রাজধানীতে ‘আইএস’ সন্দেহে গ্রেপ্তার ২
রাজধানীর
পৃথকস্থান থেকে আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া)-এর জঙ্গি
সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- মো. আমিনুল ইসলাম বেগ (৪০) ও সাকিব বিন কামাল (৩৫)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১টি ল্যাপটপ, তিনটি মোবাইল ফোন ও ৭টি জিহাদি বই উদ্ধার
করা হয়। পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তারকৃতরা জেএমবির সাবেক সদস্য হলেও আইএসআইএস-এর
সঙ্গে গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের সংগঠন তৈরি, সদস্য সংগ্রহ ও
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। গতকাল সকালে রাজধানীর
মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো
হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহনগর ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিনভর অভিযান চালিয়ে উত্তরার পশ্চিম থানাধীন ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের একটি বাড়ি থেকে আমিনুল ইসলাম বেগকে এবং মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার একটি বাড়ি থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমান দেশের গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাতের মাধ্যমে আইএসআইএসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বাগদাদীর নির্দেশিত কথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য তারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছিল। ইন্টারনেটসহ বিভিন্নভাবে প্রচারের মাধ্যমে গোপনে অর্থ, কর্মী সংগ্রহ করার কাজ করছিল। এছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক বক্তিদের হত্যার তাদের টার্গেট ছিল তাদের। তিনি আরও জানান, আইএসআইএস-এর নিকট থেকে মারাত্মক অস্ত্র সংগ্রহ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে তারা ডিবি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। আমিনুল নিজেকে একজন প্রকৌশলী ও সাকিব একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছেন। তাদের সংগঠনের অনেক সদস্য বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৎপর রয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে তাদের প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে তাদের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে যে ১০ বিশিষ্ট নাগরিককে চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে ওই ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগসূত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মনিরুল ইসলাম জানান, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের দুটি লক্ষ্য। একটি হলো কথিত জিহাদের মাধ্যমে আইএসআইএস-এর প্রতিষ্ঠাতা বাদদাদীর খিলাফতকে তারা বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আরেকটি হচ্ছে যারা কথিত খিলাফতের বিরোধী তাদের সমূলে উৎপাটন করা। তাদের এই সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধী শুধু বিশিষ্ট নাগরিকেরা নয়। গণতন্ত্রকামী সকলেই তাদের বিরোধী। দেশের যে ১০ জন ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে ওই হুমকিতে গ্রেপ্তারকৃতরা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তচিন্তার ব্লগার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতরা জড়িত কিনা অপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১৩ নামে অপর জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে তারা নিজেরাই ইন্টারনেটে বার্তা দিয়েছে। ব্লগারকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দায়ী শুধু আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।
গ্রেপ্তারকৃতরা আগে জেএমবির সদস্য ছিল, তারা ওই দল ছেড়ে আইএসআইএস-এ যোগ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবির নেটওয়ার্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তারা জেএমবির সদস্য হলেও বাংলাদেশে আইএসআইএস-এর বাংলাদেশে শাখা খুলে তাদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। জঙ্গিদের মধ্যে কথিত জেহাদের নতুন প্রেরণা দেয়ার চেষ্টা করছিল। সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিবি ডিসি (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম, ডিএমপির ডিসি (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গির আলম সরকার, ডিবির এডিসি (উত্তর) মো. শাহাজাহান ও এসি মাহফুজুল আলম রাসেল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহনগর ডিবি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিনভর অভিযান চালিয়ে উত্তরার পশ্চিম থানাধীন ১৪ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বর রোডের একটি বাড়ি থেকে আমিনুল ইসলাম বেগকে এবং মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ার একটি বাড়ি থেকে সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমান দেশের গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাতের মাধ্যমে আইএসআইএসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বাগদাদীর নির্দেশিত কথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য তারা বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছিল। ইন্টারনেটসহ বিভিন্নভাবে প্রচারের মাধ্যমে গোপনে অর্থ, কর্মী সংগ্রহ করার কাজ করছিল। এছাড়াও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি দেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েক বক্তিদের হত্যার তাদের টার্গেট ছিল তাদের। তিনি আরও জানান, আইএসআইএস-এর নিকট থেকে মারাত্মক অস্ত্র সংগ্রহ করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে তারা ডিবি পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। আমিনুল নিজেকে একজন প্রকৌশলী ও সাকিব একটি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে শিক্ষকতা করেন বলে জানিয়েছেন। তাদের সংগঠনের অনেক সদস্য বর্তমানে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তৎপর রয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে তাদের প্রেরণ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে। রিমান্ডে তাদের কাছে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা করা হবে।
সাম্প্রতিক সময়ে যে ১০ বিশিষ্ট নাগরিককে চিঠির মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে ওই ঘটনার সঙ্গে তাদের যোগসূত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মনিরুল ইসলাম জানান, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের দুটি লক্ষ্য। একটি হলো কথিত জিহাদের মাধ্যমে আইএসআইএস-এর প্রতিষ্ঠাতা বাদদাদীর খিলাফতকে তারা বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আরেকটি হচ্ছে যারা কথিত খিলাফতের বিরোধী তাদের সমূলে উৎপাটন করা। তাদের এই সস্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধী শুধু বিশিষ্ট নাগরিকেরা নয়। গণতন্ত্রকামী সকলেই তাদের বিরোধী। দেশের যে ১০ জন ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে ওই হুমকিতে গ্রেপ্তারকৃতরা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তচিন্তার ব্লগার হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতরা জড়িত কিনা অপর প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আনসারুল্লাহ বাংলা টিম-১৩ নামে অপর জঙ্গি সংগঠন দায় স্বীকার করে তারা নিজেরাই ইন্টারনেটে বার্তা দিয়েছে। ব্লগারকে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দায়ী শুধু আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।
গ্রেপ্তারকৃতরা আগে জেএমবির সদস্য ছিল, তারা ওই দল ছেড়ে আইএসআইএস-এ যোগ দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি মনিরুল ইসলাম বলেন, দেশে উগ্র জঙ্গি গোষ্ঠী জেএমবির নেটওয়ার্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরো ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। তারা জেএমবির সদস্য হলেও বাংলাদেশে আইএসআইএস-এর বাংলাদেশে শাখা খুলে তাদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। জঙ্গিদের মধ্যে কথিত জেহাদের নতুন প্রেরণা দেয়ার চেষ্টা করছিল। সংবাদ সম্মেলনে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিবি ডিসি (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম, ডিএমপির ডিসি (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গির আলম সরকার, ডিবির এডিসি (উত্তর) মো. শাহাজাহান ও এসি মাহফুজুল আলম রাসেল প্রমুখ।
No comments