রাহুলকে দোষারোপ করে কংগ্রেস ছাড়লেন জয়ন্তী
রাহুল
গান্ধীকে প্রকাশ্যে দোষারোপ করে দল ছাড়লেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা ও
সংযুক্ত প্রগতিশীল মোর্চার (ইউপিএ) সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়ন্তী
নটরাজন। আজ শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে জয়ন্তী নটরাজন এ ঘোষণা দেন।
এর আগে তিনি তামিলনাড়ু কংগ্রেস ট্রাস্টের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
আজ টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক খবরে জানানো হয়, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া
গান্ধীকে একটি দীর্ঘ চিঠি লিখে নিজের অপমানের ফিরিস্তি দিয়েছেন নটরাজন।
চিঠিতে তিনি জানান, দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধীর চাপে পরিবেশ-সংক্রান্ত বড়
প্রকল্প হাতছাড়া করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন
সিংয়ের সবুজসংকেত থাকা সত্ত্বেও তিনি সেই প্রকল্পের ছাড়পত্র দিতে
পারেননি। তাঁর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে রাহুল অপপ্রচার চালিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ
করেন জয়ন্তী। সংবাদ সম্মেলনে জয়ন্তী বলেন, ইউপিএ সরকারে সোনিয়া ও রাহুল
যেকোনো কাজে হস্তক্ষেপ করতেন না এবং মন্ত্রীরা স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিতে
পারতেন, এ ধারণাটি ভুল।
জয়ন্তী বলেন, ‘আমি কোনো দোষ করিনি, তবুও আমি বঞ্চিত হচ্ছি। আর যদি কোনো দোষ করেও থাকি এবং তার যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন কেউ করতে পারে, তাহলে আমি জেলে যেতে বা ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি। আমার এই দলত্যাগ কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং বঞ্চিত হয়েই আমি দলত্যাগ করলাম। এই মুহূর্তে অন্য কোনো দলেও যোগ দেওয়ার ইচ্ছে নেই।’ কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, দলত্যাগের বিষয়ে দলের ওপরমহল থেকে কোনো ফোন তিনি প্রত্যাশা করেন না। কারণ কোনোভাবেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমি এসব বিষয় নিয়ে রাহুলের সঙ্গে শতাধিকবার দেখা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি দেখা করেননি। আমার দলই যখন আমাকে বাজেভাবে মূল্যায়ন করে, সে দলে থাকার কোনো মানে নেই। আর আমি যে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম, আজ আর সেই কংগ্রেসও নেই।’
জয়ন্তী বলেন, ‘আমি কোনো দোষ করিনি, তবুও আমি বঞ্চিত হচ্ছি। আর যদি কোনো দোষ করেও থাকি এবং তার যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন কেউ করতে পারে, তাহলে আমি জেলে যেতে বা ফাঁসিতে ঝুলতে রাজি। আমার এই দলত্যাগ কোনো রাজনৈতিক কারণে নয়, বরং বঞ্চিত হয়েই আমি দলত্যাগ করলাম। এই মুহূর্তে অন্য কোনো দলেও যোগ দেওয়ার ইচ্ছে নেই।’ কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা বলেন, দলত্যাগের বিষয়ে দলের ওপরমহল থেকে কোনো ফোন তিনি প্রত্যাশা করেন না। কারণ কোনোভাবেই তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে চান না। তিনি বলেন, ‘আমি এসব বিষয় নিয়ে রাহুলের সঙ্গে শতাধিকবার দেখা করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তিনি দেখা করেননি। আমার দলই যখন আমাকে বাজেভাবে মূল্যায়ন করে, সে দলে থাকার কোনো মানে নেই। আর আমি যে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম, আজ আর সেই কংগ্রেসও নেই।’
No comments