প্রতীকী অনশনে এরশাদ- দুই দল আগুন নেভাতে পারবে না
দেশের
প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে ‘না’ বলতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। বলেছেন, সহিংসতার আগুনে
দেশের মালিক জনগণকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। এ আগুন দুই দল নেভাতে পারবে না।
জাতীয় পার্টিই আগুন নেভাবে। এজন্য দেশবাসীকে জাতীয় পার্টির ছায়াতলে আসার
আহ্বান জানান এরশাদ। গতকাল জ্বালাও পোড়াও ও সহিংস রাজনীতির প্রতিবাদে জাতীয়
পার্টির প্রতীকী গণ-অনশন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর
কাকরাইলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর
দক্ষিণ জাতীয় পার্টি। জাতীয় সংসদ ছাড়া দেশের কোথাও গণতন্ত্র নেই এমন ইঙ্গিত
দিয়ে এরশাদ বলেন, গণতন্ত্র শুধু শেরেবাংরা নগরেই। দেশে আর কোথাও গণতন্ত্র
নেই। আছে শুধু সন্ত্রাস। এ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এরশাদ
বলেন, সংবিধানে লেখা আছে প্রজাতন্ত্রের মালিক ও সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। সেই
ক্ষমতার উৎসকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। দেশে রাজনৈতিক শিষ্টাচার ও শ্রদ্ধাবোধ
হারিয়ে গেছে উল্লেখ করে এরশাদ বলেন, ক্ষমতার জন্য সবাই এত নিচু হয়েছে যে
সামাজিক শিষ্টাচার পর্যন্ত উঠে গেছে। কয়েকদিন পর এক মসজিদে নামাজও পড়তে
পারব না। এখন এতটাই প্রতিহিংসার রাজনীতি শুরু হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, একজনের ছেলে হারানোর কান্না আমরা
টেলিভিশনে দেখেছি। কিন্তু এমন অনেকেই কাঁদছেন, যাদের আমরা টেলিভিশনে দেখি
না। ধ্বংসের রাজনীতি থেকে সরে আসুন। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য গণবিরোধী আন্দোলন
মানুষ পছন্দ করবে না।
এরশাদ বলেন, নির্বাচন হলেই পরাজিত দল বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এভাবে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস কলঙ্কিত হয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আলোচনার জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিলাম। বলেছিলাম আসুন আলোচনা করি, কিভাবে রাজনীতিকে সুন্দর করা যায়। এটা সম্ভব হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু দুই দল ক্ষমতার যুদ্ধে লিপ্ত। মানুষ আর জ্বলতে চায় না। তারা শান্তি চায়। আমরা আবার ক্ষমতায় এসে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। এরশাদের উপস্থিতিতে সকাল ১১টায় অনশন শুরু হয়। বিকাল ৪টায় এরশাদের মুখে পানি দিয়ে অনশন ভাঙান পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন জানিপপ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক এ.আর.খান প্রমুখ। জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মো. আবুল কাশেম, এমএ হান্নান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আলহাজ সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, সৈয়দ মো. আবদুল মান্নান, সুনীল শুভরায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রমুখ।
এরশাদ বলেন, নির্বাচন হলেই পরাজিত দল বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। এভাবে আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস কলঙ্কিত হয়েছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আলোচনার জন্য দেশের সব রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিলাম। বলেছিলাম আসুন আলোচনা করি, কিভাবে রাজনীতিকে সুন্দর করা যায়। এটা সম্ভব হলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু দুই দল ক্ষমতার যুদ্ধে লিপ্ত। মানুষ আর জ্বলতে চায় না। তারা শান্তি চায়। আমরা আবার ক্ষমতায় এসে মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। এরশাদের উপস্থিতিতে সকাল ১১টায় অনশন শুরু হয়। বিকাল ৪টায় এরশাদের মুখে পানি দিয়ে অনশন ভাঙান পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন জানিপপ চেয়ারম্যান অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অধ্যাপক এ.আর.খান প্রমুখ। জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক সৈয়দ আবু হোসেন বাবলার সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, মো. আবুল কাশেম, এমএ হান্নান, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আলহাজ সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, সৈয়দ মো. আবদুল মান্নান, সুনীল শুভরায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, মীর আবদুস সবুর আসুদ, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন প্রমুখ।
No comments