কোহলির উইকেটটাই সেরা
বিশ্বকাপে গিয়েছিলেন বিতর্ককে সঙ্গী করে। ফিরে এলেন হিরো হয়ে। পেসার রুবেল হোসেন বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে চান। এক ওভারে ছয়টি বলই ইয়র্কার দেয়ার লক্ষ্য তার। কাল বাগেরহাট গেছেন। জ্যোতির্ময় মণ্ডলকে দিয়েছেন সাক্ষাৎকার-
প্রশ্ন : অস্ট্রেলিয়ায় কোনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে গিয়েছিলেন?
রুবেল : বিশ্বকাপে খেলতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। বড় মঞ্চে ভালো খেলার একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। জানতাম অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন পেসারদের জন্য সহায়ক হবে। কিন্তু যা ভেবেছিলাম ঠিক ততটা অনুকূল কন্ডিশন ছিল না। তারপরও ভালো বল করতে পেরেছি। তাতেই খুশি। ভালো করতে হবে, এটা আমার জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ ছিল।
প্রশ্ন : অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা ছিল, চাপ নিয়েই গিয়েছিলেন। এত দ্রুত সামলালেন কীভাবে?
রুবেল : বাইরে যা হোক, মাথার মধ্যে আমার ক্রিকেটই ছিল। ক্রিকেটই আমার ধ্যান-জ্ঞান, স্বপ্ন। আমাকে নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু খেলার সময় আমার মাথায় সেগুলো ছিল না। বিশ্বকাপে দেশের হয়ে একটা ম্যাচ জেতানোর স্বপ্ন ছিল। ম্যাচে জেতালাম। তাতেই বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে গেল। আমি নিজেই বিস্মিত। আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রশ্ন : ডেথ ওভার বোলিংয়ে আপনি কী বিশ্বের সেরা?
রুবেল : হাহাহা। ডেথ ওভার নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি। ডেথ ওভারে একজন বোলার ডেথ হতে পারে, আবার হিরোও হয়ে যেতে পারে। আমার শক্তির জায়গা হল ইয়র্কার এবং জোরে বল করা। কিন্তু মনে হয় এখনও আমি পরিপূর্ণ হতে পারিনি। এখন চারটি ইয়র্কার দিতে চাইলে দুটি বা তিনটি হয়। যেদিন এক ওভারে ছয়টা ইয়র্কার দিতে পারব, সেদিনই মনে করব পেরেছি।
প্রশ্ন : আপনি এখন হিরো। কেমন উপভোগ করছেন?
রুবেল : হাহাহা...। হিরো! এমনটা কখনও ভাবিনি। আমি যা করেছি, শুধু দলের জন্য। দলের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। পেরেছি কিনা, আপনারা ভালো বলতে পারবেন।
প্রশ্ন : ক্যারিয়ারে ছয়বার চার বা তারচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন। কোন্টাকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখবেন?
রুবেল : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমার ছয় উইকেট আছে। তাদের বিপক্ষে কাইল মিলসকে আউট করার পর বাংলাওয়াশ নামটা চালু হয়েছিল। আরও কয়েকটা স্মরণীয় বোলিং রয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই দুই উইকেট না পেলে হয়তো বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারত না। ওই ওভারটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা।
প্রশ্ন : বিশ্বকাপে কার বিপক্ষে বল করাটা কঠিন মনে হয়েছে?
রুবেল : আমি কাউকে ওভাবে নির্বাচন করতে পারিনি। ভালো বল করতে সবার বিপক্ষেই সহজ মনে হয়।
প্রশ্ন : ব্রড ও অ্যান্ডারসনকে আউট করা বল দুটোকেই কি ক্যারিয়ারের সেরা বল বলবেন?
রুবেল : যদি সেরা দুটি নির্বাচন করতে বলেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমি ওই দুটি বলকে বেছে নেব। তবে এটা সম্ভব হয়েছে রিভার্স সুইংয়ের কারণে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের তিনটি বলও আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রশ্ন : বিশ্বকাপে আট উইকেটের মধ্যে কাকে আউট করে আপনি তৃপ্ত?
রুবেল : (হেসে) আসলে ঘুরেফিরে ওই দুটি উইকেটের কথাই আসে। কিন্তু বিরাট কোহলির উইকেটটাই আমার কাছে সেরা।
প্রশ্ন : ছোটবেলা আর আপনার এখনকার জীবনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। জীবনে আরও বড় হলেও কোন জিনিসটা কখনও ভুলবেন না?
রুবেল : আসলে ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট ভালোবাসলেও স্বপ্ন দেখিনি আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলছি। হয়তো স্কুল ফাঁকি দিয়ে অনেক খ্যাপ খেলেছি। কিন্তু পেসার হান্টের কথা আমি কখনও ভুলব না। এটাই আমার জীবন বদলে দিয়েছে। তবে প্রথমবার ৭১ মাইল গতিতে বল করার পর ব্যর্থ হই। সেই ব্যর্থতার পর আমি দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে চাইনি। কিন্তু কয়েকজন বন্ধু ও বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় পেসার হান্টে নাম লেখাই। পরে সবকিছু স্বপ্নের মতোই হয়েছে। আর এখন যখন ১৬ কোটি মানুষ ‘রুবেল, রুবেল’ বলে চিৎকার করে, তখন মনে হয় আমাকে, আরও ভালো কিছু করতে হবে।
প্রশ্ন : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আপনার দুই ওভার বাকি ছিল। নিজের কাছে কী মনে হয়েছে আপনি বল করলে ওই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিততে পারত?
রুবেল : না, তেমনটা মনে হয়নি। কারণ ওই সময়ে অধিনায়কই ম্যাচের অবস্থা ভালো বুঝতে পারেন।
প্রশ্ন : ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত আসতে কোন কাজটা আপনার কাছে কঠিন মনে হয়েছে?
রুবেল : ওরকম কখনো কিছু মনে হয়নি।
প্রশ্ন : মিরপুরে আর মেলবোর্নে বল করার মধ্যে পার্থক্য কী?
রুবেল : বাংলাদেশের উইকেটে পেসারদের খুব কমই সহায়তা করে। এই উইকেটে খেলতে খেলতে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে এখান থেকেই আমাদের সাফল্য বের করার চেষ্টা করতে হয়। মেলবোর্নের উইকেটও ফ্লাট ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের তুলনায় কম। মাঠ বড়। সেখানে বোলিং করার সময় একটু আলাদা অনুভূতি কাজ করেছে। ছোটবেলা থেকেই তো জানি অস্ট্রেলিয়ায় বাউন্সি উইকেট হয়। ওখানকার উইকেটে ভালো জায়গায় বল করলে সফলতা মেলে।
প্রশ্ন : এখন অনেক তরুণী আপনাকে বিয়ে করতে উতলা। মনের মতো কাউকে পেয়েছেন?
রুবেল : (হেসে) এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না।
প্রশ্ন : বিয়ে নিয়ে কিছু ভাবছেন?
রুবেল : বিয়ে নিয়ে এখনই ভাবছি না।
প্রশ্ন : সামনের সিরিজগুলো নিয়ে পরিকল্পনা কী?
রুবেল : সামনে আমাদের বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আমাদের জন্য অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। তাদের সঙ্গে আমাদের সাফল্য কম। আর বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্সে অন্য দলগুলোও বাংলাদেশকে আলাদাভাবে ভাবছে। সবাই জানে, বাংলাদেশ এখন আর আগের দল নেই। এ জন্য আমাদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে আমরা সামনের সিরিজগুলোতে ভালো করব।
প্রশ্ন : আপনার পারফরম্যান্সে মাশরাফির ভূমিকা কতটুকু ছিল?
রুবেল : পেস বোলার অধিনায়ক হলে অন্য পেসারদের জন্য সুবিধা হয়। কারণ তিনি বুঝতে পারেন অন্যদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে। পেসারদের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে। সেভাবে পরামর্শও দিতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন মাশরাফি।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের সমর্থকদের উদ্দেশে কী বলবেন?
রুবেল : মানুষের ভালোবাসা আর সমর্থনের জোরে আমি খারাপ সময় পার করে এসেছি। সেই সময়ে চিনতে পেরেছি, কারা আমাকে সমর্থন করেন। আমি সত্যিই মুগ্ধ, মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কথা বলব বিশেষ করে। বিসিবি আমাকে যে সমর্থন দিয়েছে, তার প্রতিদান দেয়া সম্ভব নয়। আমার বিপদের সময় পাশে থেকেছেন সবাই, সেই সঙ্গে আমাকে এতকিছুর পরও বিশ্বকাপে নিয়ে গেছেন। আমি সবার কাছে দোয়া চাইব, যেন সুস্থ থাকতে পারি। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে পারি।
প্রশ্ন : অস্ট্রেলিয়ায় কোনো চ্যালেঞ্জ নিয়ে গিয়েছিলেন?
রুবেল : বিশ্বকাপে খেলতে পারা অনেক বড় ব্যাপার। বড় মঞ্চে ভালো খেলার একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। জানতাম অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন পেসারদের জন্য সহায়ক হবে। কিন্তু যা ভেবেছিলাম ঠিক ততটা অনুকূল কন্ডিশন ছিল না। তারপরও ভালো বল করতে পেরেছি। তাতেই খুশি। ভালো করতে হবে, এটা আমার জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ ছিল।
প্রশ্ন : অস্ট্রেলিয়া যাওয়া নিয়ে অনিশ্চিয়তা ছিল, চাপ নিয়েই গিয়েছিলেন। এত দ্রুত সামলালেন কীভাবে?
রুবেল : বাইরে যা হোক, মাথার মধ্যে আমার ক্রিকেটই ছিল। ক্রিকেটই আমার ধ্যান-জ্ঞান, স্বপ্ন। আমাকে নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল। কিন্তু খেলার সময় আমার মাথায় সেগুলো ছিল না। বিশ্বকাপে দেশের হয়ে একটা ম্যাচ জেতানোর স্বপ্ন ছিল। ম্যাচে জেতালাম। তাতেই বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে গেল। আমি নিজেই বিস্মিত। আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রশ্ন : ডেথ ওভার বোলিংয়ে আপনি কী বিশ্বের সেরা?
রুবেল : হাহাহা। ডেথ ওভার নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি। ডেথ ওভারে একজন বোলার ডেথ হতে পারে, আবার হিরোও হয়ে যেতে পারে। আমার শক্তির জায়গা হল ইয়র্কার এবং জোরে বল করা। কিন্তু মনে হয় এখনও আমি পরিপূর্ণ হতে পারিনি। এখন চারটি ইয়র্কার দিতে চাইলে দুটি বা তিনটি হয়। যেদিন এক ওভারে ছয়টা ইয়র্কার দিতে পারব, সেদিনই মনে করব পেরেছি।
প্রশ্ন : আপনি এখন হিরো। কেমন উপভোগ করছেন?
রুবেল : হাহাহা...। হিরো! এমনটা কখনও ভাবিনি। আমি যা করেছি, শুধু দলের জন্য। দলের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। পেরেছি কিনা, আপনারা ভালো বলতে পারবেন।
প্রশ্ন : ক্যারিয়ারে ছয়বার চার বা তারচেয়ে বেশি উইকেট পেয়েছেন। কোন্টাকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখবেন?
রুবেল : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমার ছয় উইকেট আছে। তাদের বিপক্ষে কাইল মিলসকে আউট করার পর বাংলাওয়াশ নামটা চালু হয়েছিল। আরও কয়েকটা স্মরণীয় বোলিং রয়েছে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওই দুই উইকেট না পেলে হয়তো বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারত না। ওই ওভারটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা।
প্রশ্ন : বিশ্বকাপে কার বিপক্ষে বল করাটা কঠিন মনে হয়েছে?
রুবেল : আমি কাউকে ওভাবে নির্বাচন করতে পারিনি। ভালো বল করতে সবার বিপক্ষেই সহজ মনে হয়।
প্রশ্ন : ব্রড ও অ্যান্ডারসনকে আউট করা বল দুটোকেই কি ক্যারিয়ারের সেরা বল বলবেন?
রুবেল : যদি সেরা দুটি নির্বাচন করতে বলেন, তাহলে নিশ্চয়ই আমি ওই দুটি বলকে বেছে নেব। তবে এটা সম্ভব হয়েছে রিভার্স সুইংয়ের কারণে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের তিনটি বলও আমার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রশ্ন : বিশ্বকাপে আট উইকেটের মধ্যে কাকে আউট করে আপনি তৃপ্ত?
রুবেল : (হেসে) আসলে ঘুরেফিরে ওই দুটি উইকেটের কথাই আসে। কিন্তু বিরাট কোহলির উইকেটটাই আমার কাছে সেরা।
প্রশ্ন : ছোটবেলা আর আপনার এখনকার জীবনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। জীবনে আরও বড় হলেও কোন জিনিসটা কখনও ভুলবেন না?
রুবেল : আসলে ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট ভালোবাসলেও স্বপ্ন দেখিনি আমি জাতীয় দলের হয়ে খেলছি। হয়তো স্কুল ফাঁকি দিয়ে অনেক খ্যাপ খেলেছি। কিন্তু পেসার হান্টের কথা আমি কখনও ভুলব না। এটাই আমার জীবন বদলে দিয়েছে। তবে প্রথমবার ৭১ মাইল গতিতে বল করার পর ব্যর্থ হই। সেই ব্যর্থতার পর আমি দ্বিতীয়বার পরীক্ষা দিতে চাইনি। কিন্তু কয়েকজন বন্ধু ও বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় পেসার হান্টে নাম লেখাই। পরে সবকিছু স্বপ্নের মতোই হয়েছে। আর এখন যখন ১৬ কোটি মানুষ ‘রুবেল, রুবেল’ বলে চিৎকার করে, তখন মনে হয় আমাকে, আরও ভালো কিছু করতে হবে।
প্রশ্ন : নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আপনার দুই ওভার বাকি ছিল। নিজের কাছে কী মনে হয়েছে আপনি বল করলে ওই ম্যাচটি বাংলাদেশ জিততে পারত?
রুবেল : না, তেমনটা মনে হয়নি। কারণ ওই সময়ে অধিনায়কই ম্যাচের অবস্থা ভালো বুঝতে পারেন।
প্রশ্ন : ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত আসতে কোন কাজটা আপনার কাছে কঠিন মনে হয়েছে?
রুবেল : ওরকম কখনো কিছু মনে হয়নি।
প্রশ্ন : মিরপুরে আর মেলবোর্নে বল করার মধ্যে পার্থক্য কী?
রুবেল : বাংলাদেশের উইকেটে পেসারদের খুব কমই সহায়তা করে। এই উইকেটে খেলতে খেলতে অভ্যস্ত হওয়ার কারণে এখান থেকেই আমাদের সাফল্য বের করার চেষ্টা করতে হয়। মেলবোর্নের উইকেটও ফ্লাট ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের তুলনায় কম। মাঠ বড়। সেখানে বোলিং করার সময় একটু আলাদা অনুভূতি কাজ করেছে। ছোটবেলা থেকেই তো জানি অস্ট্রেলিয়ায় বাউন্সি উইকেট হয়। ওখানকার উইকেটে ভালো জায়গায় বল করলে সফলতা মেলে।
প্রশ্ন : এখন অনেক তরুণী আপনাকে বিয়ে করতে উতলা। মনের মতো কাউকে পেয়েছেন?
রুবেল : (হেসে) এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না।
প্রশ্ন : বিয়ে নিয়ে কিছু ভাবছেন?
রুবেল : বিয়ে নিয়ে এখনই ভাবছি না।
প্রশ্ন : সামনের সিরিজগুলো নিয়ে পরিকল্পনা কী?
রুবেল : সামনে আমাদের বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলতে হবে। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ আমাদের জন্য অন্যরকম চ্যালেঞ্জ। তাদের সঙ্গে আমাদের সাফল্য কম। আর বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্সে অন্য দলগুলোও বাংলাদেশকে আলাদাভাবে ভাবছে। সবাই জানে, বাংলাদেশ এখন আর আগের দল নেই। এ জন্য আমাদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ। ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে আমরা সামনের সিরিজগুলোতে ভালো করব।
প্রশ্ন : আপনার পারফরম্যান্সে মাশরাফির ভূমিকা কতটুকু ছিল?
রুবেল : পেস বোলার অধিনায়ক হলে অন্য পেসারদের জন্য সুবিধা হয়। কারণ তিনি বুঝতে পারেন অন্যদের কোথায় সমস্যা হচ্ছে। পেসারদের সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে। সেভাবে পরামর্শও দিতে পারেন। অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন মাশরাফি।
প্রশ্ন : বাংলাদেশের সমর্থকদের উদ্দেশে কী বলবেন?
রুবেল : মানুষের ভালোবাসা আর সমর্থনের জোরে আমি খারাপ সময় পার করে এসেছি। সেই সময়ে চিনতে পেরেছি, কারা আমাকে সমর্থন করেন। আমি সত্যিই মুগ্ধ, মানুষের ভালোবাসা ও সমর্থন দেখে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কথা বলব বিশেষ করে। বিসিবি আমাকে যে সমর্থন দিয়েছে, তার প্রতিদান দেয়া সম্ভব নয়। আমার বিপদের সময় পাশে থেকেছেন সবাই, সেই সঙ্গে আমাকে এতকিছুর পরও বিশ্বকাপে নিয়ে গেছেন। আমি সবার কাছে দোয়া চাইব, যেন সুস্থ থাকতে পারি। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে পারি।
No comments