বিমানটি ধ্বংস করতে চেয়েছিলেন কো-পাইলট
ফ্রান্সের আল্পসে মঙ্গলবার বিধ্বস্ত হওয়া জার্মান বিমানের কো-পাইলটই বিমানটি বিধ্বস্ত করতে চেয়েছিলেন। ফরাসি কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন। ফ্রান্সে মার্সাইয়ে শহরের কৌঁসুলি বিরিস হোবা বিমানটির ‘ব্ল্যাকবক্স’ ভয়েস রেকর্ডারের তথ্য তুলে ধরে বলেন, কো-পাইলট ককপিটে ছিলেন একা। বিমানের ককপিট থেকে পাইলট বেরিয়ে যাওয়ার পর কো-পাইলট ইচ্ছাকৃতভাবেই বিমান নিচের দিকে নামাতে থাকেন। তিনি পাইলটকে ভেতরেও ঢুকতে দেননি। পাইলটকে বাইরে রেখে কো-পাইলট একটি সুইচ টিপে বিমানের পতন ঘটান। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ওই কৌঁসুলি। তিনি বলেন, পাইলট ভেতরে ঢোকার আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। ককপিটে তখন ছিল পিনপতন নিস্তব্ধতা। ২৮ বছর বয়সী কো-পাইলট আন্দ্রিয়াজ লুবিজ বিমান ধ্বংস হওয়ার আগ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন। সাংবাদিকদের কৌঁসুলি হোবা বলেন,
‘আমরা পাইলটকে বিমানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য কো-পাইলটকে অনুরোধ জানাতে শুনেছি। আর ঠিক সে সময়ই একটি আসন পেছনের দিকে সরানো এবং দরজা বন্ধ করার শব্দ পাওয়া গেছে।’ ‘ওই মুহূর্তে কো-পাইলট নিজে বিমানটি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। তিনি একা ছিলেন। আর তখনই কো-পাইলট বিমানটিকে নিচে নামানোর জন্য ফ্লাইট মনিটরিং সিস্টেমের সুইচ টিপেন। উচ্চতা নিয়ন্ত্রণের এ কাজটি কেবল ইচ্ছাকৃতই করা যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সবচেয়ে যৌক্তিক ব্যাখ্যা হতে পারে এটি যে, কো-পাইলট স্বেচ্ছায়ই ক্যাপ্টেনকে না ঢুকতে দেয়ার জন্য দরজা বন্ধ করে রেখেছিলেন। বিমানকে নিচে নামানোর জন্য সুইচও টিপেছিলেন। কি কারণে তিনি এটা করেছেন তা আমরা এখনও জানি না। তবে মনে হয় বিমানটি ধ্বংস করে দিতে চেয়েছিলেন তিনি।’ বিমান নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সংকেত মেলেনি জানিয়ে কৌঁসুলি বলেন, কো-পাইলটের সঙ্গে উগ্রবাদী বা সন্ত্রাসীদের কোনো যোগসাজশ আছে কিনা তা তারা জানেন না। তবে জার্মান কর্তৃপক্ষ কো-পাইলট সম্পর্কে পরবর্তীকালে আরও তথ্য জানাবে। মঙ্গলবার ফ্রান্সের আল্পস পর্বতে জার্মান এয়ারবাস এ৩২০ বিমানটি ১৫০ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়।
No comments