সরকারের উদাসীনতায় নারী নির্যাতন বাড়ছে
রাজধানীতে
আদিবাসী তরুণীকে ধর্ষণের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেছেন,
দুর্বৃত্তদের বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না বলেই নারী লাঞ্ছনার ঘটনা বেড়ে
চলেছে। বিচারহীনতা ধর্ষণকারীদের উৎসাহিত করছে। সরকারের উদাসীনতার কারণেই
এমনটা ঘটছে।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গতকাল রোববার বিকেলে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন আদিবাসী ও সামাজিক সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। ৩০টি আদিবাসী ও সামাজিক সংগঠন এ সমাবেশের আয়োজক ছিল। তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন সংগঠন। শাহবাগে সমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁদের হাতে ‘নারীকে মানুষ হিসেবে দেখুন, সম্মান করুন’, ‘রাজপথে নারী ধর্ষিত কেন’, ‘নারীর ওপর নিপীড়ন রুখে দাঁড়াও’, ‘নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’ ইত্যাদি নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। সাদা কাগজের ওপর লাল কালিতে লেখা এসব স্লোগানে স্লোগানে তাঁরা প্রতিবাদ জানান।
বর্তমানে দেশের নারীরা কর্মক্ষেত্র-শিক্ষাক্ষেত্র কোথাও নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেন আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি নারীর নিরাপত্তা বিধান করতে না পারে, তবে সেটার জবাবদিহি করতে হবে। সরকার নিজেকে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলে প্রমাণ করতে চাইলে অনতিবিলম্বে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেই। যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে থাকে তবে এ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ দেখতে চাই।’
ক্ষণে ক্ষণে সমাবেশ থেকে স্লোগান উঠছিল ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে সবখানে’। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ সবাই সোচ্চার—সমাবেশে নারী-পুরুষের প্রায় সমান উপস্থিতি যেন সে কথাই জানান দিচ্ছিল।
বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণের ঘটনা নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের মাস্তান বাহিনী যা ইচ্ছা তা করার লাইসেন্স পেয়েছে বলেই ব্যাপক হারে নারী নির্যাতন হচ্ছে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বর্ষবরণে নারী নিপীড়নের ঘটনাকে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কয়েকটি ছেলের দুষ্টুমি বলাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘দুষ্টুমির উৎসব চলছে সারা দেশে। দুষ্টুমির লাইসেন্স পেয়ে মাস্তানেরা দুষ্টুমিতে মেতে উঠেছে।’
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। রাষ্ট্র নারীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার নারী মামলা করতে তিনটি থানায় গেলেও তারা মামলা নেয়নি। ওই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। বক্তারা ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার তরুণীটি আতঙ্কগ্রস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সমাবেশে রাখী দাস পুরকায়স্থ, হাজেরা সুলতানা, রুহিন হোসেন প্রিন্স, নির্মল রোজারিও, খুশী কবির, কাজল দেবনাথ, আবদুল্লাহ আল কাফি, থিওফিল নকরেক প্রমুখ বক্তব্য দেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে ৩০ মে সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গতকালের সমাবেশে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসীবিষয়ক সংসদীয় ককাস, আইন ও সালিস কেন্দ্র, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, এএলআরডি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারীপক্ষ, কারিতাস, নিজেরা করি, কাপেং ফাউন্ডেশন, উদীচী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এবং আরও অনন্ত ২০টি আদিবাসী ও সামাজিক সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সংহতি জানান।
বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা ও উদ্বেগ: নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও হামলার ঘটনা বৃদ্ধি এবং এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিস্পৃহ ও নিষ্ক্রিয়তায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (জামুকা)। এ ছাড়া আদিবাসী তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নিন্দা জানিয়েছে।
শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গতকাল রোববার বিকেলে আয়োজিত এ প্রতিবাদ সমাবেশে বিভিন্ন আদিবাসী ও সামাজিক সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেন। ৩০টি আদিবাসী ও সামাজিক সংগঠন এ সমাবেশের আয়োজক ছিল। তীব্র নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনসহ বিভিন্ন সংগঠন। শাহবাগে সমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময়ের আগেই অংশগ্রহণকারীরা ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁদের হাতে ‘নারীকে মানুষ হিসেবে দেখুন, সম্মান করুন’, ‘রাজপথে নারী ধর্ষিত কেন’, ‘নারীর ওপর নিপীড়ন রুখে দাঁড়াও’, ‘নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’ ইত্যাদি নানা স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। সাদা কাগজের ওপর লাল কালিতে লেখা এসব স্লোগানে স্লোগানে তাঁরা প্রতিবাদ জানান।
বর্তমানে দেশের নারীরা কর্মক্ষেত্র-শিক্ষাক্ষেত্র কোথাও নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেন আইন ও সালিস কেন্দ্রের (আসক) নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি নারীর নিরাপত্তা বিধান করতে না পারে, তবে সেটার জবাবদিহি করতে হবে। সরকার নিজেকে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী বলে প্রমাণ করতে চাইলে অনতিবিলম্বে ধর্ষণে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমার মনে হয় দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নেই। যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে থাকে তবে এ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ দেখতে চাই।’
ক্ষণে ক্ষণে সমাবেশ থেকে স্লোগান উঠছিল ‘আমার বোন ধর্ষিত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে লড়াই হবে সবখানে’। নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ সবাই সোচ্চার—সমাবেশে নারী-পুরুষের প্রায় সমান উপস্থিতি যেন সে কথাই জানান দিচ্ছিল।
বিচারহীনতার কারণে ধর্ষণের ঘটনা নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ-সংগ্রাম গড়ে তুলতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সরকারের মাস্তান বাহিনী যা ইচ্ছা তা করার লাইসেন্স পেয়েছে বলেই ব্যাপক হারে নারী নির্যাতন হচ্ছে বলে মনে করেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। বর্ষবরণে নারী নিপীড়নের ঘটনাকে পুলিশের মহাপরিদর্শকের কয়েকটি ছেলের দুষ্টুমি বলাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘দুষ্টুমির উৎসব চলছে সারা দেশে। দুষ্টুমির লাইসেন্স পেয়ে মাস্তানেরা দুষ্টুমিতে মেতে উঠেছে।’
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, দেশে নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েই চলেছে। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হচ্ছে না। রাষ্ট্র নারীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার নারী মামলা করতে তিনটি থানায় গেলেও তারা মামলা নেয়নি। ওই থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। বক্তারা ধর্ষণকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার তরুণীটি আতঙ্কগ্রস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সমাবেশে রাখী দাস পুরকায়স্থ, হাজেরা সুলতানা, রুহিন হোসেন প্রিন্স, নির্মল রোজারিও, খুশী কবির, কাজল দেবনাথ, আবদুল্লাহ আল কাফি, থিওফিল নকরেক প্রমুখ বক্তব্য দেন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে ৩০ মে সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ধর্ষণবিরোধী প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
গতকালের সমাবেশে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, আদিবাসীবিষয়ক সংসদীয় ককাস, আইন ও সালিস কেন্দ্র, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, এএলআরডি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারীপক্ষ, কারিতাস, নিজেরা করি, কাপেং ফাউন্ডেশন, উদীচী, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, বাংলাদেশ গারো ছাত্র সংগঠন, গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন এবং আরও অনন্ত ২০টি আদিবাসী ও সামাজিক সংগঠন এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সংহতি জানান।
বিভিন্ন সংগঠনের নিন্দা ও উদ্বেগ: নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও হামলার ঘটনা বৃদ্ধি এবং এ ধরনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিস্পৃহ ও নিষ্ক্রিয়তায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (জামুকা)। এ ছাড়া আদিবাসী তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, শ্রমজীবী নারী মৈত্রী, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নিন্দা জানিয়েছে।
No comments