অনিয়ম হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে by ড.নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ
বিগত দিনগুলোতে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের
নামে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল যে ধরনের সহিংস কর্মসূচি পালন করেছে, সেসব
তাণ্ডবের কথা মানুষ সহজে ভুলতে পারবে না। এবারের পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল
ঘোষণার পর থেকেই মানুষের মনে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল তা হল,
নির্বাচনের দিন ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন
কিনা? সাধারণ মানুষ সেসব প্রশ্ন সামনে রেখেই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আমরা
লক্ষ করেছি, সারা দেশে ভোটাররা শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই তাদের ভোটাধিকার
প্রয়োগ করতে সক্ষম হয়েছেন। গত জানুয়ারির সব তাণ্ডবের কথা ভুলে মানুষ যে দলে
দলে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন এজন্য তাদের ধন্যবাদ
জানাতে হয়। পৌরসভা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পেছনে ভোটাররা গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রেখেছেন। তারা আবারও প্রমাণ করলেন যে, তারা নৈরাজ্য চান না, তারা
নিয়মতান্ত্রিকভাবে তাদের জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করতে চান।
সাধারণ মানুষের মনের সব ধরনের আতংক দূর করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে ভূমিকা পালন করেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রমাণ করলেন তারা গণতন্ত্রকে সুসংহত করার পক্ষে। পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা ধরনের অভিযোগ করেছে। তারা বলার চেষ্টা করেছেন, পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। আমার মনে হয়, যারা এসব অভিযোগ করেছেন তারা কোনো রকম যাচাই-বাছাই না করেই ঢালাওভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এমন মনগড়া অভিযোগ ও ঢালাও বক্তব্য প্রদানের সংস্কৃতি আমাদের দেশে নতুন নয়। আমি মনে করি, ঢালাও বক্তব্য প্রদানের আগে তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপর বক্তব্য দেয়া উচিত। তারা যদি সত্যি সত্যি নির্বাচনে কোনো ত্রুটি খুঁজে পান, সেসব বিষয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা উচিত। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে, সেসব বিষয় যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের কল্যাণে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তবে শতকরা হিসাবে সেসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই বিবেচনা করা যায়। সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে বলা যায়, আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের পৌরসভা নির্বাচন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
ড . নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ : চেয়ারম্যান, জানিপপ; প্রোভিসি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
সাধারণ মানুষের মনের সব ধরনের আতংক দূর করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে ভূমিকা পালন করেছে এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রমাণ করলেন তারা গণতন্ত্রকে সুসংহত করার পক্ষে। পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা ধরনের অভিযোগ করেছে। তারা বলার চেষ্টা করেছেন, পৌরসভা নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়নি। আমার মনে হয়, যারা এসব অভিযোগ করেছেন তারা কোনো রকম যাচাই-বাছাই না করেই ঢালাওভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। এমন মনগড়া অভিযোগ ও ঢালাও বক্তব্য প্রদানের সংস্কৃতি আমাদের দেশে নতুন নয়। আমি মনে করি, ঢালাও বক্তব্য প্রদানের আগে তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপর বক্তব্য দেয়া উচিত। তারা যদি সত্যি সত্যি নির্বাচনে কোনো ত্রুটি খুঁজে পান, সেসব বিষয়ে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা উচিত। নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে, সেসব বিষয় যাচাই করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া।
পৌরসভা নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় মিডিয়া ও পর্যবেক্ষকদের কল্যাণে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তবে শতকরা হিসাবে সেসব ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই বিবেচনা করা যায়। সামগ্রিকভাবে বিবেচনা করলে বলা যায়, আমাদের গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় ৩০ ডিসেম্বর ২০১৫ তারিখের পৌরসভা নির্বাচন এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।
ড . নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ : চেয়ারম্যান, জানিপপ; প্রোভিসি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
No comments