প্রতিক্রিয়ায় বাম দল : এ ইসির অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অসম্ভব তা আরার প্রমাণ হলো
নির্বাচনে সরকার দলীয় প্রার্থীদেরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলেও জনগণ তাদের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক আকাংখা প্রত্যাখাত ও প্রতারিত হয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বাম রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। সরকারের সর্বাত্মক-নিয়ন্ত্রণ, কর্তৃত্ব ও খবরদারির মধ্যে এ নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যূনতম গ্রহণযোগ্য নির্বাচন যে অসম্ভব তা আরেকবার প্রমাণীত হলো। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত গিয়ে বিবৃতিতে এসব কথা বলেন বাম নেতারা।
সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে সংঘাত, সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনকে কোনোভাবেই জনগণের প্রত্যাশিত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করা যায় না। ভোটে সর্বত্র জনগণের অংশগ্রহণ ও ভোটের দিনে উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি। অনেক স্থানে সকল ভোটার নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে নি। নানা করচুপির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ফলে ভোটের ফলাফলে জনমতে প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে নি। নির্বাচনকে প্রহসনের ধারা থেকে মুক্ত করা যায় নি। তাই এই নির্বাচনের ফলাফলকে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও নির্বাচনকে কুৎসিত টাকার খেলায় পরিণত হতে দিয়ে নিষ্ঠাবান অথচ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। এরপরও নির্বাচনে দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় দলসমূহের অংশগ্রহণ থাকলেও ক্ষমতাসীন ও দ্বি-দলীয় ধারার দলসমূহ অতীত দিনে যেমন নির্বাচন ব্যবস্থাকে অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেনি, এবারও স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনকে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, দুর্নীতিমুক্ত স্থানীয় শাসন ইত্যাদি মূল ইস্যুগুলো পেছনে ফেলে দিয়ে জাতীয় রাজনীতির ক্ষমতাকেন্দ্রীক ভোটে রূপান্তরিত করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। নির্বাচনে টাকার খেলা, নানাভাবে পেশী শক্তির ব্যবহার, সাম্প্রদায়িক প্রচারণা ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং রোধ করতে নির্বাচন কমিশন দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করে নি।
বিপবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক বিবৃতিতে বলেছেন সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিপুলভাবে জয়ী ঘোষণা করা হলেও আরো একবার জনগণ এবং তাদের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক আকাংখা প্রত্যাখাত ও প্রতারিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছাকেই বাস্তবায়ন করেছে। সরকারি দল ও তাদের প্রার্থীদের কাছে নির্বাচন কমিশন আত্মসমর্পণ করেছে। স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনগণের ভোটাধিকার রা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন আরো একবার চুড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, এটা বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যব¯’া ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি গণহতাশা ও গণঅনাস্থার বহিঃপ্রকাশ।
বাসদ (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেছেন, গতকাল ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি দলের একচেটিয়া বিজয়ে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। আপাতদৃষ্টিতে সহিংসতা ও প্রকাশ্য ভোটডাকাতি কম মনে হলেও নির্বাচনের নামে বাস্তবে প্রহসন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারী দল কর্তৃক প্রশাসনের সহযোগিতায় আগের রাতেই ব্যালটে সীল মেরে রাখা, কেন্দ্র দখল, বিরোধী পক্ষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে গণহারে সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, বহিরাগতদের জড়ো করে ব্যাপক জালভোট প্রদান, বিরোধী নেতা-কর্মী ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে ভিড়তে না দেয়া, নির্বাচনের আগে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনকে পুলিশী হয়রানি করে এলাকাছাড়া করাসহ নানা কায়দায় পরিকল্পিত ও কৌশলী রিগিং করা হয়েছে।
সিপিবি নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বিভিন্ন স্থানে সংঘাত, সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনকে কোনোভাবেই জনগণের প্রত্যাশিত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন বলে আখ্যায়িত করা যায় না। ভোটে সর্বত্র জনগণের অংশগ্রহণ ও ভোটের দিনে উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায়নি। অনেক স্থানে সকল ভোটার নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে নি। নানা করচুপির আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ফলে ভোটের ফলাফলে জনমতে প্রকৃত প্রতিফলন ঘটে নি। নির্বাচনকে প্রহসনের ধারা থেকে মুক্ত করা যায় নি। তাই এই নির্বাচনের ফলাফলকে জনগণের মতামতের প্রতিফলন হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও নির্বাচনকে কুৎসিত টাকার খেলায় পরিণত হতে দিয়ে নিষ্ঠাবান অথচ আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল মানুষদের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছিল। এরপরও নির্বাচনে দেশের রাজনীতিতে সক্রিয় দলসমূহের অংশগ্রহণ থাকলেও ক্ষমতাসীন ও দ্বি-দলীয় ধারার দলসমূহ অতীত দিনে যেমন নির্বাচন ব্যবস্থাকে অবাধ নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে পারেনি, এবারও স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনকে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়ন, স্থানীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন, দুর্নীতিমুক্ত স্থানীয় শাসন ইত্যাদি মূল ইস্যুগুলো পেছনে ফেলে দিয়ে জাতীয় রাজনীতির ক্ষমতাকেন্দ্রীক ভোটে রূপান্তরিত করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে সাধারণ মানুষের কাছে আরও অগ্রহণযোগ্য করে তুলেছে। নির্বাচনে টাকার খেলা, নানাভাবে পেশী শক্তির ব্যবহার, সাম্প্রদায়িক প্রচারণা ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং রোধ করতে নির্বাচন কমিশন দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করে নি।
বিপবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এক বিবৃতিতে বলেছেন সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিপুলভাবে জয়ী ঘোষণা করা হলেও আরো একবার জনগণ এবং তাদের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক আকাংখা প্রত্যাখাত ও প্রতারিত হয়েছে। অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছাকেই বাস্তবায়ন করেছে। সরকারি দল ও তাদের প্রার্থীদের কাছে নির্বাচন কমিশন আত্মসমর্পণ করেছে। স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে জনগণের ভোটাধিকার রা ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন আরো একবার চুড়ান্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, এটা বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যব¯’া ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি গণহতাশা ও গণঅনাস্থার বহিঃপ্রকাশ।
বাসদ (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে বলেছেন, গতকাল ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি দলের একচেটিয়া বিজয়ে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটেনি। আপাতদৃষ্টিতে সহিংসতা ও প্রকাশ্য ভোটডাকাতি কম মনে হলেও নির্বাচনের নামে বাস্তবে প্রহসন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরকারী দল কর্তৃক প্রশাসনের সহযোগিতায় আগের রাতেই ব্যালটে সীল মেরে রাখা, কেন্দ্র দখল, বিরোধী পক্ষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়ে গণহারে সীল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা, বহিরাগতদের জড়ো করে ব্যাপক জালভোট প্রদান, বিরোধী নেতা-কর্মী ও ভোটারদের ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে ভিড়তে না দেয়া, নির্বাচনের আগে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনকে পুলিশী হয়রানি করে এলাকাছাড়া করাসহ নানা কায়দায় পরিকল্পিত ও কৌশলী রিগিং করা হয়েছে।
No comments