কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানবজীবনের জন্য হুমকি?
(বেশ কিছু ছবির মতো সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া অ্যালেক্স গারল্যান্ডের এক্স–মেশিনা চলচ্চিত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে দেখানো হয়েছে মানবজীবনের প্রতি হুমকি হিসেবে) কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা (এআই) রয়েছে এমন রোবট কিংবা সেবা মানবজীবনের জন্য হুমকি হতে
পারে। সম্প্রতি বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফটের এক
গবেষণায় এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পদ্ধতি দারুণ
কিছু উদ্ভাবন কিংবা নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নে সহায়তা রাখছে এটি যেমন সত্য,
তেমনি মানবজীবনের জন্যও এআই হুমকিস্বরূপ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে
নানা ধরনের গবেষণা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। মাইক্রোসফট রিসার্চের বিজ্ঞানী ও
প্রকৌশলীদের প্রধান এরিক হরভিটজ এ বিষয়ে বলেন, আমরা নানা ধরনের গবেষণা করে
যাচ্ছি এবং দেখা যাচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিতে এ ধরনের বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন
বিষয়গুলোর নিয়ন্ত্রণও একসময় আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
বিষয়টি যে নাও ঘটতে পারে সেটিও উল্লেখ করে এরিক জানান, এমনই যে হবে এমনটাও
নয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি এআই পদ্ধতি গবেষণার ক্ষেত্রে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।
এআই ব্যবহারের মাধ্যমে ইতিমধ্যে সাধারণভাবে যা করা যায় তার চেয়ে অনেক বেশি
এবং দারুণ সব কাজ হচ্ছে। বিশেষ করে বিজ্ঞান থেকে শিক্ষা কার্যক্রম,
অর্থনীতির নানা বিষয় থেকে সাধারণ জীবনযাপন, সবক্ষেত্রে অসামান্য অবদান
রাখছে এআই পদ্ধতি। এরিক এবং তার দল দীর্ঘ গবেষণা শেষে উইন্ডোজ ফোনের জন্য
কণ্ঠনিয়ন্ত্রিত একটি ভার্চুয়াল সহকারী তৈরি করেছেন। ‘কর্টানা’ নামের এ
সুবিধা উইন্ডোজ দশ অপারেটিং সিস্টেমের সঙ্গে ডেস্কটপ কম্পিউটারেও পাওয়া
যাবে। এরিকের মতে, এআই ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই বড় বড় তথ্যপ্রযুক্তি
প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে, এ যুদ্ধে বিশ্বসেরা
প্রতিষ্ঠানগুলোর লড়াই হবে। যেমন ইতিমধ্যে গুগলের ‘গুগল নাউ’, অ্যাপলের
‘সিরি’ এবং উইন্ডোজের জন্য চালু হতে যাচ্ছে ‘কর্টানা’। অনেক সিনেমাতেও এখন
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পদ্ধতি ব্যবহারও হচ্ছে। তবে প্রযুক্তির
সুবিধাগুলোকে ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিও নিজেদেরই নির্ধারণ
করার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। —বিবিসি অবলম্বনে কাজী আলম
No comments