প্রাথমিকেই ঝরে পড়ছে ২১ ভাগ শিশু
জাতিসংঘের ঘোষিত সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) টার্গেটের চেয়ে শিক্ষায় বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে। সরকারের তরফে এমনটি বলা হলেও বাস্তবতা বলছে উল্টো। এমডিজির লক্ষ্যমাত্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী স্কুলে পৌঁছানো কথা থাকলেও বাংলাদেশের এখনও ২৪ শতাংশ শিশু প্রাথমিক শিক্ষার গ-ি শেষ করতে পারছে না। এর মধ্যে ২ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু প্রাথমিক স্কুলের ভর্তিই হয় না। আর ভর্তি হয়ে ৫ বছরে প্রাথমিকের গ-ি পার হতে পারে না আরও ২১ দশমিক ৪ শতাংশ শিশু। সবমিলিয়ে ২৪ শতাংশ শিশু প্রাথমিক শিক্ষা পুরোপুরি পার করতে পারে। গতকাল ইউনেস্কো প্রণীত সবার জন্য শিক্ষা (ইএফএ) জাতীয় পর্যালোচনা শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের অন্য দেশের ইএফএ চিত্রও (বৈশ্বিক) প্রতিবেদনটিতে স্থান পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তিতে সন্তোষজনক অগ্রগতি হলেও এখনও পাঁচ বছর মেয়াদি প্রাথমিক শিক্ষা করার আগেই ২১ শতাংশের বেশি শিশু ঝরে যাচ্ছে। আর স্কুলের ভর্তি হয় না ২ দশমিক ৭ শতাংশ শিশু। আগামী বছর থেকে জাতিসংঘের ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডায় (এসডিজি) প্রবেশ করবে বাংলাদেশ। সেখানে শিক্ষার মান নিশ্চিত করার দিকে বেশি নজর দিতে হবে বাংলাদেশকে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কিছু সুপারিশ পেশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ভর্তির হার ছিল ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু একই সময় প্রাথমিকে ঝড়ে পড়ার হার ছিল ২১ শতাংশের বেশি। প্রতিবেদন এসব শিশুদের ঝড়ে যাওয়ার জন্য ৭টি কারণ চিহ্নিত করে কিছু সুপারিশ পেশ করা হয়। সেখানে রয়েছে, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কমানো, পরবর্তী ক্লাসে যারা ঝড়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে তাদের নির্দেশনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রদানের বিশেষ ব্যবস্থা, জরুরি ভিত্তিতে ৫০% শিক্ষক বৃদ্ধি করে ডাবল শিফট অনুপাতে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ৮০% এ কমিয়ে আনা।
প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফাইজুল কবির বলেন, ২০০৫ থেকে ২০১৩ সালে প্রাথমিকে ভর্তির হার ১০ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালের হিসেবে মোট ভর্তির হার ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৫ সালে এ হার ছিল ৮৭ দশমিক ২ শতাংশ। ঝরে পড়ার হার আগের চেয়ে কমলেও এখনো ২১ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। এ প্রতিবেদনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সমতা অর্জনের চিত্রও তুলে ধরা হয়। লৈঙ্গিক সমতাকে বাংলাদেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেসকো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। একই অনুষ্ঠানে সবার জন্য শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল মনিটরিং প্রতিবেদনের তথ্যও তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ে পড়ার পেছনে বিশ্বব্যাপী ৯টি কারণ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে মূলত ৭টি কারণে ঝড়ে যাওয়ার কারণ চিহ্নিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শিখন-শিখানো পদ্ধতির মৌলিক দুর্বলতা, দারিদ্র, শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিকূলতা, এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনার অভাব, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার এবং শহরে বস্তির সমস্যা।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য সবার জন্য শিক্ষার (ইএফএ) ৬টি লক্ষ্য অর্জনে ১৮টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অপরদিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে রয়েছে ২৪টি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউনেস্কো ২৩টি সুপারিশ করেছে। আগামী এসডিজি লক্ষমাত্রা অজর্ন করতে হলে এসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। তা স্বত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। তবে গুণগত মান এখনও চ্যালেঞ্জ। এই মান বাড়াতে কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাউল আলম ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেসকোর সচিব মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৩ সালে ভর্তির হার ছিল ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু একই সময় প্রাথমিকে ঝড়ে পড়ার হার ছিল ২১ শতাংশের বেশি। প্রতিবেদন এসব শিশুদের ঝড়ে যাওয়ার জন্য ৭টি কারণ চিহ্নিত করে কিছু সুপারিশ পেশ করা হয়। সেখানে রয়েছে, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত কমানো, পরবর্তী ক্লাসে যারা ঝড়ে পড়ার ঝুঁকিতে থাকে তাদের নির্দেশনা এবং প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা প্রদানের বিশেষ ব্যবস্থা, জরুরি ভিত্তিতে ৫০% শিক্ষক বৃদ্ধি করে ডাবল শিফট অনুপাতে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ৮০% এ কমিয়ে আনা।
প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ফাইজুল কবির বলেন, ২০০৫ থেকে ২০১৩ সালে প্রাথমিকে ভর্তির হার ১০ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩ সালের হিসেবে মোট ভর্তির হার ৯৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০০৫ সালে এ হার ছিল ৮৭ দশমিক ২ শতাংশ। ঝরে পড়ার হার আগের চেয়ে কমলেও এখনো ২১ দশমিক ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। এ প্রতিবেদনে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তির ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সমতা অর্জনের চিত্রও তুলে ধরা হয়। লৈঙ্গিক সমতাকে বাংলাদেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেসকো এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। একই অনুষ্ঠানে সবার জন্য শিক্ষা বিষয়ক গ্লোবাল মনিটরিং প্রতিবেদনের তথ্যও তুলে ধরা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ে পড়ার পেছনে বিশ্বব্যাপী ৯টি কারণ রয়েছে। তবে বাংলাদেশে মূলত ৭টি কারণে ঝড়ে যাওয়ার কারণ চিহ্নিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- শিখন-শিখানো পদ্ধতির মৌলিক দুর্বলতা, দারিদ্র, শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার প্রতিকূলতা, এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনার অভাব, শিক্ষায় প্রবেশাধিকার এবং শহরে বস্তির সমস্যা।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জন্য সবার জন্য শিক্ষার (ইএফএ) ৬টি লক্ষ্য অর্জনে ১৮টি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। অপরদিকে বৈশ্বিক পর্যায়ে রয়েছে ২৪টি চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউনেস্কো ২৩টি সুপারিশ করেছে। আগামী এসডিজি লক্ষমাত্রা অজর্ন করতে হলে এসব চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। তা স্বত্বেও শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলাদেশে যুগান্তকারী পরিবর্তন হয়েছে। তবে গুণগত মান এখনও চ্যালেঞ্জ। এই মান বাড়াতে কাজ চলছে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাউল আলম ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেসকোর সচিব মঞ্জুর হোসেন প্রমুখ।
No comments