সংসদ পুতুল নাচের নাট্যশালা : টিআইবি
গত
৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে ‘বিতর্কিত’ ও বর্তমান সংসদকে ‘পুতুল নাচের
নাট্যশালা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ
(টিআইবি)। ধানমণ্ডির মাইডাস সেন্টারে রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, দশম সংসদ নির্বাচন ছিল ‘বিতর্কিত’। একই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ ‘তথাকথিত’ বিরোধী দল দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। এটা উদ্বেগের, হতাশার। বিরোধী দল সরকারি দলের লেজুরবৃত্তি করছে। সরকারি দলের অংশ হিসেবে থাকায় তারা এখনও নিজেদের অবস্থান প্রমাণ করতে পারেনি। তাই সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করেন তিনি।
সংসদকে ‘পুতুল নাচের নাট্যশালা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে সংসদের কার্যক্রমে আমরা হতাশ। সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। সংসদীয় আচরণ থেকে ব্যাপক বিচ্যুতি হয়েছে। একটি দল বা জোট যাদের সংসদে উপস্থিত নেই, তাদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। প্রতিপক্ষের সমালোচনা আগের সংসদের চেয়ে ১২ গুণ বেড়েছে।
সংসদ সদস্যদের যোগত্যার প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সংসদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন কার্যবলীতে এমপিদের অংশগ্রহণ হতাশাজনক। ৩৫০ জন এমপির মধ্যে মাত্র ২৯ জন সদস্য আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আমার মনে হয়, এমপিদের আইন প্রণয়ন কার্যবলী সম্পর্কিত আলোচনায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা নেই, দক্ষতা নেই। একই সাথে এটিও হতে পারে, এমপিদের আইন সম্পর্কিত কার্যবলীতে আলোচনায় অংশ নেয়ার মানসিকতাও নেই।
ড. ইফতেখার বলেন, সংসদীয় কমিটির মূল দায়িত্ব পালনের প্রতি অনীহা ও সংসদ সদস্যদের অবহেলা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। নবম সংসদে বিরোধী দলের উপস্থিতির হার ৪ শতাংশ। এবার বিরোধীদলের উপস্থিতি ৫৩ শতাংশ। সেদিক থেকে সংসদে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে বিরোধীদল কতটুকু বিরোধী তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাতেমা আফরোজ, মোরশেদ আক্তার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুলিয়েট রোজেটি উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণায় বলা হয়, পর্যবেক্ষণাধীন অধিবেশনগুলোতে সংসদীয় আলোচনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো সরকারি দল ও ‘প্রধান বিরোধীদল’ সম্মিলিত সুরে সংসদের বাইরে রাজনৈতিক দলের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সরকারের মন্ত্রিসভার অংশবিশেষ এই কথিত ‘প্রধান বিরোধীদলের’ সরকারের লেজুড়বৃত্তি ছিলো পরিষ্কার। তদুপরি সরকার দলের পক্ষ থেকেও এই লেজুড়বৃত্তিকে বিভিন্নভাবে দশম সংসদের ইতিবাচক অর্জন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত ছিলো।
প্রতিবদনটি ‘পার্লামেন্টওয়াচ’ ধারাবাহিকের ১২তম ও দশম জাতীয় সংসদের ওপর দ্বিতীয় প্রতিবেদন। ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে ২০১৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত সময়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, বিদেশিদের সাথে সম্পাদিত সব চুক্তি সংসদে উপস্থাপন করার কথা সংবিধানে উল্লেখ করা হলেও স্বাক্ষরিত ২৫টি চুক্তি নিয়ে পাঁচটি সংসদ অধিবেশনের কোনোটিতেই আলোচনা হয়নি। ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর থেকে প্রশ্নবিদ্ধ প্রধান বিরোধীদলের প্রত্যাশিত জোরালো ভূমিকার ঘাটতি; সংসদের বাইরের রাজনৈতিক জোট নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক সমালোচনা ও অশালীন ভাষার প্রাধান্য; অসংসদীয় আচরণ ও ভাষার ব্যবহার বন্ধে স্পিকারের শক্তিশালী ভূমিকার অনুপস্থিতি; আইন প্রণয়ন; প্রশ্নোত্তর ও জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের আলোচনায় সদস্যদের কম অংশগ্রহণ; কমিটির সদস্যদের ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতাসহ স্বার্থের দ্বন্দ্ব; সংসদীয় কার্যক্রমে তথ্যের উন্মুক্ততা ও অভিগম্যতার ঘাটতি ইত্যাদি কারণে সংসদ প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর হয়নি।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, দশম সংসদ নির্বাচন ছিল ‘বিতর্কিত’। একই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ ‘তথাকথিত’ বিরোধী দল দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে না। এটা উদ্বেগের, হতাশার। বিরোধী দল সরকারি দলের লেজুরবৃত্তি করছে। সরকারি দলের অংশ হিসেবে থাকায় তারা এখনও নিজেদের অবস্থান প্রমাণ করতে পারেনি। তাই সবার অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রত্যাশা করেন তিনি।
সংসদকে ‘পুতুল নাচের নাট্যশালা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, সার্বিকভাবে সংসদের কার্যক্রমে আমরা হতাশ। সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়। সংসদীয় আচরণ থেকে ব্যাপক বিচ্যুতি হয়েছে। একটি দল বা জোট যাদের সংসদে উপস্থিত নেই, তাদের নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে। প্রতিপক্ষের সমালোচনা আগের সংসদের চেয়ে ১২ গুণ বেড়েছে।
সংসদ সদস্যদের যোগত্যার প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, সংসদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়ন কার্যবলীতে এমপিদের অংশগ্রহণ হতাশাজনক। ৩৫০ জন এমপির মধ্যে মাত্র ২৯ জন সদস্য আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আমার মনে হয়, এমপিদের আইন প্রণয়ন কার্যবলী সম্পর্কিত আলোচনায় অংশ নেয়ার যোগ্যতা নেই, দক্ষতা নেই। একই সাথে এটিও হতে পারে, এমপিদের আইন সম্পর্কিত কার্যবলীতে আলোচনায় অংশ নেয়ার মানসিকতাও নেই।
ড. ইফতেখার বলেন, সংসদীয় কমিটির মূল দায়িত্ব পালনের প্রতি অনীহা ও সংসদ সদস্যদের অবহেলা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। নবম সংসদে বিরোধী দলের উপস্থিতির হার ৪ শতাংশ। এবার বিরোধীদলের উপস্থিতি ৫৩ শতাংশ। সেদিক থেকে সংসদে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ বেড়েছে। তবে বিরোধীদল কতটুকু বিরোধী তা নিয়ে যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে।
টিআইবির উপ-নির্বাহী পরিচালক ড. সুমাইয়া খায়ের, পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল হাসান, রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাতেমা আফরোজ, মোরশেদ আক্তার, প্রোগ্রাম ম্যানেজার জুলিয়েট রোজেটি উপস্থিত ছিলেন।
গবেষণায় বলা হয়, পর্যবেক্ষণাধীন অধিবেশনগুলোতে সংসদীয় আলোচনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো সরকারি দল ও ‘প্রধান বিরোধীদল’ সম্মিলিত সুরে সংসদের বাইরে রাজনৈতিক দলের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন। সরকারের মন্ত্রিসভার অংশবিশেষ এই কথিত ‘প্রধান বিরোধীদলের’ সরকারের লেজুড়বৃত্তি ছিলো পরিষ্কার। তদুপরি সরকার দলের পক্ষ থেকেও এই লেজুড়বৃত্তিকে বিভিন্নভাবে দশম সংসদের ইতিবাচক অর্জন হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা অব্যাহত ছিলো।
প্রতিবদনটি ‘পার্লামেন্টওয়াচ’ ধারাবাহিকের ১২তম ও দশম জাতীয় সংসদের ওপর দ্বিতীয় প্রতিবেদন। ২০১৪ সালের জুন মাস থেকে ২০১৫ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত সময়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, বিদেশিদের সাথে সম্পাদিত সব চুক্তি সংসদে উপস্থাপন করার কথা সংবিধানে উল্লেখ করা হলেও স্বাক্ষরিত ২৫টি চুক্তি নিয়ে পাঁচটি সংসদ অধিবেশনের কোনোটিতেই আলোচনা হয়নি। ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠনের পর থেকে প্রশ্নবিদ্ধ প্রধান বিরোধীদলের প্রত্যাশিত জোরালো ভূমিকার ঘাটতি; সংসদের বাইরের রাজনৈতিক জোট নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক সমালোচনা ও অশালীন ভাষার প্রাধান্য; অসংসদীয় আচরণ ও ভাষার ব্যবহার বন্ধে স্পিকারের শক্তিশালী ভূমিকার অনুপস্থিতি; আইন প্রণয়ন; প্রশ্নোত্তর ও জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের আলোচনায় সদস্যদের কম অংশগ্রহণ; কমিটির সদস্যদের ব্যবসায়িক সংশ্লিষ্টতাসহ স্বার্থের দ্বন্দ্ব; সংসদীয় কার্যক্রমে তথ্যের উন্মুক্ততা ও অভিগম্যতার ঘাটতি ইত্যাদি কারণে সংসদ প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর হয়নি।
No comments