নিরাপত্তা দিতে ভারত ব্যর্থ : দিল্লির সমালোচনায় আফ্রিকান রাষ্ট্রদূতেরা
আফ্রিকার
নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। নিরাপত্তার জন্য যে ব্যবস্থা
দিল্লি নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তাই নাগরিকদের হামলার আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়ে
ভারতের ওপর চাপ বাড়ালেন ভারতে নিযুক্ত আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের
রাষ্ট্রদূতেরা। আফ্রিকার দেশগুলোর এই সিদ্ধান্তে নিঃসন্দেহে কূটনৈতিকভাবে
বিড়ম্বনা বাড়ল দিল্লির। ভারতের অস্বস্তি বাড়িয়ে দেশগুলির পক্ষে জারি করা
বিবৃতিতে এই ধরনের হামলাকে ‘বিদেশি ভীতি এবং জাতিবিদ্বেষের’ ফল বলে
জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারত এই সব হামলার যথোচিত নিন্দা করেনি বলে
জানানো হয়েছে। গত সপ্তাহে উত্তরপ্রদেশের গ্রেটার নয়ডা এলাকায় এক কিশোরকে
মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। জানা যায়, ড্রাগের কারণেই এই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
এরপরই স্থানীয়দের রাগ গিয়ে পড়ে সেখানে বসবাসকারী নাইজেরীয়দের ওপর। তারাই
এই কিশোরকে ড্রাগ বিক্রি করেছিল, এই অভিযোগে হামলা চালানো হয়। পাঁচ
নাইজেরীয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে কোনো প্রমাণ না পেয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া
হয়। তবে বিকেলে কিশোর মৃত্যুর বিচারের দাবিতে মোমবাতি মিছিল বার করেন
স্থানীয় মানুষজন। তাদের নজরে পড়ে গাড়িতে বসে থাকা নাইজেরীয় ছাত্রদের ওপর।
লাঠি নিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয় লোকজন। আর একটি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কেনাকাটা
করার সময় নাইজেরীয়দের ওপর হামলা করা হচ্ছে। মুহূর্তে সে ঘটনার ফুটেজ ছড়িয়ে
পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিষয়টি নিয়ে সরব হয় আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম। ভারতের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ তড়িঘড়ি টুইট করে জানান, বিষয়টি নিয়ে
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন
তিনি। তবে জাতিবিদ্বেষের কারণেই এই হামলা কিনা তদন্তের পরে সেই সিদ্ধান্ত
জানানো হবে বলে জানান স্বরাজ। আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতেরা অতটা সময় দিলেন না।
বরং এই ঘটনাকে জাতিবিদ্বেষ বলেই জানালেন। গ্রেটার নয়ডা এলাকায় কয়েক শ'
আফ্রিকার ছাত্র–ছাত্রী পড়াশোনা করেন। অধিকাংশই নাইজেরীয়। নাগরিক হামলার পরই
নাইজেরিয়ায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়ে ঘটনার নিন্দা করে আবুজা।
আফ্রিকার ছাত্র–ছাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে দিল্লি। ক্লাসে বা বাজারহাটে
যাওয়ার সময় তাদের পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।
No comments