ঝড়ে প্রাণ গেল ২ শিশুসহ নয়জনের
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া গ্রামে এ রকম অনেক বাড়ি-ঘর গত শনিবারের ঝড়ে বিধ্বস্ত হয় l ছবি: প্রথম আলো |
কুমিল্লায়
ছুটি কাটাতে মামাবাড়ি বেড়াতে এসেছিল ছোট্ট শিশু ফাতেমা আক্তার (৫)।
শনিবার রাতের ঝড়ে নিভে গেল তার প্রাণ। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের আরেক শিশু
সাব্বিরেরও প্রাণ গেল সেই ঝড়ে। এই দুই শিশুসহ নয়জনের প্রাণহানি হয়েছে
শনিবার ও গতকাল রোববারের প্রলয়ংকরী ঝড়ে।
রংপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাঠিয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা:
ফাতেমা আক্তার দেবীদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মো. ইয়াছিন মিয়ার মেয়ে। সে হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে পড়ত। গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে সে তার খালা সানোয়ারা বেগমের (২০) সঙ্গে গত শনিবার সকালে চাপানগরে মামাবাড়ি বেড়াতে আসে। রাতে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এ সময় দমকা হাওয়ায় সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ঝড়ে দোচালা টিনের ঘর ধসে পড়ে। এ সময় ফাতেমা মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এদিকে, দিনাজপুরে ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে চারজনের প্রাণহানি এবং অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন ফুলবাড়ীর খয়েরপুকুর গ্রামের মুকুল চন্দ্র রায়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিতু রায় (২২), নবাবগঞ্জ উপজেলার হাতিশাল গ্রামের মৃত মোশারফ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬০) ও তাঁর নাতি সাব্বির (৮) এবং চিরিরবন্দর উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মৃত সবেত আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬৫)। বিরল উপজেলার মাধববাটি গ্রামের আবুল কালাম আজাদ জানান, তাঁর বাগানে এক হাজার লিচুগাছে এবার লিচুর ফলন ছিল অন্য বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। কিন্তু ঝড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। জেলার ১৩ উপজেলার গাছপালা-ঘরবাড়ি ও মৌসুমি ফল আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জয়পুরহাট শহরে দেয়াল চাপা পড়ে জাহেদুল ইসলাম নামের এক হোটেল শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। জাহিদুল গাইবান্ধা জেলা সদরের বজরাকিঞ্চি গ্রামের নছের আলীর ছেলে। জেলার ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, পাঁচবিবি, কালাই ও সদরের বিভিন্ন গ্রামে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পাকা বোরো ধান ও গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুটি ইউনিয়নের ১২-১৩টি গ্রামের অনেক কাঁচা বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের ধরমপাশার মধ্যনগর, চামরদানী, বংশীকুন্ডা উত্তর ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি ও গাছতলা বাজারসহ আশপাশের এলাকা দুই দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ উপজেলায় ঝড় হয়।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে কালবৈশাখীতে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। টিনের চালা ও গাছের ডাল পড়ে নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
রংপুরে নারীসহ দুজন মারা গেছেন। নগরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ওপর একটি গাছ উপড়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই আশরাফুল ইসলাম (৩১) নামের এক অটোরিকশাযাত্রী নিহত হন। তাঁর বাড়ি পীরগাছা উপজেলার তালুক উপাসু গ্রামে। এ ছাড়া, পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মংলাকুটি গ্রামের জয়নব বেগম (৬৫) নামের এক নারী ঘরচাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে তিন সহস্রাধিক পরিবারের ছয় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা ও ভুট্টাখেত। ঘর চাপা ও গাছ পড়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গতকাল রোববার ভোরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ইউএনও মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ঝড়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী, দিঘলী, দত্তপাড়া, মান্দারী, বাংগাখাঁ ও পার্বতীরগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রংপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলার ক্ষয়ক্ষতির খবর পাঠিয়েছেন প্রথম আলোর প্রতিনিধিরা:
ফাতেমা আক্তার দেবীদ্বার উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি মো. ইয়াছিন মিয়ার মেয়ে। সে হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণিতে পড়ত। গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে সে তার খালা সানোয়ারা বেগমের (২০) সঙ্গে গত শনিবার সকালে চাপানগরে মামাবাড়ি বেড়াতে আসে। রাতে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এ সময় দমকা হাওয়ায় সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ঝড়ে দোচালা টিনের ঘর ধসে পড়ে। এ সময় ফাতেমা মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এদিকে, দিনাজপুরে ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে চারজনের প্রাণহানি এবং অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন ফুলবাড়ীর খয়েরপুকুর গ্রামের মুকুল চন্দ্র রায়ের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মিতু রায় (২২), নবাবগঞ্জ উপজেলার হাতিশাল গ্রামের মৃত মোশারফ আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৬০) ও তাঁর নাতি সাব্বির (৮) এবং চিরিরবন্দর উপজেলার কামারপাড়া গ্রামের মৃত সবেত আলীর স্ত্রী আলেয়া বেগম (৬৫)। বিরল উপজেলার মাধববাটি গ্রামের আবুল কালাম আজাদ জানান, তাঁর বাগানে এক হাজার লিচুগাছে এবার লিচুর ফলন ছিল অন্য বছরের চেয়ে দ্বিগুণ। কিন্তু ঝড়ে সব শেষ হয়ে গেছে। জেলার ১৩ উপজেলার গাছপালা-ঘরবাড়ি ও মৌসুমি ফল আম-লিচুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জয়পুরহাট শহরে দেয়াল চাপা পড়ে জাহেদুল ইসলাম নামের এক হোটেল শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। জাহিদুল গাইবান্ধা জেলা সদরের বজরাকিঞ্চি গ্রামের নছের আলীর ছেলে। জেলার ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর, পাঁচবিবি, কালাই ও সদরের বিভিন্ন গ্রামে ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পাকা বোরো ধান ও গাছপালা ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। দুটি ইউনিয়নের ১২-১৩টি গ্রামের অনেক কাঁচা বাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে গেছে।
সুনামগঞ্জের ধরমপাশার মধ্যনগর, চামরদানী, বংশীকুন্ডা উত্তর ও পাইকুরাটি ইউনিয়নের পাইকুরাটি ও গাছতলা বাজারসহ আশপাশের এলাকা দুই দিন ধরে বিদ্যুৎহীন রয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ উপজেলায় ঝড় হয়।
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে কালবৈশাখীতে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। টিনের চালা ও গাছের ডাল পড়ে নারীসহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
রংপুরে নারীসহ দুজন মারা গেছেন। নগরের মাহিগঞ্জ সাতমাথা এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ওপর একটি গাছ উপড়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই আশরাফুল ইসলাম (৩১) নামের এক অটোরিকশাযাত্রী নিহত হন। তাঁর বাড়ি পীরগাছা উপজেলার তালুক উপাসু গ্রামে। এ ছাড়া, পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মংলাকুটি গ্রামের জয়নব বেগম (৬৫) নামের এক নারী ঘরচাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।
নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে তিন সহস্রাধিক পরিবারের ছয় সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে ও উপড়ে পড়েছে বহু গাছপালা ও ভুট্টাখেত। ঘর চাপা ও গাছ পড়ে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গতকাল রোববার ভোরে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। ইউএনও মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানান, ঝড়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চরশাহী, দিঘলী, দত্তপাড়া, মান্দারী, বাংগাখাঁ ও পার্বতীরগর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
No comments