অবশেষে জামিন পেলেন সাংবাদিক মিজান
গ্রেপ্তার হওয়ার দুই মাস পর অবশেষে জামিন পেলেন প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি মিজানুর রহমান। গতকাল
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের
সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ দুটি মামলাতেই তাঁকে জামিন দেন।
মিজানের পক্ষে শুনানিকালে প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক আদালতকে বলেন, হয়রানিমূলক এই মামলায় সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘটেছে। কারণ, সংবিধান সাংবাদিকদের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
আদালতে ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে সহায়তা করেন বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক ও মনজুর কাদের।
গত ১৭ মার্চ বাউফলে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় মিজানের। এ ঘটনার মীমাংসা হয়ে গেলেও রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সরকারি কাজে বাধাদান ও হামলার অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে রাতভর তাঁকে নির্যাতন করা হয়। তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়েই পরে পাঠানো হয় কারাগারে। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার দায়ের করা পুরোনো একটি চাঁদাবাজির মামলায়ও মিজানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২২ মার্চ মিজানকে পটুয়াখালীর দ্বিতীয় বিচারিক হাকিম এ এস এম তারিক শামসের আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়। কিন্তু ওই আদালতে জামিনের কোনো শুনানি হয়নি। ১৫ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ছিল। কিন্তু সেদিনও পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিমল চন্দ্র সিকদার মিজানের জামিন দেননি।
২৩ মার্চ মিজানুরের বাবা আবদুস সালাম হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এই আবেদনে মিজানুরকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। ২৪ মার্চ মিজানুরকে পুলিশি হেফাজতে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, আদালত তাও জানতে চান।
মিজানের বাবা আবদুস সালামের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের অনিয়ম তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মিজানকে নির্যাতন করে মামলা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও তাঁকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হয়।
মিজানের পক্ষে শুনানিকালে প্রবীণ আইনজীবী রফিক-উল হক আদালতকে বলেন, হয়রানিমূলক এই মামলায় সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন ঘটেছে। কারণ, সংবিধান সাংবাদিকদের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
আদালতে ব্যারিস্টার রফিক-উল হককে সহায়তা করেন বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক ও মনজুর কাদের।
গত ১৭ মার্চ বাউফলে এক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় মিজানের। এ ঘটনার মীমাংসা হয়ে গেলেও রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সরকারি কাজে বাধাদান ও হামলার অভিযোগ এনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে রাতভর তাঁকে নির্যাতন করা হয়। তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা না দিয়েই পরে পাঠানো হয় কারাগারে। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার দায়ের করা পুরোনো একটি চাঁদাবাজির মামলায়ও মিজানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২২ মার্চ মিজানকে পটুয়াখালীর দ্বিতীয় বিচারিক হাকিম এ এস এম তারিক শামসের আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু শুনানি শেষে আদালত তাঁর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়। কিন্তু ওই আদালতে জামিনের কোনো শুনানি হয়নি। ১৫ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির তারিখ ছিল। কিন্তু সেদিনও পটুয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিমল চন্দ্র সিকদার মিজানের জামিন দেননি।
২৩ মার্চ মিজানুরের বাবা আবদুস সালাম হাইকোর্টে একটি রিট করেন। এই আবেদনে মিজানুরকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণের জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। ২৪ মার্চ মিজানুরকে পুলিশি হেফাজতে অমানবিক শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। নির্যাতনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কেন যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, আদালত তাও জানতে চান।
মিজানের বাবা আবদুস সালামের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের অনিয়ম তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় মিজানকে নির্যাতন করে মামলা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও তাঁকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির চেষ্টা করা হয়।
No comments