সালাহ উদ্দিনের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন আদালত
ভারতে
অনুপ্রবেশের অভিযোগে শিলংয়ে আটক বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদের ভাগ্য
নির্ধারণ করবেন আদালত। শিলংয়ে আদালতের রায়ের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
নেওয়া হবে।
নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব শম্ভু সিং গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
এদিকে, শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালের পরিচালক এ জে এহেনগার প্রথম আলোকে জানান, সালাহ উদ্দিন আহমদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও জটিল রোগের কারণে তাঁকে চিকিৎসকদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে আদালতে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ জে এহেনগার বলেন, চিকিৎসকের উপস্থিতিতে তাঁকে জেরা করার অনুমতি দিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় এখনো তাঁকে জেরা করার পক্ষে চিকিৎসকেরা মত দেননি।
সালাহ উদ্দিনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে শম্ভু সিং বলেন, ‘আদালত ওঁর বিরুদ্ধে পাসপোর্ট (এনট্রি ইনটু ইন্ডিয়া) আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিতে পারেন। এটা হলো অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ-সংক্রান্ত মামলা। অথবা আদালত ওঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সালাহ উদ্দিনের বিচার বাংলাদেশের আদালতে হবে।’
সালাহ উদ্দিনের ভাগ্যে কী আছে, তা অনুমান করা সম্ভব নয় জানিয়ে শম্ভু সিং বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যেই মনে হচ্ছে আদালতের মত জানা যাবে। আদালতই চূড়ান্ত। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা।’
প্রসঙ্গত, বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শিলংয়ের পুলিশ সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’-এ মামলা দায়ের করেছে।
শম্ভু সিং বলেন, ‘উনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত অভিযোগ এনেছে। তবে তাঁরও নিশ্চয় কিছু বলার আছে। আদালতই সেই কথা শোনার একমাত্র স্থান। কিন্তু উনি কিছুতেই হাসপাতাল ছেড়ে যেতেই চাইছেন না। বারবার অসুস্থতার কথা বলছেন। সে জন্যই সোমবার একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ড আজ মঙ্গলবার খতিয়ে দেখবে তিনি কতটা অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতাল থেকে আদালতে নেওয়া যাবে কি না। কিংবা গেলেও কবে। মেডিকেল বোর্ড ছাড়পত্রের অনুকূল প্রতিবেদন দিলে মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো যেতে পারে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকার লোকজন গত ১১ মে ভোরে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নেওয়া হয় সেখানকার সিভিল হাসপাতালে। এরপর শিলং সদর পুলিশ থানা হয়ে নেওয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। এক দিন পর মিমহানস থেকে আবার তাঁকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। আট দিন পর সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে স্থানান্তরিত করা হয় নেগ্রিমসে।
নয়াদিল্লিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব শম্ভু সিং গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য জানান।
এদিকে, শিলংয়ের নেগ্রিমস হাসপাতালের পরিচালক এ জে এহেনগার প্রথম আলোকে জানান, সালাহ উদ্দিন আহমদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও জটিল রোগের কারণে তাঁকে চিকিৎসকদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে আদালতে পাঠানোর ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ জে এহেনগার বলেন, চিকিৎসকের উপস্থিতিতে তাঁকে জেরা করার অনুমতি দিতে পুলিশ সুপারের কার্যালয় অনুরোধ জানিয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় এখনো তাঁকে জেরা করার পক্ষে চিকিৎসকেরা মত দেননি।
সালাহ উদ্দিনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানতে চাইলে শম্ভু সিং বলেন, ‘আদালত ওঁর বিরুদ্ধে পাসপোর্ট (এনট্রি ইনটু ইন্ডিয়া) আইন অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিতে পারেন। এটা হলো অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ-সংক্রান্ত মামলা। অথবা আদালত ওঁকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে সালাহ উদ্দিনের বিচার বাংলাদেশের আদালতে হবে।’
সালাহ উদ্দিনের ভাগ্যে কী আছে, তা অনুমান করা সম্ভব নয় জানিয়ে শম্ভু সিং বলেন, ‘দুই-এক দিনের মধ্যেই মনে হচ্ছে আদালতের মত জানা যাবে। আদালতই চূড়ান্ত। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা।’
প্রসঙ্গত, বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে শিলংয়ের পুলিশ সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’-এ মামলা দায়ের করেছে।
শম্ভু সিং বলেন, ‘উনি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এক রাজনৈতিক নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত অভিযোগ এনেছে। তবে তাঁরও নিশ্চয় কিছু বলার আছে। আদালতই সেই কথা শোনার একমাত্র স্থান। কিন্তু উনি কিছুতেই হাসপাতাল ছেড়ে যেতেই চাইছেন না। বারবার অসুস্থতার কথা বলছেন। সে জন্যই সোমবার একটা মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সেই বোর্ড আজ মঙ্গলবার খতিয়ে দেখবে তিনি কতটা অসুস্থ। তাঁকে হাসপাতাল থেকে আদালতে নেওয়া যাবে কি না। কিংবা গেলেও কবে। মেডিকেল বোর্ড ছাড়পত্রের অনুকূল প্রতিবেদন দিলে মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে হাজির করানো যেতে পারে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকার লোকজন গত ১১ মে ভোরে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নেওয়া হয় সেখানকার সিভিল হাসপাতালে। এরপর শিলং সদর পুলিশ থানা হয়ে নেওয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। এক দিন পর মিমহানস থেকে আবার তাঁকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। আট দিন পর সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে স্থানান্তরিত করা হয় নেগ্রিমসে।
No comments