস্ত্রসহ ১২-১৪ জন সন্ত্রাসী নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর এবং শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় সে। এতে প্রভাষক হাফিজ ও আলীম মারাত্মক আহত হন। পরে তারা কলেজ অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেনকে গালাগাল করে বীরদর্পে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। শিক্ষার্থীরা আহতদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনার পরপরই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া ও ওসি মো. মতিউর রহমান হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। মুলাদী কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শাওন ফকির, তন্ময়সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। অপরদিকে কলেজ শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করে এবং জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) : উত্ত্যক্তের শিকার শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর অনেকেই জানান, উপজেলার গেলাবাড়ী ইউনিয়নের বেলুটিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের তিন ছাত্রীকে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম। বিষয়টি সহপাঠীদের নজরে এলে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রবিউল সোমবার বিদ্যালয় চলাকালীন মাঠে মোটরসাইকেল চালাতে থাকে। এ সময় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বাধা দিতে গেলে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে রবিউল ফিরে গিয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ওরফে আয়নাল নেতার ছেলে মেহেদী হাসানকে ডেকে আনে। এরপর মেহেদীর নেতৃত্বে বেলুটিয়ার জুলহাস উদ্দিনের ছেলে সোহেল ওরফে চয়ন ও নূরুল ইসলামের ছেলে আল আমিনসহ তারা বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বিদ্যালয়ে টিফিন চলছিল। তাদের পিটুনিতে বেশকিছু শিক্ষার্থী আহত হয়। এর মধ্যে দশম শ্রেণীর শাহাদৎ হোসেন শান্তকে বেশি মারধর করে বখাটেরা। আহত অন্যদের মধ্যে রয়েছে মনির, রিফাত, সোলায়মান ও মামুন। বখাটেদের বাধা দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক এরশাদ আলী, সহকারী শিক্ষক ইব্রাহিম খলিল, রায়হানা আক্তারসহ কয়েক শিক্ষক লাঞ্ছিত হন বলে জানান প্রধান শিক্ষক। আহত ছাত্র শান্তকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে অবস্থা খারাপ দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় কাঠের গুঁড়ি ফেলে ফেস্টুন নিয়ে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জুলহাস উদ্দিন জানান, বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত অবস্থান করে হামলার প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্থানীয় চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে এসে দোষীদের আইনের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেন। বিক্ষোভকারীরা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ তুলে নেয়। তবে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে মেহেদী হাসান হামলায় তার জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মধুপুর থানার ওসি সফিকুল ইসলাম অবরোধ-বিক্ষোভের কথা স্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়নি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বদরগঞ্জ (রংপুর) : গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মাদ্রাসাছাত্রী ও তার বাবাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। সোমবার রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের জামুবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মেঝেতে ব্যথায় ছটফট করছে ছাত্রী। সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছে না। ছাত্রীর পাশে বসে আছেন তার মা। তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়ে বাড়ির পাশে একটি দাখিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে। মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে বিয়ের প্রস্তাব দেয় গণেশ চন্দ্রের ছেলে মাদকাসক্ত সুমন মিয়া। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় সে। নিরাপত্তার ভয়ে এক মাস ধরে মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দেই মেয়ের। তিনি আরও অভিযোগ করেন, সোমবার সন্ধ্যায় আমার মেয়ে বাড়ির বাইরে বের হলে সুমন উত্ত্যক্ত করে। পরে তাকে আটক করে তার পরিবারকে খবর দেই। কিন্তু সুমনের পরিবারের লোকজন ও চার-পাঁচজন বন্ধু রাত ৯টায় হাতে লাঠিসোটা নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে আমাদের মারধর করে সুমনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সফিউল আলম বলেন, মেয়েটি মাথায়, হাতে ও পায়ে মারাত্মক আঘাত পেয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তার বাবার বাঁ চোখে, মাথায় ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের সুস্থ হতে একটু সময় লাগবে। সুমনের বাবা গণেশ চন্দ্র হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেন, ওই মেয়ের মা-বাবার কাছে আমার ছেলে ৫৫ হাজার টাকা পাবে। কিন্তু তারা টাকা দেন না। সোমবার টাকা চাইতে গেলে উল্টো তারা আমার ছেলেকে আটক করে মারধর করেন। আমার ছেলেও হাসপাতালে রয়েছে। তবে মেয়েটির বাবা বলেন, সুমন আমার কাছে কোনো টাকা পাবে না। মামলা থেকে বাঁচতে তারা মিথ্যা বলার চেষ্টা করছেন। আমরা তাকে মারধর করিনি। থানার ওসি আখতারুজ্জামান প্রধান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মুলাদী (বরিশাল) : পৌর সদরের তেরচর গ্রামের দেলোয়ার ফকিরের ছেলে বখাটে শাওন ফকির দীর্ঘদিন ধরে মুলাদী কলেজের ছাত্রীদের পথে-ঘাটে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। জনৈক এক ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় শাওন মঙ্গলবার ক্লাস শুরুর আগে কলেজের একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় মেয়েদের ক্লাস রুমের সামনে গিয়ে উত্ত্যক্ত শুরু করে। এ সময় কলেজের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বাংলা বিভাগের প্রভাষক মো. হাফিজ আহমেদ ও ইসলামের ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক আ. আলীম প্রতিবাদ জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাওন শিক্ষকদের ধাক্কা দিলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে শিক্ষক মিলনায়তনে নিয়ে যায়। তখন শাওন মুচলেকা দিয়ে মুক্ত হন। পরে দেশীয় অস্ত্রসহ ১২-১৪ জন সন্ত্রাসী নিয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর এবং শিক্ষকদের ওপর হামলা চালায় সে। এতে প্রভাষক হাফিজ ও আলীম মারাত্মক আহত হন। পরে তারা কলেজ অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেনকে গালাগাল করে বীরদর্পে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। শিক্ষার্থীরা আহতদের উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনার পরপরই শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া ও ওসি মো. মতিউর রহমান হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন। মুলাদী কলেজের অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে শাওন ফকির, তন্ময়সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। অপরদিকে কলেজ শিক্ষকদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল করে এবং জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়।
No comments