চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ১৩ জনের মৃত্যু, বাড়তে পারে এ সংখ্যা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে কমপক্ষে ১৩জনের মৃত্যু হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬.৫। তবে এখনো দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের খবর পাওয়া না যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনের সরকারি সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, এদের মধ্যে অন্তত ৫ জন পর্যটক। সিচুয়ান প্রাদেশিক সরকারের বরাত দিয়ে সিনহুয়া জানায়, মঙ্গলবার রাতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে ১৩জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আরো ২৮ জন গুরুতর আহত। কিন্তু চীনের জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা জানায়, এ ঘটনায় প্রায় ১শ’ লোকের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূমিকম্প আঘাত হানা এলাকার প্রাথমিক চিত্রে আধা-সামরিক পুলিশবাহিনীকে ধ্বংসস্তুপের ভিতর জীবিত লোকদের সন্ধানে তল্লাশি চালাতে দেখা যায়। অন্য একটি স্থানে আতঙ্কিত মানুষকে আবারো ভূমিকম্পের আশঙ্কায় রাস্তায় থাকতে দেখা গেছে। মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, এ অঞ্চলে প্রথম দফা শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আবারো ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.২। ইউএসজিএস আরো জানায়, বুধবার সকালে চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৬.৩। অঞ্চলটি সিচুয়ান থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে (গ্রিনিচ মান সময় ২৩৩০টায়) আঘাত হানে। এর পরপরই এ অঞ্চলে রিখটার স্কেলে ৫.২ ও ৫.৩ মাত্রার দু’টি ভূমিকম্পন অনুভূত হয়। এতে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। সিনহুয়া জানায়, ভূমিকম্পের ঘটনায় ৩১ হাজার ৫শ’ জন পর্যটককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পে এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আহত লোকদের উদ্ধারে এবং দ্রুত ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
No comments