নরেন্দ্র মোদির ভণ্ডামি by শশী থারুর
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমর্থকেরা বলে থাকেন, ভারতের সাধারণ নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) বিপুল বিজয়ের কারণ হচ্ছে, দলটি কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সব পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল।মোদি কি ভোটারদের সব প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন?
হ্যাঁ, ব্যাপক শোরগোল তৈরি করা হয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারণায় দাবি করা হয়, মোদি ইউপিএ সরকারের ‘বাজে শাসন’ ও ‘পক্ষাঘাতগ্রস্ত নীতি’র বদলে মৌলিকভাবে ভিন্ন টাটকা নীতি প্রণয়ন করবেন, যার ভিত্তি হবে করপোরেট ‘গুজরাটের উন্নয়ন মডেল’। এর মাধ্যমে তিনি নাকি ভারতের খোলনলচে বদলে ফেলবেন, ইউপিএ সরকারের নিঃশেষিত ও অকার্যকর নীতি ছুড়ে ফেলে কোটি কোটি মানুষের জীবনমান উন্নত করবেন। তাঁর বিজয়ের পর বিজেপির সমর্থকেরা ডুগডুগি বাজিয়ে বলছেন, ‘ভালো দিন আসছে।’
মোদির জনসংযোগ দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বিজেপি ইউপিএ জোটের নরম ও আপসকামী নীতির অবসান ঘটাবে। ইউপিএ সরকার যেসব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, মোদি সেসব গ্রহণের কথা দিয়েছেন। মানে, তিনি ভারতের ‘দানশীল’ ও ভর্তুকির সংস্কৃতি পরিহার করে সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান করবেন। তিনি হলফ করে বলেছেন, ভারতের জনগণের এখন কর্মসংস্থান প্রয়োজন, ভিক্ষা নয়।
কথা হচ্ছে, মোদির ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসব দাবির অসাড়তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। ইউপিএ সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার একটি বড় নজির হচ্ছে চিনির মূল্য নির্ধারণের নীতি। মনে করা হয়, ইউপিএ জোটের প্রভাবশালী আখ সমবায়ীরা সরকারকে অতিমূল্য নির্ধারণে এবং আখচাষিদের মন্দ ঋণ অবলোপনে বাধ্য করেছে। এর ফলে নাকি অতি উৎপাদন হয়েছে।
কিন্তু এই প্রথা তুলে দেওয়ার বদলে মোদির সরকার চিনি রপ্তানিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়েছে, বাস্তবে যার উল্টোটা হওয়ার কথা। মোদি সরকার চিনি আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেশি চিনির সঙ্গে বিদেশি চিনির প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমিয়েছে এবং পেট্রলের সঙ্গে আখভিত্তিক ইথানল মেশানো বাধ্যতামূলক করেছে। তাঁর এই প্রণোদনার কারণ খোঁজা খুব কঠিন কোনো ব্যাপার নয়: ভারতের সর্বাধিক আখ উৎপাদনকারী প্রদেশ মহারাষ্ট্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন, যাতে আগামী রাজ্যসভা নির্বাচনে সেখানে ভালো করা যায়।
এই লক্ষ্য থেকে আরেকটি ব্যাপার পরিষ্কার, এটা বিজেপির নীতিগত অবস্থানের বিরুদ্ধাচরণ। ইউপিএ সরকারের সমালোচকেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলেন, ট্রেনের যাত্রী ও মালামাল বহনের ভাড়া অত্যন্ত কম হওয়াটা আসলে সরকারের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতারই নামান্তর। এতে নাকি রেলগাড়ি ও লাইনের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হয়নি এবং রেলের সম্প্রসারণ ও সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।
ক্ষমতায় আসার পরপরই মোদি সরকার ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়, যদিও তারা বারবার বলেছে, তারা শুধু আগের একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। তারপর গণরোষের মুখে পড়লে উপশহরগুলোতে যাতায়াতকারী কমিউটার ট্রেনের মাসিক পাসের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়, এই পাসে উল্লেখযোগ্য হারে ছাড় দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকার ভোট বাগাতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
আর একটি অজনপ্রিয় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মোদি আরও দুর্বল অবস্থান নিয়েছেন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি। ভারতের বাজারে তেলের মূল্য বিশ্ববাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে দেশীয় তেল ও গ্যাস উত্তোলকদের আরও তেল ও গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে বিনিয়োগে সক্ষম করার উদ্দেশ্যে ইউপিএ সরকার গত ১ এপ্রিল থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেছিল। শেষ পর্যন্ত রেলের ভাড়ার মতো এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও মোদির ওপর বর্তায়। এ ক্ষেত্রে যা করণীয় ছিল, তা না করে মোদি আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন, আবার পূর্বসূরিদের ওপরও দোষ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি সরকার আজ পর্যন্ত যা যা করেছে, তার ছত্রে ছত্রে রয়েছে এই ভণ্ডামি। বিজেপি সরকার ভারত-মার্কিন পরমাণু–সহায়তা চুক্তির বিরোধিতা করলেও মোদি ভারতকেন্দ্রিক ‘অ্যাডিশনাল প্রটোকল’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে আন্তর্জাতিক পরমাণু এজেন্সিগুলো ভারতের বেসামরিক পরমাণু স্থাপনাগুলোতে অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উল্লিখিত সামরিক চুক্তিটি ছিল ইউপিএ সরকারের পররাষ্ট্রনীতির একটি বড় সাফল্য। তদুপরি, মোদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনারও বিরোধিতা করেছেন। এর ফলে ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় অভিযুক্তদের বিচার ও শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়, যদিও এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। এ হামলায় ১৬৪ জন মারা যায়, আহত হয় ৩০০ জনেরও বেশি। তার পরও নওয়াজ শরিফ মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন, দুই নেতা একে অপরকে উপহারও দিয়েছেন। ভেবে দেখুন, কী খেল দেখালেন মোদি।
মোদি সরকার ইউপিএ সরকারের প্রস্তাবিত গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নীতি গ্রহণ করেছে। অথচ বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজ্যগুলোর বিরোধিতার কারণে এটা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, মোদির গুজরাটও এর মধ্যে আছে। এর ফলে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা জোরদার হবে, মোদি এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন, এটা ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থায় ফাটল ধরাবে।
মোদি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই যেসব নীতি পরিহারে উচ্চকণ্ঠ হয়েছিলেন, বিজেপির সমর্থকেরা ইতিমধ্যে এগুলোর সমালোচনা শুরু করেছেন। ভারতীয় জনগণ বিস্ময়ে দেখছে, মোদি পরিবর্তনের কথা বলে বাস্তবে ইউপিএ সরকারের নীতিগুলোই একে একে গ্রহণ করছেন। ইউপিএ সরকারের অংশীদার হিসেবে বলছি, এসব কাণ্ড দেখে কিন্তু খুব খারাপ লাগছে না।
ইংরেজি থেকে অনূদিত: স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
শশী থারুর: ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী।
হ্যাঁ, ব্যাপক শোরগোল তৈরি করা হয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারণায় দাবি করা হয়, মোদি ইউপিএ সরকারের ‘বাজে শাসন’ ও ‘পক্ষাঘাতগ্রস্ত নীতি’র বদলে মৌলিকভাবে ভিন্ন টাটকা নীতি প্রণয়ন করবেন, যার ভিত্তি হবে করপোরেট ‘গুজরাটের উন্নয়ন মডেল’। এর মাধ্যমে তিনি নাকি ভারতের খোলনলচে বদলে ফেলবেন, ইউপিএ সরকারের নিঃশেষিত ও অকার্যকর নীতি ছুড়ে ফেলে কোটি কোটি মানুষের জীবনমান উন্নত করবেন। তাঁর বিজয়ের পর বিজেপির সমর্থকেরা ডুগডুগি বাজিয়ে বলছেন, ‘ভালো দিন আসছে।’
মোদির জনসংযোগ দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, বিজেপি ইউপিএ জোটের নরম ও আপসকামী নীতির অবসান ঘটাবে। ইউপিএ সরকার যেসব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, মোদি সেসব গ্রহণের কথা দিয়েছেন। মানে, তিনি ভারতের ‘দানশীল’ ও ভর্তুকির সংস্কৃতি পরিহার করে সাহসী সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটিয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান করবেন। তিনি হলফ করে বলেছেন, ভারতের জনগণের এখন কর্মসংস্থান প্রয়োজন, ভিক্ষা নয়।
কথা হচ্ছে, মোদির ক্ষমতা গ্রহণের কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসব দাবির অসাড়তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। ইউপিএ সরকারের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার একটি বড় নজির হচ্ছে চিনির মূল্য নির্ধারণের নীতি। মনে করা হয়, ইউপিএ জোটের প্রভাবশালী আখ সমবায়ীরা সরকারকে অতিমূল্য নির্ধারণে এবং আখচাষিদের মন্দ ঋণ অবলোপনে বাধ্য করেছে। এর ফলে নাকি অতি উৎপাদন হয়েছে।
কিন্তু এই প্রথা তুলে দেওয়ার বদলে মোদির সরকার চিনি রপ্তানিতে ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়েছে, বাস্তবে যার উল্টোটা হওয়ার কথা। মোদি সরকার চিনি আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে দেশি চিনির সঙ্গে বিদেশি চিনির প্রতিদ্বন্দ্বিতা কমিয়েছে এবং পেট্রলের সঙ্গে আখভিত্তিক ইথানল মেশানো বাধ্যতামূলক করেছে। তাঁর এই প্রণোদনার কারণ খোঁজা খুব কঠিন কোনো ব্যাপার নয়: ভারতের সর্বাধিক আখ উৎপাদনকারী প্রদেশ মহারাষ্ট্রের ওপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন, যাতে আগামী রাজ্যসভা নির্বাচনে সেখানে ভালো করা যায়।
এই লক্ষ্য থেকে আরেকটি ব্যাপার পরিষ্কার, এটা বিজেপির নীতিগত অবস্থানের বিরুদ্ধাচরণ। ইউপিএ সরকারের সমালোচকেরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছিলেন, ট্রেনের যাত্রী ও মালামাল বহনের ভাড়া অত্যন্ত কম হওয়াটা আসলে সরকারের কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতারই নামান্তর। এতে নাকি রেলগাড়ি ও লাইনের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব হয়নি এবং রেলের সম্প্রসারণ ও সেবার মান উন্নয়ন সম্ভব হয়নি।
ক্ষমতায় আসার পরপরই মোদি সরকার ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়, যদিও তারা বারবার বলেছে, তারা শুধু আগের একটি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে। তারপর গণরোষের মুখে পড়লে উপশহরগুলোতে যাতায়াতকারী কমিউটার ট্রেনের মাসিক পাসের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়, এই পাসে উল্লেখযোগ্য হারে ছাড় দেওয়া হয়। মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী এলাকার ভোট বাগাতে এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
আর একটি অজনপ্রিয় কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে মোদি আরও দুর্বল অবস্থান নিয়েছেন: জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি। ভারতের বাজারে তেলের মূল্য বিশ্ববাজারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ করে দেশীয় তেল ও গ্যাস উত্তোলকদের আরও তেল ও গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে বিনিয়োগে সক্ষম করার উদ্দেশ্যে ইউপিএ সরকার গত ১ এপ্রিল থেকে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করার প্রস্তাব করেছিল। শেষ পর্যন্ত রেলের ভাড়ার মতো এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভারও মোদির ওপর বর্তায়। এ ক্ষেত্রে যা করণীয় ছিল, তা না করে মোদি আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া স্থগিত করেছেন, আবার পূর্বসূরিদের ওপরও দোষ দেওয়া হয়েছে।
বিজেপি সরকার আজ পর্যন্ত যা যা করেছে, তার ছত্রে ছত্রে রয়েছে এই ভণ্ডামি। বিজেপি সরকার ভারত-মার্কিন পরমাণু–সহায়তা চুক্তির বিরোধিতা করলেও মোদি ভারতকেন্দ্রিক ‘অ্যাডিশনাল প্রটোকল’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন, যার ফলে আন্তর্জাতিক পরমাণু এজেন্সিগুলো ভারতের বেসামরিক পরমাণু স্থাপনাগুলোতে অবাধ প্রবেশাধিকার পেয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উল্লিখিত সামরিক চুক্তিটি ছিল ইউপিএ সরকারের পররাষ্ট্রনীতির একটি বড় সাফল্য। তদুপরি, মোদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে আলোচনারও বিরোধিতা করেছেন। এর ফলে ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলায় অভিযুক্তদের বিচার ও শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়, যদিও এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছিল। এ হামলায় ১৬৪ জন মারা যায়, আহত হয় ৩০০ জনেরও বেশি। তার পরও নওয়াজ শরিফ মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন, দুই নেতা একে অপরকে উপহারও দিয়েছেন। ভেবে দেখুন, কী খেল দেখালেন মোদি।
মোদি সরকার ইউপিএ সরকারের প্রস্তাবিত গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স নীতি গ্রহণ করেছে। অথচ বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজ্যগুলোর বিরোধিতার কারণে এটা স্থগিত হয়ে গিয়েছিল, মোদির গুজরাটও এর মধ্যে আছে। এর ফলে সন্ত্রাসবিরোধী তৎপরতা জোরদার হবে, মোদি এর বিরোধিতা করে বলেছিলেন, এটা ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্র ব্যবস্থায় ফাটল ধরাবে।
মোদি তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকেই যেসব নীতি পরিহারে উচ্চকণ্ঠ হয়েছিলেন, বিজেপির সমর্থকেরা ইতিমধ্যে এগুলোর সমালোচনা শুরু করেছেন। ভারতীয় জনগণ বিস্ময়ে দেখছে, মোদি পরিবর্তনের কথা বলে বাস্তবে ইউপিএ সরকারের নীতিগুলোই একে একে গ্রহণ করছেন। ইউপিএ সরকারের অংশীদার হিসেবে বলছি, এসব কাণ্ড দেখে কিন্তু খুব খারাপ লাগছে না।
ইংরেজি থেকে অনূদিত: স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
শশী থারুর: ভারতের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী।
No comments