নির্বাচনে রাশিয়া নাক গলিয়েছে : হ্যালি
যুক্তরাষ্ট্রের
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সন্দেহাতীতভাবেই রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল বলে মন্তব্য
করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। রোববার এবিসি
নিউজ চ্যানেলে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সুনিশ্চিতভাবেই আমি মনে করি
রাশিয়া নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল। এ নিয়ে কোনো প্রশ্নের অবকাশ নেই।’
খবর ইন্ডিপেন্ডেন্টের। মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বা প্রভাব
বিস্তারের চেষ্টা নিয়ে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড
ট্রাম্প। তিনি বারবারই বলে আসছেন, নির্বাচন নিয়ে তিনি বা তার টিমের কোনো
সদস্যের রাশিয়া কানেকশন ছিল না। অবশ্য কিছুদিন আগে ট্রাম্প স্বীকার করে
নিয়েছেন, রাশিয়ার অপারেটিভরা যুক্তরাষ্ট্রে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির
(ডিএনসি) ইমেইল হ্যাক করার নেপথ্যে থাকতে পারে।
তবে তাতে নির্বাচনের ফলের
ওপর কোনো প্রভাব পড়েছে বলে তিনি মনে করেন না। ট্রাম্পের নিয়োগ দেয়া
কর্মকর্তাদের মধ্যে নিকি হ্যালিই প্রথম নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের প্রকাশ্য
স্বীকৃতি দিলেন। তিনি অবশ্য বলেছেন, ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমালোচনা করতে
ট্রাম্প তাকে কোনো ধরনের বাধা দেননি।’ নিকি হ্যালি বলেন, ‘আমি মনে করি,
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাশিয়া নিশ্চিতভাবেই জড়িত ছিল। এটা নিয়ে প্রশ্নের
সুযোগ নেই।’ মার্কিন এই দূত আরও বলেন, ‘কোনো দেশ আমাদের নির্বাচনের সঙ্গে
সংশ্লিষ্ট থাকুক এটা আমরা কখনই চাই না।’ নির্বাচনী প্রচারণার সময়
ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটির সার্ভার হ্যাক হয়। তখন থেকেই নির্বাচনে
সম্ভাব্য রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ করে আসছিলেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি
ক্লিনটন। ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিষয়টি
নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। তখন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা রাশিয়া-ট্রাম্প
যোগসাজশের এ আশঙ্কা ব্যক্ত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের ধারণা,
নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকাররা হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে ট্রাম্পকে জয়ী
করতে ভূমিকা রেখেছে। গত ডিসেম্বরে গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র এক মূল্যায়ন
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে হিলারির জয়ের সম্ভাবনা হ্রাস করা এবং
ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলার জন্য এক অভিযানে নেমেছিল রাশিয়া।
যুক্তরাষ্ট্রের ১৭টি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের সারাংশ নিয়ে ওই
মূল্যায়নটি প্রস্তুত করে সিআইএ। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও
কংগ্রেসের ইন্টেলিজেন্স কমিটিসহ কয়েকটি সংস্থা তদন্ত চালাচ্ছে। রাশিয়া শুরু
থেকেই এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে; আর ট্রাম্প একে ‘মিথ্যা গল্প’ অ্যাখ্যা
দিয়েছেন।
No comments