হাত-পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হলে by ডা. এম ইয়াছিন আলী
আয়েশা
খাতুন গৃহিণী, বয়স ২৮। কিছুদিন থেকে লক্ষ করছেন তার পুরো শরীরে ব্যথা।
বিশেষ করে হাত-পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোতে বেশি ব্যথা করে ও ফুলে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় এত বেশি ব্যথা হয় যে, বিছানা থেকে উঠতে পারেন না।
কিছুক্ষণ হাঁটাচলা কিংবা কাজকর্ম করলে ব্যথা কমে আসে, পাশাপাশি শরীরে হালকা
জ্বর থাকে। আয়েশা খাতুন সমস্যাটিকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন
হলেন। ডাক্তার রোগের বর্ণনা শুনে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বললেন আপনার
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হয়েছে।
এটি পরিচিত একটি বাত রোগ। এটি অটোইম্যুন ডিজিজ যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্র্যন্ত জানা যায়নি। পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হতে পারে। পুরুষের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়। সাধারণত ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এ সমস্যা সাধারণত সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না।
লক্ষণ
প্রথমে হাত-পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোতে ব্যথা করে। পরে শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে সমস্যা দেখা দেয়।
জয়েন্টগুলো ফুলে যায় ।
সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় ব্যথা বেশি হয়। পরে হাঁটাচলা ও কাজকর্মে ব্যথা কমে আসে।
ব্যথার পাশাপাশি শরীরে জ্বর জ্বর অনুভূত হয়। রিউম্যাটিক নডিউল দেখা যায়।
রোগ নির্ণয়
ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন বা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। যেমনÑ সিবিসি উইথ ইএস আর, সিআরপি, আর এ টেস্ট, সেরাম ইউরিক এসিড, এএনএ এন্টিবডি, এন্টি সিসিপি ইত্যাদি এবং আক্রান্ত জয়েন্টগুলো এক্সরে করারও প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসা ও করণীয়
এটি যেহেতু সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য রোগ নয়, তাই এর জন্য চিকিৎসকের নির্দেশনায় কিছু ওষুধ রোগীকে নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি এ রোগের জটিলতা যেমন জয়েন্টগুলো শক্তে হয়ে যায় ও বাঁকা হয়ে যায় ইত্যাদি প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে এবং চিকিৎসকের নির্দেশিত ব্যায়াম করতে হবে।
লেখক : বাত, ব্যথা, পারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালটেন্ট
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা
এটি পরিচিত একটি বাত রোগ। এটি অটোইম্যুন ডিজিজ যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্র্যন্ত জানা যায়নি। পুরুষ ও মহিলা উভয়েরই হতে পারে। পুরুষের তুলনায় মেয়েদের বেশি হয়। সাধারণত ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এ সমস্যা সাধারণত সম্পূর্ণ নিরাময় হয় না।
লক্ষণ
প্রথমে হাত-পায়ের ছোট ছোট জয়েন্টগুলোতে ব্যথা করে। পরে শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে সমস্যা দেখা দেয়।
জয়েন্টগুলো ফুলে যায় ।
সকালে ঘুম থেকে উঠার সময় ব্যথা বেশি হয়। পরে হাঁটাচলা ও কাজকর্মে ব্যথা কমে আসে।
ব্যথার পাশাপাশি শরীরে জ্বর জ্বর অনুভূত হয়। রিউম্যাটিক নডিউল দেখা যায়।
রোগ নির্ণয়
ক্লিনিক্যাল এক্সামিনেশন বা পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি রোগ নির্ণয়ে কিছু প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে। যেমনÑ সিবিসি উইথ ইএস আর, সিআরপি, আর এ টেস্ট, সেরাম ইউরিক এসিড, এএনএ এন্টিবডি, এন্টি সিসিপি ইত্যাদি এবং আক্রান্ত জয়েন্টগুলো এক্সরে করারও প্রয়োজন পড়ে।
চিকিৎসা ও করণীয়
এটি যেহেতু সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য রোগ নয়, তাই এর জন্য চিকিৎসকের নির্দেশনায় কিছু ওষুধ রোগীকে নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি এ রোগের জটিলতা যেমন জয়েন্টগুলো শক্তে হয়ে যায় ও বাঁকা হয়ে যায় ইত্যাদি প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে এবং চিকিৎসকের নির্দেশিত ব্যায়াম করতে হবে।
লেখক : বাত, ব্যথা, পারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালটেন্ট
ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ধানমণ্ডি, ঢাকা
No comments