ভুয়া কাগজে ছাত্রলীগ নেতাকে কাজ দেয়ায় প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত
বরিশাল জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলীকে লাঞ্ছিত করেছে সাধারণ ঠিকাদাররা। এক ছাত্রলীগ নেতাকে জেলা পরিষদের চারটি গ্রুপের সাড়ে ১২ লাখ টাকার কাজ পাইয়ে দেয়ায় সোমবার দুপুর একটায় তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। একই সঙ্গে লোকমান আলী নামে ওই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার এবং পুনরায় দরপত্র আহবানের দাবিতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে ঠিকাদাররা।
ঠিকাদারদের ভাষ্য মতে, গত ১৫ই মে বরিশাল জেলা পরিষদের চার গ্রুপের কাজের লটারী করা হয়। সাড়ে ১২ লাখ টাকার ওই চার গ্রুপের কাজের মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক সংস্কার। শতাধিক ঠিকাদার ওই লটারীতে অংশ নিলেও চার গ্রুপের কাজ দেয়া হয় মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানকে। কিন্তু মেহেদী হাসান মমতাজ এন্টারপ্রাইজ নামে যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কাজটি পায় ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এবং আয়কর রিটার্ন এর কাগজপত্র সঠিক না থাকায় জেলা প্রশাসন কালো তালিকাভুক্ত করে। এরপরও ওই লাইসেন্সেই মেহেদী জেলা পরিষদের সারে ১২ লাখ টাকার চার গ্রুপের কাজটি পায়। আর তাকে এ কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী লোকমান আলী। এ কারনে দুপুর একটায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ ঠিকাদাররা। এরপর লোকমান আলীর কক্ষে গিয়ে তার কাছে মেহেদী হাসানকে অবৈধভাবে কাজ পাইয়ে দেবার কারণ জানতে চান। তিনি উত্তেজিত হলে ঠিকাদাররা তাকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এরপর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তালুকদার এন্টারপ্রাইজের সত্বাধীকারী ঠিকাদার মুনীর হোসেন তালুদার বলেন, মমতাজ এন্টারপ্রাইজ জেলা প্রশাসনের কালো তালিকাভুক্ত। এরপর প্রকৌশলী লোকমান আলীর কারনে প্রতিষ্ঠানটি কাজ পেয়েছে। তাই তাকে ঠিকাদাররা লাঞ্ছিত করেছে।
তবে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী লোকমান আলী বলেন, মমতাজ এন্টার প্রাইজের কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্ক অর্ডার দেইনি। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশেই ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। এমন বিষয় বলা সত্বেও তারা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।
বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, লটারীর মাধ্যমে মমতাজ এন্টার প্রাইজ নামের ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। তবে তাদের কাগজপত্র সঠিক না হলে তা যাচাই করা হবে বলে তিনি জানান।
ঠিকাদারদের ভাষ্য মতে, গত ১৫ই মে বরিশাল জেলা পরিষদের চার গ্রুপের কাজের লটারী করা হয়। সাড়ে ১২ লাখ টাকার ওই চার গ্রুপের কাজের মধ্যে রয়েছে সদর উপজেলার বিভিন্ন সড়ক সংস্কার। শতাধিক ঠিকাদার ওই লটারীতে অংশ নিলেও চার গ্রুপের কাজ দেয়া হয় মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসানকে। কিন্তু মেহেদী হাসান মমতাজ এন্টারপ্রাইজ নামে যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে কাজটি পায় ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স এবং আয়কর রিটার্ন এর কাগজপত্র সঠিক না থাকায় জেলা প্রশাসন কালো তালিকাভুক্ত করে। এরপরও ওই লাইসেন্সেই মেহেদী জেলা পরিষদের সারে ১২ লাখ টাকার চার গ্রুপের কাজটি পায়। আর তাকে এ কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী লোকমান আলী। এ কারনে দুপুর একটায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ ঠিকাদাররা। এরপর লোকমান আলীর কক্ষে গিয়ে তার কাছে মেহেদী হাসানকে অবৈধভাবে কাজ পাইয়ে দেবার কারণ জানতে চান। তিনি উত্তেজিত হলে ঠিকাদাররা তাকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এরপর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তালুকদার এন্টারপ্রাইজের সত্বাধীকারী ঠিকাদার মুনীর হোসেন তালুদার বলেন, মমতাজ এন্টারপ্রাইজ জেলা প্রশাসনের কালো তালিকাভুক্ত। এরপর প্রকৌশলী লোকমান আলীর কারনে প্রতিষ্ঠানটি কাজ পেয়েছে। তাই তাকে ঠিকাদাররা লাঞ্ছিত করেছে।
তবে জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী লোকমান আলী বলেন, মমতাজ এন্টার প্রাইজের কাগজপত্র যাচাই করা হচ্ছে। আমরা এখন পর্যন্ত ওই প্রতিষ্ঠানকে ওয়ার্ক অর্ডার দেইনি। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশেই ওই প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। এমন বিষয় বলা সত্বেও তারা আমাকে লাঞ্ছিত করেছে।
বরিশাল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, লটারীর মাধ্যমে মমতাজ এন্টার প্রাইজ নামের ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেয়া হয়েছে। তবে তাদের কাগজপত্র সঠিক না হলে তা যাচাই করা হবে বলে তিনি জানান।
No comments