সমৃদ্ধ হলো গুগলের বাংলা অনুবাদ
রাজধানীর বিসিসি ভবনের সামনে গতকাল সকালে তরুণ–তরুণীদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে ‘বাংলার জন্য চার লাখ’ কার্যক্রম শুরু হয় |
উদ্দেশ্য
ছিল, বাংলাদেশের ৪৫তম স্বাধীনতা দিবসে বিশ্বখ্যাত সার্চইঞ্জিন গুগলের
যান্ত্রিক অনুবাদ সেবায় চার লাখ বাংলা শব্দ-শব্দাংশ যোগ করা। আর গতকাল
বৃহস্পতিবার সারা দেশের ৮১টি স্থানে এ কাজটিই করেছেন চার হাজারের বেশি
স্বেচ্ছাসেবক। এ ছাড়া দেশে ও বিদেশে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবেই এতে যুক্ত হন।
ফলে এক দিনেই চার লাখের বেশি শব্দ-শব্দাংশ যোগ হয়েছে গুগলের বাংলা অনুবাদ
সেবায়। গুগল ডেভেলপার্স গ্রুপ (জিডিজি) বাংলার উদ্যোগে এবং তথ্য ও
যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের
(বিসিসি) আয়োজনে ‘বাংলার জন্য চার লাখ’ নামের এ কার্যক্রমের শুরু হয় সকালে
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি ভবনে।
বিকেলে বিসিসি ভবনে সমাপনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আজকের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসা আরও একবার প্রমাণিত হলো।’
উৎসবের আমেজে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে এ শব্দযোগ কর্মসূচি। বিসিসি ল্যাব ও পুরো ভবনজুড়ে থাকা তারহীন ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবীরা শব্দ যোগ করেন। একই দৃশ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আয়োজনে সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়টির আইটি সোসাইটি ও বিজ্ঞান সোসাইটি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ল্যাবে শব্দযোগের কাজে অংশ নেন প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী।
ঢাকার বাইরে আয়োজন ছিল চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরে হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
এ ছাড়া বিসিসির ছয়টি বিভাগীয় কার্যালয়, যশোর প্রেসক্লাব, বগুড়া সাতমাথা, কুষ্টিয়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানে শব্দযোগের এ কর্মসূচি চলে। সারা দেশে এই কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, হিমু পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এ কার্যক্রমে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল বেশি। তবে সব বয়সীরাই এতে অংশ নেন। বিসিসি ল্যাবে মিরপুর থেকে আসা ৪৪ বছর বয়সী ফয়জুন্নেছা হক বলেন, ‘আগে বাংলা শব্দের ইংরেজি কিংবা ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ জানার মাধ্যম অভিধান, নয়তো শিক্ষক। এখন সেটা গুগল অনুবাদেই সম্ভব। আর গুগলে বাংলা অনুবাদ সেবা সমৃদ্ধ করতে সবারই অবদান রাখা উচিত।’
আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সিফাত আহমেদ বলেন, ‘গুগল অনুবাদে বাংলা শব্দ-সংক্রান্ত ভুলগুলো শুধরে দেওয়ার জন্য কাজ করছি।’ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী সাবরিনা আক্তার বলেন, ‘মাতৃভাষার জন্য কিছু করছি, এটা একটা দারুণ অনুভূতি। ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলা ভাষার বিস্তৃতি বাড়ছে, পরিচিতি বাড়ছে—এটাও অনেক বড় পাওয়া।’
সকালে বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম। গতকাল চার লাখের বেশি বাংলা শব্দ-শব্দাংশ যুক্ত হয়েছে বলে ধারণা করছেন আয়োজক ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
বাংলাদেশে গুগলের কান্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট খান মো. আনোয়ারুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গুগল অনুবাদে কত শব্দ-শব্দাংশ যুক্ত হলো তা আজ (শুক্রবার) জানা যাবে। যাঁরা এক হাজারের বেশি শব্দ যোগ করবেন, তাঁদের প্রত্যেককে গুগল অনুবাদ দলের পক্ষ থেকে ডিজিটাল সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শব্দ যোগকারী সিঙ্গাপুরে গুগল অফিস পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন।’
গুগল অনুবাদে বাংলা শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হলে গুগলের মাধ্যমেই ৯০টি ভাষার বাংলা অনুবাদ পড়া যাবে বলে জানালেন জিডিজি বাংলার প্রধান উপদেষ্টা মুনির হাসান।
গুগল ট্রান্সলেটে বাংলা অনুবাদের সুবিধা থাকলেও এটি আগে তেমন সমৃদ্ধ ছিল না। গুগলের বাংলা ভাষাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ ‘জিডিজি বাংলা’ গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণে বাংলা অনুবাদ সেবা সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়। এতে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি শব্দ-শব্দাংশ যোগ হয়েছে। জিডিজি বাংলার কমিউনিটি ব্যবস্থাপক জাবেদ সুলতান বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। যে কেউ যেকোনো সময় এই অনুবাদ সেবায় বাংলার জন্য অবদান রাখতে পারেন।’
আগ্রহী যে কেউ https://translate.google.com/ community ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে গুগল অনুবাদে বাংলা শব্দ যোগ করতে বা বাক্য গঠন, সংশোধন করতে পারবেন।
বিকেলে বিসিসি ভবনে সমাপনী অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘আজকের এই কার্যক্রমের মাধ্যমে ভাষার প্রতি আমাদের ভালোবাসা আরও একবার প্রমাণিত হলো।’
উৎসবের আমেজে সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে এ শব্দযোগ কর্মসূচি। বিসিসি ল্যাব ও পুরো ভবনজুড়ে থাকা তারহীন ওয়াই-ফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করে স্বেচ্ছাসেবীরা শব্দ যোগ করেন। একই দৃশ্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বর, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আয়োজনে সহযোগিতা করে বিশ্ববিদ্যালয়টির আইটি সোসাইটি ও বিজ্ঞান সোসাইটি। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ল্যাবে শব্দযোগের কাজে অংশ নেন প্রায় এক হাজার স্বেচ্ছাসেবী।
ঢাকার বাইরে আয়োজন ছিল চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুরে হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
এ ছাড়া বিসিসির ছয়টি বিভাগীয় কার্যালয়, যশোর প্রেসক্লাব, বগুড়া সাতমাথা, কুষ্টিয়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন স্থানে শব্দযোগের এ কর্মসূচি চলে। সারা দেশে এই কার্যক্রম পরিচালনায় সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, হিমু পরিবহনসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
এ কার্যক্রমে তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণ ছিল বেশি। তবে সব বয়সীরাই এতে অংশ নেন। বিসিসি ল্যাবে মিরপুর থেকে আসা ৪৪ বছর বয়সী ফয়জুন্নেছা হক বলেন, ‘আগে বাংলা শব্দের ইংরেজি কিংবা ইংরেজি শব্দের বাংলা অর্থ জানার মাধ্যম অভিধান, নয়তো শিক্ষক। এখন সেটা গুগল অনুবাদেই সম্ভব। আর গুগলে বাংলা অনুবাদ সেবা সমৃদ্ধ করতে সবারই অবদান রাখা উচিত।’
আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সিফাত আহমেদ বলেন, ‘গুগল অনুবাদে বাংলা শব্দ-সংক্রান্ত ভুলগুলো শুধরে দেওয়ার জন্য কাজ করছি।’ ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী সাবরিনা আক্তার বলেন, ‘মাতৃভাষার জন্য কিছু করছি, এটা একটা দারুণ অনুভূতি। ডিজিটাল মাধ্যমে বাংলা ভাষার বিস্তৃতি বাড়ছে, পরিচিতি বাড়ছে—এটাও অনেক বড় পাওয়া।’
সকালে বেলুন উড়িয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বিসিসির নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম। গতকাল চার লাখের বেশি বাংলা শব্দ-শব্দাংশ যুক্ত হয়েছে বলে ধারণা করছেন আয়োজক ও স্বেচ্ছাসেবীরা।
বাংলাদেশে গুগলের কান্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং কনসালট্যান্ট খান মো. আনোয়ারুস সালাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘গুগল অনুবাদে কত শব্দ-শব্দাংশ যুক্ত হলো তা আজ (শুক্রবার) জানা যাবে। যাঁরা এক হাজারের বেশি শব্দ যোগ করবেন, তাঁদের প্রত্যেককে গুগল অনুবাদ দলের পক্ষ থেকে ডিজিটাল সম্মাননা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি শব্দ যোগকারী সিঙ্গাপুরে গুগল অফিস পরিদর্শনের সুযোগ পাবেন।’
গুগল অনুবাদে বাংলা শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হলে গুগলের মাধ্যমেই ৯০টি ভাষার বাংলা অনুবাদ পড়া যাবে বলে জানালেন জিডিজি বাংলার প্রধান উপদেষ্টা মুনির হাসান।
গুগল ট্রান্সলেটে বাংলা অনুবাদের সুবিধা থাকলেও এটি আগে তেমন সমৃদ্ধ ছিল না। গুগলের বাংলা ভাষাভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ ‘জিডিজি বাংলা’ গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে সবার অংশগ্রহণে বাংলা অনুবাদ সেবা সমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নেয়। এতে ২৫ মার্চ পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি শব্দ-শব্দাংশ যোগ হয়েছে। জিডিজি বাংলার কমিউনিটি ব্যবস্থাপক জাবেদ সুলতান বলেন, ‘এটা চলমান প্রক্রিয়া। যে কেউ যেকোনো সময় এই অনুবাদ সেবায় বাংলার জন্য অবদান রাখতে পারেন।’
আগ্রহী যে কেউ https://translate.google.com/ community ঠিকানার ওয়েবসাইটে গিয়ে গুগল অনুবাদে বাংলা শব্দ যোগ করতে বা বাক্য গঠন, সংশোধন করতে পারবেন।
No comments