হঠাৎ অবসরে লাম
চাইলে আরও পাঁচ বছর দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পারতেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে হুট করেই কাল আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানিয়ে দিলেন জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ফিলিপ লাম। বয়স মাত্র ৩০। কিন্তু বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নপূরণের পর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার অযথা দীর্ঘায়িত করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন লাম। নিজেই অনুভব করেছেন এভাবে মাথা উঁচু করে অবসর নেয়ার সুযোগ হয়তো কখনোই আর আসবে না। তবে জার্মানি অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেও বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন লাম। তার নেতৃত্বেই দুই যুগের শিরোপাখরা ঘুচিয়ে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে লাতিন আমেরিকার মাটিতে বিশ্বকাপ জিতেছে জার্মানি।
লামের অবসরের ঘোষণাটি আসে জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফবি) মাধ্যমেই। ডিএফবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক খোলা চিঠিতে লাম বলেছেন, ‘ব্রাজিলের মাটিতে বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানতে পেরে আমি খুশি ও গর্বিত।’ অবসরের পোকা তার মাথায় ঢুকেছিল গত মৌসুমেই। তবে বিশ্বকাপ জিততে না পারলে ঘোষণাটা এত দ্রুত আসত না। মারাকানা জয়ের পরদিনই কোচ জোয়াচিম লোকে সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিয়েছিলেন বায়ার্ন ডিফেন্ডার। কাল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর জার্মান দৈনিক বিল্ডকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসরের সিদ্ধান্তের কথা সোমবারই লো’কে জানিয়ে দিয়েছি। আসলে গত মৌসুম থেকেই এটা আমার মাথায় ছিল। বিশ্বকাপ জেতায় সবকিছু একবিন্দুতে মিলে গেছে। আজ (শুক্রবার) সকালে বিএফবি প্রেসিডেন্ট উলফগ্যাং নিয়ার্সবাচকে ফোনে সবকিছু জানিয়েছি।’
অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে লামকে ফেরানো যাবে না বুঝতে পেরে সেই পথে পা বাড়াননি উলফগ্যাং, ‘সকালে আমাকে ফোন করে তার পদক্ষেপের কথা জানায় ফিলিপ। খুব দ্রুতই বুঝতে পারি অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে তাকে ফেরানোর চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। জাতীয় দলের হয়ে দশ বছর শুধু একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়ই ছিল না, একজন আদর্শ রোল মডেলও সে। সবকিছুর জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই।’ দশ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে জার্মানির হয়ে ১১৩ ম্যাচে পাঁচ গোল করেছেন লাম। ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুলব্যাক ভাবা হয় তাকে। খেলতে পারেন মাঝমাঠেও। ২০০৪ সালের ফেব্র“য়ারিতে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর দেশের হয়ে তিনটি ইউরো ও তিনটি বিশ্বকাপে খেলেছেন। মাইকেল বালাক ইনজুরিতে পড়ার পর ২০১০ বিশ্বকাপে তার হাতে নেতৃত্ব তুলে দেন লো। টানা চার বছর সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। লামের শূন্যতা পূরণ করা কঠিনই হবে জার্মানির জন্য। ওয়েবসাইট।
No comments