চট্টগ্রামে ১৫০০ কোটি টাকার কাজ বন্ধ, উদ্বিগ্ন ওয়াসা-চীনা কোম্পানির জিডি by মহিউদ্দীন জুয়েল
চট্টগ্রামে
সরকারদলীয় সমর্থকদের প্রাণনাশের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ওয়াসার দেড় হাজার
কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি পানি শোধনাগার প্রকল্পের ঠিকাদার ও
কর্মকর্তারা। জাইকার অর্থায়নে সাবেক পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদের
রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরায় এ প্রকল্পের কাজ চলছে। গত ১৯শে জানুয়ারি রাতে
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সুবিধা আদায় করতে না পেরে ঠিকাদারি
প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন কর্মকর্তাকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের হুমকি দেয়। এতে ১০
দিন ধরে বন্ধ রয়েছে প্রকল্পের কাজ। বিষয়টি নিয়ে এর আগে অন্তত ৮ বার থানায়
জিডি করলেও পুলিশ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। এ ব্যাপারে একজন কর্মকর্তা
ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই সন্ত্রাসীদের ভয়ে শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের ৪০০ লোক প্রত্যাহার করে নিয়ে গেছে। ১৯শে জানুয়ারির পর থেকে সেখানকার ব্যারাকে থাকা শ্রমিকরা একযোগে সবাই কর্ণফুলী পানি শোধনাগার ছেড়ে চলে গেলে প্রকল্প এলাকায় জনশূন্যতা সৃষ্টি হয়। এতে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সরকার সমর্থক ওই নেতাকর্মীরা ঘটনার আগে শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের মারধর করেছে। কেবল তাই নয়, চাঁদা না দেয়ায় ৩৮ ইট বহনকারী গাড়ি আটক করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওয়াসা প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে অভিযোগ পত্রে সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন গ্লোবাল সাউন্ড কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি সূত্র জানায়, ২০১২ সালে প্রকল্পের শুরু থেকে কাজের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ও ত্রাস সৃষ্টি করে সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা। দেশী-বিদশী শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের নাজেহাল করতে থাকে। সর্বশেষ মারধরের একাধিক ঘটনা ঘটার পর চট্টগ্রাম ওয়াসার পক্ষে গত বছরের নভেম্বরে এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করেন প্রশাসন।
কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চক্রটি প্রকল্প কাজে চাপ সৃষ্টি করে। এসব কাজ স্থানীয় চক্রের হাতে না দেয়ায় কারণ হিসেবে তারা ৩৮টি ইটভর্তি ট্রাক আটকে দিয়ে ছিনতাই করে নেয়। এর আগে ২০১৪ সালের গত ১৫ই ডিসেম্বর সিলেট থেকে নিয়ে আসা ট্রাকভর্তি মোটা বালির একটি চালান ছিনতাই করে।
প্রকল্প সূত্রে সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছর জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ প্রকল্পে রাঙ্গুনিয়া ইছাখালী এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলনের পর তা পরিশোধন করা হবে পোমরা ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্টে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার আগে রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় ৩১ দশমিক ৫৫ একর এবং ইছাখালী এলাকায় ১ দশমিক ৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সঙ বলেন, আমরা রাঙ্গুনিয়া থানায় বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। এভাবে ভয়ে কাজ করতে নারাজ আমাদের শ্রমিকরা। কারণ সন্ত্রাসীরা প্রতিদিনই মালামালের সব গাড়ি ছিনতাই করছে। লোকজনকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে।
তিনি বলেন, শুনেছি সন্ত্রাসীদের পুলিশ ভয় পাচ্ছে। ওরা রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে এমন করছে বলে এক শ্রমিক আমাকে জানিয়েছে। বাধ্য হয়ে এখন তাই কাজ বন্ধ রেখেছি। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওয়ালীউল্লাহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও তাদের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা ইমরুল করিম, আবু তাহের, সাবের আহমেদ, আইয়ুব, জসিম উদ্দিন, রাঙ্গুনিয়া পোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহেদ, রফিকুল ইসলাম, কাদের, মফিজুল, শহীদুল ইসলাম তালুকদার, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ ওয়াহিদুল কবিরসহ অন্তত ৩০ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে তারা।
সূত্র জানায়, ঘটনার পরপরই সন্ত্রাসীদের ভয়ে শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তাদের ৪০০ লোক প্রত্যাহার করে নিয়ে গেছে। ১৯শে জানুয়ারির পর থেকে সেখানকার ব্যারাকে থাকা শ্রমিকরা একযোগে সবাই কর্ণফুলী পানি শোধনাগার ছেড়ে চলে গেলে প্রকল্প এলাকায় জনশূন্যতা সৃষ্টি হয়। এতে প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
সরকার সমর্থক ওই নেতাকর্মীরা ঘটনার আগে শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের মারধর করেছে। কেবল তাই নয়, চাঁদা না দেয়ায় ৩৮ ইট বহনকারী গাড়ি আটক করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ওয়াসা প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। তবে অভিযোগ পত্রে সন্ত্রাসী ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন গ্লোবাল সাউন্ড কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম ওয়াসার একটি সূত্র জানায়, ২০১২ সালে প্রকল্পের শুরু থেকে কাজের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ও ত্রাস সৃষ্টি করে সরকার সমর্থক নেতাকর্মীরা। দেশী-বিদশী শ্রমিক ও প্রকৌশলীদের নাজেহাল করতে থাকে। সর্বশেষ মারধরের একাধিক ঘটনা ঘটার পর চট্টগ্রাম ওয়াসার পক্ষে গত বছরের নভেম্বরে এক প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করেন প্রশাসন।
কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চক্রটি প্রকল্প কাজে চাপ সৃষ্টি করে। এসব কাজ স্থানীয় চক্রের হাতে না দেয়ায় কারণ হিসেবে তারা ৩৮টি ইটভর্তি ট্রাক আটকে দিয়ে ছিনতাই করে নেয়। এর আগে ২০১৪ সালের গত ১৫ই ডিসেম্বর সিলেট থেকে নিয়ে আসা ট্রাকভর্তি মোটা বালির একটি চালান ছিনতাই করে।
প্রকল্প সূত্রে সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থ বছর জুনের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এ প্রকল্পে রাঙ্গুনিয়া ইছাখালী এলাকায় কর্ণফুলী নদী থেকে পানি উত্তোলনের পর তা পরিশোধন করা হবে পোমরা ট্রিটম্যান্ট প্ল্যান্টে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার আগে রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় ৩১ দশমিক ৫৫ একর এবং ইছাখালী এলাকায় ১ দশমিক ৭১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সঙ বলেন, আমরা রাঙ্গুনিয়া থানায় বিষয়টি লিখিতভাবে জানিয়েছি। এভাবে ভয়ে কাজ করতে নারাজ আমাদের শ্রমিকরা। কারণ সন্ত্রাসীরা প্রতিদিনই মালামালের সব গাড়ি ছিনতাই করছে। লোকজনকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে।
তিনি বলেন, শুনেছি সন্ত্রাসীদের পুলিশ ভয় পাচ্ছে। ওরা রাজনীতির প্রভাব খাটিয়ে এমন করছে বলে এক শ্রমিক আমাকে জানিয়েছে। বাধ্য হয়ে এখন তাই কাজ বন্ধ রেখেছি। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি ওয়ালীউল্লাহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও তাদের ছত্রছায়ায় বেড়ে উঠা ইমরুল করিম, আবু তাহের, সাবের আহমেদ, আইয়ুব, জসিম উদ্দিন, রাঙ্গুনিয়া পোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহেদ, রফিকুল ইসলাম, কাদের, মফিজুল, শহীদুল ইসলাম তালুকদার, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী, সৈয়দ ওয়াহিদুল কবিরসহ অন্তত ৩০ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে তারা।
No comments