জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি- ব্রিফিং-এ বাংলাদেশী শান্তিরক্ষী প্রসঙ্গ
বিরোধী
দলের কোন শীর্ষ নেতাকে খেয়াল-খুশিমতো গ্রেপ্তার করতে পারে না
আইনপ্রয়োগকারীরা। এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের
প্রেক্ষিতে শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশী সেনা মোতায়েনের বিষয়টি মানদ-
যাচাইয়ের নীতির অধীনে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে আবারও উদ্বেগ
প্রকাশ করে এসব কথা বলেছে জাতিসংঘ। সম্প্রতি জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস
ব্রিফিংয়ে উঠে আসে বাংলাদেশ পরিস্থিতি। তাতে জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী মিশনে
বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি উঠে আসে। জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি
মুনের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজাররিক এসব প্রশ্নের উত্তর দেন। উদ্ভূত
পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশী সেনা মোতায়েনে কোন প্রভাব
ফেলবে কিনা- এমন প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। উত্তরে জাতিসংঘের উদ্বেগের কথা
তুলে ধরেন ডুজাররিক। তিনি বলেন, মানবাধিকারের মানদ- যাচাইয়ের যে নীতি রয়েছে
তা অব্যাহতভাবে প্রয়োগ করা হবে। বলা হয়, বাংলাদেশ পরিস্থিতি হতাশ হওয়ার
মতো। নিচে ওই ব্রিফিং প্রশ্নোত্তর আকারে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নিয়ে আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে। এখানে রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতা ক্রমাগত বাড়ছে। এরই মধ্যে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া)কে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। মিডিয়াতে সেন্সরশিপ চলছে। এর আগেও এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি মুন, এমনকি আমি মনে করি তিনি সংলাপের চেষ্টা করেছিলেন। এটা জেনে আমি বিস্মিত। শান্তিরক্ষী মিশনে বড় অংশগ্রহণকারী দেশ বাংলাদেশ। ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অথবা মহাসচিব এখন কি করছেন?
উত্তর: এর আগে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার অফিস থেকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরাও ওই উদ্বেগের সঙ্গে একইভাবে উদ্বিগ্ন। সরকারের এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, আইনপ্রয়োগকারীরা খেয়ালখুশি মতো বিরোধীদলীয় কোন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারবে না। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে যেসব মানদ- আছে তা মেনে চলতে হবে। আপনি জানেন, অবশ্যই, আমরা দেখেছি এবং দেখছি যে, পরিস্থিতি আরও বেশি হতাশ হওয়ার মতো।
প্রশ্ন: আমি আপনাকে আরও একটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করতে চাই। সেটা হলো- আমি মনে করি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ অংশ নেয়া এখন এক নম্বর দেশ। যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তার অনেকটার জন্য দায়ী নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে যে পর্যালোচনা করা হয় তাতে এ বিষয়টি কিভাবে দেখা হবে?
উত্তর: আমি মনে করি এক্ষেত্রে মানবাধিকারের মানদ- যাচাইয়ের যে নীতি রয়েছে তা অব্যাহতভাবে প্রয়োগ করা হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ নিয়ে আমি কিছু প্রশ্ন করতে চাই আপনাকে। এখানে রাজনৈতিক সংঘাত ও সহিংসতা ক্রমাগত বাড়ছে। এরই মধ্যে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী (খালেদা জিয়া)কে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। মিডিয়াতে সেন্সরশিপ চলছে। এর আগেও এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব বান-কি মুন, এমনকি আমি মনে করি তিনি সংলাপের চেষ্টা করেছিলেন। এটা জেনে আমি বিস্মিত। শান্তিরক্ষী মিশনে বড় অংশগ্রহণকারী দেশ বাংলাদেশ। ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স অথবা মহাসচিব এখন কি করছেন?
উত্তর: এর আগে মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার অফিস থেকে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। আমরাও ওই উদ্বেগের সঙ্গে একইভাবে উদ্বিগ্ন। সরকারের এটা নিশ্চিত করা উচিত যে, আইনপ্রয়োগকারীরা খেয়ালখুশি মতো বিরোধীদলীয় কোন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার বা আটক করতে পারবে না। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে। এসব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে যেসব মানদ- আছে তা মেনে চলতে হবে। আপনি জানেন, অবশ্যই, আমরা দেখেছি এবং দেখছি যে, পরিস্থিতি আরও বেশি হতাশ হওয়ার মতো।
প্রশ্ন: আমি আপনাকে আরও একটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন করতে চাই। সেটা হলো- আমি মনে করি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ অংশ নেয়া এখন এক নম্বর দেশ। যেসব মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে তার অনেকটার জন্য দায়ী নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা। সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে যে পর্যালোচনা করা হয় তাতে এ বিষয়টি কিভাবে দেখা হবে?
উত্তর: আমি মনে করি এক্ষেত্রে মানবাধিকারের মানদ- যাচাইয়ের যে নীতি রয়েছে তা অব্যাহতভাবে প্রয়োগ করা হবে।
No comments