‘ক্রসফায়ার’ ও ‘হেফাজতে’ মারা গেছেন ১৯২ জন
মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা ও আসক
‘রাজনৈতিক সহিংসতা ও মানবাধিকার লংঘনের বছর ২০১৫’
২০১৫ সালে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘ক্রসফায়ার’ ও ‘হেফাজতে’ মারা গেছেন ১৯২ জন। এর মধ্যে শুধু ক্রসফায়ারে মারা যান ১৪৬ জন। এ সময় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সারা দেশে ৫৫ জনকে আটক করার অভিযোগ পাওয়া গেলেও কোনো সংস্থা তা স্বীকার করেনি। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক প্রতিবেদনে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
একই দিন সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা জানায়, ২০১৫ ছিল রাজনৈতিক সহিংসতা ও মানবাধিকার লংঘনের বছর। আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাব, বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা আর আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার প্রবণতার কারণে দেশে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন বলে জানান সংস্থার মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সংস্থার মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম বলেন, গত বছরের ৫ জানুয়ারি সরকারের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও সরকারদলীয় সমর্থক মহা জোট পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। ৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ২০ দলীয় জোট। প্রায় ৩ মাস টানা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে পেট্রলবোমা হামলা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে ১৬৩ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান। এসব ঘটনায় গুরুতর আহত হন ১৭৩৭ জন। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ৩০০০ এর অধিক যানবাহনে। এছাড়া দেশে বেশ কয়েকজন শিশুকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। তবে এত অস্থিরতার মধ্যেও সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপ জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে বলে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। বিশেষ করে শিশু রাজন, রাকিব, সাঈদ ও সুমন হত্যাসহ বেশ কিছু হত্যার দ্রুত বিচার হওয়ায় আইনের প্রতি জনগণের আস্থা কিছুটা হলেও বেড়েছে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে এসব চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যার বিচার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে সম্পন্ন হওয়া এবং বিচারকাজে নিয়োজিত বিচারক, আইনজীবী, সরকারী কৌঁসুলি এবং বিচারের পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বছরের শুরুতেই একুশের বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রের টিএসসি এলাকায় জনাকীর্ন স্থানে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের ৩ মাসের মাথায় সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশ নামে আর এক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। মার্চে খুন করা হয় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে। ৩১ অক্টোবর ’১৫ ঢাকায় উগ্রপন্থী জঙ্গিদের হামলায় খুন হন জাগৃতি প্রকাশনার প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন। একই সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদ রশিদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজন আহত হন। প্রকাশ্যে দু’দু’জন বিদেশী নাগরিক হত্যা, বোমা হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যার ঘটনায় জনমনে নিরাপত্তার শংকা তৈরি হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শুধু আইন বা পুলিশ দিয়ে এ বিপর্যয় রোধ করা যাবে না। শিশু নির্যাতনের বীভৎসতায় তাই আজ অভিভাবকরা আতংকিত। একদিকে যেমন শিশু নির্যাতন, শিশু হত্যা বেড়েছে তেমনি শিশু ধর্ষণের ঘটনাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে দেশে ১৪১ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুপুরে সংস্থার নিজস্ব মিলনায়তনে ২০১৫ সালে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা সোহেল, প্রকল্প পরিচালক জালাল উদ্দিন, কমিউনিকেশন অফিসার ফাতেমা ইয়াসমিনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসকের প্রতিবেদন : এদিকে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে আটজনের লাশ পাওয়া যায়, পাঁচজন ফিরে এসেছেন আর সাতজনকে পরে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে ‘হেফাজতে’ ও ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছেন ১৯২ জন। শুধু ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছেন ১৪৬ জন। এর মধ্যে র?্যাবের ক্রসফায়ারে ৫০ জন, পুলিশের ক্রসফায়ারে ৭০ জন, র?্যাব ও বিজিবির ক্রসফায়ারে একজন, র?্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ারে একজন, বিজিবির ক্রসফায়ারে একজন, আনসারের ক্রসফায়ারে একজন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ক্রসফায়ারে ১৪ জন, যৌথ বাহিনীর ক্রসফায়ারে দু’জন ও সেনাবাহিনীর ক্রসফায়ারে ছয়জনের মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া পুলিশের নির্যাতনে সাতজন, গোয়েন্দা পুলিশের নির্যাতনে একজন, র?্যাবের নির্যাতনে দু’জন ও বিজিবির নির্যাতনে একজন মারা গেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত বছর রাজনৈতিক সংঘাতে ১৫৩ জন নিহত আর ৬ হাজার ৩১৮ জন আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাংবাদিক নির্যাতন : প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৫ সালে সারা দেশে ২৪৪ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
নারী নির্যাতন : প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ৩৫ জন নারী। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১২ নারী। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৯৮ জন। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ১৮৭ জন নারীকে আর যৌতুকের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬০ জনকে। এ ছাড়া এ বছর ৬৩ জন গৃহপরিচারিকা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পর মারা গেছেন ৭ জন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন : প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০৪টি বাসস্থান ও ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ এবং ২১৩টি প্রতিমা, পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৬০ জন আহত হয়েছেন।
সীমান্ত হত্যা : ২০১৫ সালে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয়েছেন ৩২ জন। অন্যদিকে নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
একই দিন সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা জানায়, ২০১৫ ছিল রাজনৈতিক সহিংসতা ও মানবাধিকার লংঘনের বছর। আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাব, বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রতা আর আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার প্রবণতার কারণে দেশে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। এ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন বলে জানান সংস্থার মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে সংস্থার মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহানারা বেগম বলেন, গত বছরের ৫ জানুয়ারি সরকারের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও সরকারদলীয় সমর্থক মহা জোট পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। ৬ জানুয়ারি থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় ২০ দলীয় জোট। প্রায় ৩ মাস টানা অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে পেট্রলবোমা হামলা ও আগুনে দগ্ধ হয়ে ১৬৩ জন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান। এসব ঘটনায় গুরুতর আহত হন ১৭৩৭ জন। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় ৩০০০ এর অধিক যানবাহনে। এছাড়া দেশে বেশ কয়েকজন শিশুকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনা মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। তবে এত অস্থিরতার মধ্যেও সরকারের কিছু কিছু পদক্ষেপ জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে বলে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। বিশেষ করে শিশু রাজন, রাকিব, সাঈদ ও সুমন হত্যাসহ বেশ কিছু হত্যার দ্রুত বিচার হওয়ায় আইনের প্রতি জনগণের আস্থা কিছুটা হলেও বেড়েছে বলে জানানো হয়। একই সঙ্গে এসব চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যার বিচার দ্রুত বিচার টাইব্যুনালে সম্পন্ন হওয়া এবং বিচারকাজে নিয়োজিত বিচারক, আইনজীবী, সরকারী কৌঁসুলি এবং বিচারের পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষ্যে সাংবাদিক ও সাধারণ জনগণকে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বছরের শুরুতেই একুশের বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রের টিএসসি এলাকায় জনাকীর্ন স্থানে ব্লগার অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়। অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের ৩ মাসের মাথায় সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশ নামে আর এক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা। মার্চে খুন করা হয় ব্লগার ওয়াশিকুর রহমানকে। ৩১ অক্টোবর ’১৫ ঢাকায় উগ্রপন্থী জঙ্গিদের হামলায় খুন হন জাগৃতি প্রকাশনার প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন। একই সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর প্রকাশক আহমেদ রশিদ চৌধুরী টুটুলসহ তিনজন আহত হন। প্রকাশ্যে দু’দু’জন বিদেশী নাগরিক হত্যা, বোমা হামলা, নির্বিচারে মানুষ হত্যার ঘটনায় জনমনে নিরাপত্তার শংকা তৈরি হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, শুধু আইন বা পুলিশ দিয়ে এ বিপর্যয় রোধ করা যাবে না। শিশু নির্যাতনের বীভৎসতায় তাই আজ অভিভাবকরা আতংকিত। একদিকে যেমন শিশু নির্যাতন, শিশু হত্যা বেড়েছে তেমনি শিশু ধর্ষণের ঘটনাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৫ সালে দেশে ১৪১ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। দুপুরে সংস্থার নিজস্ব মিলনায়তনে ২০১৫ সালে দেশের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংস্থার চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সিগমা হুদা। তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। এছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোস্তফা সোহেল, প্রকল্প পরিচালক জালাল উদ্দিন, কমিউনিকেশন অফিসার ফাতেমা ইয়াসমিনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আসকের প্রতিবেদন : এদিকে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে পরবর্তী সময়ে আটজনের লাশ পাওয়া যায়, পাঁচজন ফিরে এসেছেন আর সাতজনকে পরে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন বাহিনীর হাতে ‘হেফাজতে’ ও ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছেন ১৯২ জন। শুধু ‘ক্রসফায়ারে’ মারা গেছেন ১৪৬ জন। এর মধ্যে র?্যাবের ক্রসফায়ারে ৫০ জন, পুলিশের ক্রসফায়ারে ৭০ জন, র?্যাব ও বিজিবির ক্রসফায়ারে একজন, র?্যাব ও পুলিশের ক্রসফায়ারে একজন, বিজিবির ক্রসফায়ারে একজন, আনসারের ক্রসফায়ারে একজন, গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ক্রসফায়ারে ১৪ জন, যৌথ বাহিনীর ক্রসফায়ারে দু’জন ও সেনাবাহিনীর ক্রসফায়ারে ছয়জনের মৃত্যু হয় বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া পুলিশের নির্যাতনে সাতজন, গোয়েন্দা পুলিশের নির্যাতনে একজন, র?্যাবের নির্যাতনে দু’জন ও বিজিবির নির্যাতনে একজন মারা গেছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। গত বছর রাজনৈতিক সংঘাতে ১৫৩ জন নিহত আর ৬ হাজার ৩১৮ জন আহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সাংবাদিক নির্যাতন : প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৫ সালে সারা দেশে ২৪৪ জন সাংবাদিক বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
নারী নির্যাতন : প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন ৩৫ জন নারী। এর মধ্যে তিনজন মারা গেছেন। সালিশ ও ফতোয়ার মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১২ নারী। যৌতুককে কেন্দ্র করে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৯৮ জন। যৌতুকের জন্য শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে ১৮৭ জন নারীকে আর যৌতুকের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন নারী। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৬০ জনকে। এ ছাড়া এ বছর ৬৩ জন গৃহপরিচারিকা বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে শারীরিক নির্যাতনের পর মারা গেছেন ৭ জন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন : প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০৪টি বাসস্থান ও ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ এবং ২১৩টি প্রতিমা, পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৬০ জন আহত হয়েছেন।
সীমান্ত হত্যা : ২০১৫ সালে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত হয়েছেন ৩২ জন। অন্যদিকে নির্যাতনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের।
No comments